ঢাকাসোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাঁশের সাঁকোই যেন মরণফাঁদ 

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ০৪ মে ২০২৫ , ০৬:৩৫ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লতা ও দেলুটী ইউনিয়নের সংযোগস্থল লতা-দেলুটী খেয়াঘাট। এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয় হাজারও মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রোগী, কৃষক, দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। অথচ এ গুরুত্বপূর্ণ ঘাটের পূর্ব পারে পাকা ঘাট থাকলেও পশ্চিম পাড়ে নড়বড়ে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে যেতে হয়। যা বর্ষা মৌসুমে হয়ে ওঠে মৃত্যুফাঁদ।

বিজ্ঞাপন

ঘাটের মাঝি দিলিপ কুমার বলেন, এক বছর আগেও এখানে বাঁশের সাঁকো ছিল না। শিক্ষার্থীরা কাদা মেখে পারাপার হতো। তাদের পোশাকসহ বই-খাতা নষ্ট হতো। তাদের কষ্ট লাঘবে আমি নিজের টাকায় এ সাঁকো তৈরি করেছি। এর সংস্কারে নেই কোনো সরকারি নজরদারি। একটু অসাবধান হলেই ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

শিক্ষার্থী তৃষ্ণা মন্ডল বলেন, ওপারে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় বাঁশের সাঁকোতে উঠতে আমাদের খুব ভয় লাগে। অনেক সময় পড়ে কাদা-পানিতে আমাদের বই-খাতা, পোশাক নষ্ট হয়। এখানে স্থায়ী একটা ঘাট প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

লতার বাসিন্দা যমুনা সরকার বলেন, সকালে যখন ছেলে-মেয়ে স্কুলে যায় তখন মনে হয় কখন সাঁকো থেকে তাদের পা পিছলে পড়ে! আমাকেও ওপারে পানি নিতে যেতে হয়। পানির কলস নিয়ে নড়বড়ে সাঁকোতে উঠতে পারি না। হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়ে যাওয়া-আসা করতে হয়। 

অপরদিকে কৃষক সৌমেন দাশ বলেন, হাটে পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময় খুব কষ্ট হয়। ভারী মালামাল নিলে সাঁকোতে উঠতে পারি না। তখন কাঁদা দিয়ে মাথায় মালামাল নিয়ে চলাচল করতে হয়।

বিষয়টি নিয়ে দেলুটী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুকুমার কবিরাজ বলেন, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। একটি পাকাঘাটের দাবি অনেক দিনের। 

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

বিজ্ঞাপন

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, লতা-দেলুটী খেয়াঘাটে জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোর কথা জেনেছি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ঘাটের জন্য কাজ করতে বলা হয়েছে।

আরটিভি/এমকে/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |