ঢাকাসোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

মৃত্যুর দুদিন পর বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিলো ভারত

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ , ১০:০৮ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি এলাকায় সুপারি চুরি করতে গিয়ে খাসিয়াদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পেকপাড়া গ্রামের কুটি মিয়ার (৫০) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। 

বিজ্ঞাপন

গত ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার দুদিন পর ১২ এপ্রিল শনিরাব রাত ১০টার দিকে মেঘালয় রাজ্যের শিলং জেলার মোশাররম থানা পুলিশ রিংকু বর্ডারহাট দিয়ে বাংলাদেশের পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। বিজিবির উপস্থিতিতে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক কুটি মিয়ার মরদেহ গ্রহণ করেন। 

এ বিষয়ে ওসি মো. জাহিদুল হক বলেন, স্থানীয়রা জানিয়েছেন কুটি মিয়াসহ ৭ জন ভারতের বেশ ভেতরে সুপারি চুরি করতে গিয়েছিলেন। ৬ জন পালিয়ে আসলেও কুটি মিয়া খাসিয়ার গুলিতে আহত হয়ে মারা যান। শনিবার রাতে ভারতীয় পুলিশ কুটি মিয়ার মরদেহ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। কুটির মিয়ার হাত, পা ও বুকে ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে। রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে দোয়ারাবাজার সীমান্তের পেকপাড়া গ্রামের মোকামছড়া পাড়ার কুটি মিয়াসহ ৭ চোরাকারবারী পেকপাড়া বিওপির সীমান্ত পিলার ১২৩০/২-এস বিপরীতে ভারতের ৭ কিলোমিটার ভেতরে নথরাই পুঞ্জির সুপারি বাগানে সুপারি চুরি করতে যায়। এ সময় বাগানের মালিক ভারতীয় খাসিয়ারা তাদেরকে ধাওয়া দিলে ৬ চোরাকারবারি বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে পারে। কিন্তু কুটি মিয়া সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে পালিয়ে আসা কয়েকজন বিষয়টি কুটি মিয়ার বাড়িতে জানায়। পরে কুটি মিয়ার আত্মীয়-স্বজন নথরাই এলাকায় গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করে আসেন। 

এ দিকে ভারত থেকে পালিয়ে আসা একই গ্রামের ৬ চোরাকারবারি আইয়ুব আলীর ছেলে হানিফ মিয়া (৩০), মৃত এরাবুল্লাহর ছেলে আকবর আলী (৩১), জরিফ উদ্দিন (৪৫), অজুদ মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৩৫), ময়না মিয়ার ছেলে ইসহাক মিয়া (৫০), মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে সোনা মিয়া (৫৫) আত্মগোপনে রয়েছেন। ফেরত আসা খোকন মিয়া ও হানিফ মিয়ার বিরুদ্ধে চোরাচালানির মামলা রয়েছে। 

বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের প্রায় ৭ কিলোমিটার ভেতরে। সবাই গোপনে সীমান্ত অতিক্রম করে সুপারি চুরি করতে গিয়েছিল। ভারতের বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতীয় খাসিয়াদের সাথে বাংলাদেশী চোরাকারবারীদের কলহ হয়েছিল। ভারতীয় পুলিশ বিজিবি ও বিএসফের উপস্থিতিতে শনিবার রাতে কুটি মিয়ার মরদেহ দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ফেরত আসা ৬ চোরাকারকারী আত্মগোপানে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এমকে/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |