ফরিদপুরে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে। ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদও নেই। এছাড়া বাসের চালক পালিয়ে যাওয়ায় ও তার নাম শনাক্ত করা না যাওয়ায় চালকের লাইসেন্স ছিল কিনা সেটা জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উলটে খাদে পড়ে বাবা-ছেলেসহ সাতজন প্রাণ হারান। এতে আহত হয়েছেন আরও ৩২ জন।
বিআরটিএ ফরিদপুরের কার্যালয় সূত্র জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির মালিক আওয়ামী লীগ নেতা ফায়জুর রহমান। ফায়জুর রহমান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা সদরের কোর্টপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আবুল হাশেম চোকদার। ফায়জুর রহমান ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফরিদপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ফিটনেস নেই। বাসটির মেয়াদ গত ৫ মার্চ অতিবাহিত হয়ে গেছে। প্রতি বছর বাসের ফিটনেস পরীক্ষা করে সনদ নিতে হয়। সনদ শেষ হয়ে আসার সাত থেকে ১০ দিন আগে ফিটনেস নবায়নের জন্য আবেদন করার নিয়ম। ফিটনেসের পাশাপাশি ওই বাসটির ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এটি উত্তীর্ণ হয়েছে ২০২৪ সালের ২৬ জুন।
তিনি আরও বলেন, এ বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। তাকে শনাক্ত করা যায়নি। ফলে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে কিনা তা জনা সম্ভব হয়নি। চালকের নাম ও জন্ম তারিখ সংগ্রহ করা গেলে এ তথ্য বের করে ফেলা যাবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বাসের মালিক ফায়জুর রহমানের মোবাইলে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, এ দুর্ঘটনার কারণ জানতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এএএ