ঢাকামঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

মামলা তুলে নিতে কলেজ শিক্ষার্থীকে অপহরণ, অতঃপর... 

আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ , ০৬:৩৭ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামিরা মামলা তুলে নিতে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা মামলা দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১২ মে) শেরপুর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা।

অপহৃত তরুণী আতিয়া খাতুন (১৮) উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া কলোনি গ্রামের আমান উল্ল্যাহর মেয়ে। তিনি শেরপুর উপজেলার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

অভিযুক্তরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান সাব্বির, মোছা. রিক্তা, মো. রনি, মো. রাকিব, মো. আকাশ, মোছা. স্বপ্না, মো. শামিম ও মোছা. জরিনা বেগম। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান সাব্বির দীর্ঘদিন ধরেই আতিয়াকে উত্ত্যক্ত করত। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আতিয়ার মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ চার্জশিটও জমা দেয়। কিন্তু জামিনে মুক্ত হয়ে অভিযুক্তরা আবারও ওই তরুণী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিতে থাকে।

গত ১১ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোচিং শেষে বাসায় ফেরার পথে গাড়িদহ ইউনিয়নের মহিপুর ঢালাই ব্রিজের কাছে ওই তরুণীকে একা পেয়ে আবারও অপহরণ করা হয়। ৫ নম্বর আসামি আকাশ অটোরিকশা নিয়ে গিয়ে আতিয়াকে জোর করে রিকশা তোলেন। এরপর সাব্বির ও রাকিব রিকশায় ওঠে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আতিয়াকে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে মুখ বেঁধে আটকে রেখে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পর তাকে একটি অজ্ঞাত মাইক্রোবাসে তুলে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয় এবং জোরপূর্বক ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। আতিয়া রাজি না হলে তাকে ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে কিল-ঘুষি মারে এবং গুরুতর শারীরিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে মহিপুর এলাকায় গেলে আতিয়া চিৎকার শুরু করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আতিয়ার পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

বিজ্ঞাপন

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আরটিভি/এএএ  

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |