ঢাকাশনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

৮ কি.মি. সড়ক পাকা হলে খুলনা-পাইকগাছার দূরত্ব কমবে ২৫ কি.মি.

পাইকগাছা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ , ০২:৩৪ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

সড়কপথে খুলনা জেলা শহর থেকে পাইকগাছায় যেতে ৬৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। সময় লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা। কিন্তু সোলাদানা-বটিয়াঘাটা ৮ কিলোমিটার সড়কটি (ইটের রাস্তা) পাকা (পিচ) করা হলে খুলনা শহর থেকে পাইকগাছা ও কয়রা দূরত্ব কমবে ২৫ কিলোমিটার আর সময় লাগবে দেড় ঘণ্টা। শ্রম ঘণ্টা সাশ্রয়ের পাশাপাশি জনদুর্ভোগ অনেক কমবে। আর এ কারণে সড়কটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন এরাস্তায় চলাচল করা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। 

বিজ্ঞাপন

পাইকগাছা থেকে চুকনগর হয়ে খুলনায় পৌঁছতে ৬৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। এর মধ্যে সড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার ভাঙাচোরা। এ বেহাল সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই যানবাহনের যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে পড়ছে। এতে সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া এ পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৩-৪ ঘণ্টা। 

কিন্তু পাইকগাছা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে রয়েছে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সোলাদানা-বটিয়াঘাটা কাঁচা-পাকা সড়ক। এ সড়কের তিন কিলোমিটার ইটের ও পাঁচ কিলোমিটার কাঁচা। সড়কের এ অংশটুকু পিচ ঢালাই করা হলেও জেলা সদরের সঙ্গে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার দূরত্ব কমে যাবে। 

বিজ্ঞাপন

পাইকগাছা পৌর সদর থেকে জেলা শহরের যাতায়াতে অনেকেই এ পথটি ব্যবহার করেন। কারণ এ পথে মাত্র এক থেকে দেড় ঘণ্টায় শহরে পৌঁছানো যায়।

সোলাদানার কাইউম ইসলাম জানান, ফুলবাড়ী-বটিয়াঘাটা হয়ে খুলনা সড়কটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে খুলনা জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের উন্নতির পাশাপাশি কয়রা-পাইকগাছার মানুষও বাঁচবে।

দেলুটীর প্রশোনজিৎ মণ্ডল জানান, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তরমুজ ও ধান চাষ হয় এ ইউনিয়নে। রাস্তার কারণে বাইরের পাইকাররা এখানে আসতে চায়না। রাস্তা দ্রুত পিচের কার্পেটিং হলে এ-অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা পাল্টে যাবে। 

বিজ্ঞাপন

কয়রার ব্যবসায়ী জাহুরুল ইসলাম বলেন, সড়কটি চালু হলে কয়রার মানুষেরও খুলনার সঙ্গে যাতায়াত সহজ হবে। তবে শিবসা নদীর সোলাদানা খেয়াঘাটে একটি ফেরি ব্যবহার করলেই সবরকম যানবাহনও পারাপার করতে আর সমস্যা হবে না। 

দেলুটি ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সুকুমার কবিরাজ জানান, ইতোমধ্যে দারুনমল্লিক খেয়াঘাট থেকে ১কিলোমিটার পিচের রাস্তা এবং বাকি ৭ কি.মি. ডাবল ইটের সলিং সম্পন্ন হয়েছে। বটিয়াঘাটা-পাইকগাছা উপজেলার সংযোগস্থল ফুলবাড়ি খেয়াঘাট সংলগ্ন রায়পুর মরাভদ্রা নদীর মুখে একটা গেট করার জন্য পানি সম্পদমন্ত্রনালয়ে একটি আবেদন পাঠানো হলেও আজো আলোর মুখ দেখেনি। তবে দেলুটির বাকি ৭ কিলোমিটার রাস্তা পিচের হলে আর সমস্যা হবে না। 

পাইকগাছা নাগরিক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর বলেন, পাইকগাছার উন্নয়নে এলাকাবাসীর ২১ দফার মধ্যে অন্যতম দাবি হচ্ছে সোলাদানা-বটিয়াঘাটা-খুলনা সড়কটির দ্রুত বাস্তবায়ন। ওই সড়কটি চালু হলে খুলনা শহরের সঙ্গে আমাদের ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। 

সড়ক ও জনপদ খুলনা সাব-ডিভিশনাল প্রকৌশলী সাগর সৈকত মল্লিক বলেন, আগামী ঈদের পর ভাঙা রাস্তা সংস্কার করা হবে। বাকি ৮কি. মি. রাস্তার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। অর্থ ছাড় হলেই কাজ শুরু করা হবে। 

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, সড়কটি করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রোড এন্ড হাইওয়ের মধ্যেকার সমস্যা অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে। তখন সড়কটি করতে সমস্যা থাকবে না। 

পাবাউবো খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার ওপর দিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ যে রাস্তা করতে যাচ্ছে তাতে আমাদের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্রে উভয় দপ্তরের স্বাক্ষর করতে হবে। আমরা সেটা দিতেও প্রস্তুত। তারা আসলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

আরটিভি/এএএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |