লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় স্কুলছাত্রী জান্নাতি বেগম (১১) হত্যার ঘটনায় বিচার দাবিতে উত্তাল পুরো জেলা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) লালমনিরহাট টেকনিক্যাল কলেজ গেট ও নিহত ছাত্রীর ভোটমারী উচ্চবিদ্যালয় গেটসহ ছয়টি স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এর মধ্যে গ্রেপ্তার যুবকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
নিহত জান্নাতি বেগম উপজেলার চর ভোটমারী গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। সে স্থানীয় ভোটমারী এসসি উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গ্রেপ্তার যুবক বেলাল হোসেন একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে।
পুলিশ ও জান্নাতির স্বজনেরা জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার দিকে জান্নাতির অসুস্থ নানিকে দেখতে যান তার মা। এ সময় জান্নাতি বাড়িতে একা ছিল। সেখান থেকে ফিরে মেয়েকে বাড়িতে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তাদের বাড়ির চারদিকে ভুট্টাখেত। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বেলালসহ চার-পাঁচজনকে ওই ভুট্টাখেত থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যেতে দেখে জান্নাতির মায়ের সন্দেহ হয়। পরে ভুট্টাখেতে মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তিনি থানায় খবর দেন।
কালীগঞ্জ থানার পুলিশ জান্নাতির লাশ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় বেলালের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন মেয়েটির বাবা ফজলুল হক। পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত যুবক বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক গণমাধ্যমকে বলেন, জান্নাতির মুখ থেকে গলা পর্যন্ত মাটি ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে ঘাতকেরা। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে নিহতের ভাইয়ের সঙ্গে গ্রেপ্তার যুবকের ভাইয়ের দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছি। তাদের দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার বেলালকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের গ্রেপ্তার ও হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরটিভি/এএএ