হবিগঞ্জে মা-মেয়েসহ ৩ জনকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে দণ্ডপ্রাপ্তকে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক সৈয়দ মোহাম্মদ মোশাররফ ইউসুফ এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আফজাল হোসেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন- মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের বীরসিংহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, বীরসিংহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে তার ভাইদের বিরোধ চলছি। এর জেরে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন দরজা ভেঙে বড়ভাই গিয়াস উদ্দিনের ঘরে ঢুকে তার স্ত্রী জাহানারা খাতুনকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় জাহানারার চিৎকারে তার মেয়ে শারমিন আক্তার ও ছেলে সুজাত মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরও ছুরিকাঘাত করা হয়। তখন চাচাতো দেবরের ছেলে শিমুল মিয়া এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে জাহানারা খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
শারমিন আক্তার ও শিমুল মিয়াকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকেও মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুজাত মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হন। এ ঘটনায় নিহত জাহানারা খাতুনের দুলাভাই মোহন মিয়া বাদি হয়ে মাধবপুর থানায় ১৩ জনের নামে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ একমাত্র আসামি শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
ইতোমধ্যে তাহের উদ্দিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলায় ১৮ সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহন শেষে বিচারক এ রায় দেন।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর মো. আফজাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি ঝুলন্ত ছিল। বিগত সরকারের আমলে বিচারটি বিভিন্নভাবে প্রভাবান্বিত করার চেষ্টা করা হয়। এ রায়ে আমরা সন্তষ্ট হয়েছি।
আরটিভি/এমকে