ঢাকাসোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

গৃহবধূকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুর-শাশুড়ির যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার (চাঁদপুর), আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ , ০৭:০২ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি।

চাঁদপুরের হাইমচরে গৃহবধূ ফাতেমাকে (৩৯) শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে দেবর রিপন গাজীকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড ও শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম গাজী এবং শাশুড়ি শাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন।

হত্যার শিকার গৃহবধূ ফাতেমা প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার গোরাকান্দাইল এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।

বিজ্ঞাপন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন জেলার হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়ার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম গাজীর ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি সিরাজুল ইসলাম মৃত হাশেস গাজীর ছেলে এবং শাহানারা বেগম সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।

ঘটনার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমার শাশুড়ির সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলায় চেপে ধরে তিনি। ওই সময় আসামি শ্বশুর ও দেবর ফাতেমার পেটে লাথি মারে। ঘটনাস্থলে গৃহবধূ ফাতেমার মৃত্যু হয়।

পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির পুকুরে নিয়ে লুকিয়ে রাখেন তারা। পরদিন ১৬ অক্টোবর সকালে বাড়ির লোকজন দেখলে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। একই দিন হত্যার শিকার ফাতেমার ভাই ইউসুফ খান বাদী হয়ে হাইমচৈ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় তৎকালীন হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় দেন।

আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল রানী শীল।

আরটিভি/এএএ  

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |