রংপুরে তিস্তা নদীর চরে প্রচুর বাদাম চাষ হয়। এবারের উজানের ঢলে ও টানা বৃষ্টির কারণে জেলার গংগাচড়া উপজেলার চরাঞ্চলে চাষ করা অপরিপক্ব বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আর এতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। অনেক জায়গায় ভেসে গেছে বাদামগাছ। অনেক জায়গায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চাষিরা আগেভাগে বাদাম তুলে নিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর গংগাচড়ায় বাদাম চাষ হওয়া ৩৬৫ হেক্টর জমির মধ্যে ৩০ হেক্টর জমির বাদাম পানিতে ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের খরচের টাকা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হবে।
উপজেলার চর মহিপুর, পূর্ব ইচলি, চর ইচলি, চর ইশোরকুল, শংকরদহ, ছালাপাক, আলফাজটারী, শেখপাড়া, চিলাখালসহ কয়েকটি চর ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ক্ষেত থেকে গাছসহ বাদাম তুলে নৌকায় করে নিয়ে আসছেন। এ সব গাছ থেকে অপরিপক্ব বাদাম ছাড়িয়ে রাস্তার ধারে পলিথিন বিছিয়ে স্তূপ করে রেখে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে চরের বাদাম চাষি আমিনুর ইসলাম জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনি তিস্তা নদীর চরে ১০ বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করেন। ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে অপরিপক্ক এসব বাদামের ক্ষেত এখন পানির নিচে। দিশেহারা হয়ে কিছুটা বাদাম তুলতে পারলেও খরচ তো উঠবে না। এখন ঋণ পরিশোধের জন্য দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার।
আরও একজন কৃষক বাহার আলী জানান, তার প্রায় এক একর জমির বাদাম ক্ষেত পানির নীচে। আরও প্রায় এক একর জমিতে লাগানো ভূটা, বেগুন ও মরিচের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। আকষ্মিক তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সর্বনাশ হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানান, আগাম অতি বৃষ্টি ও তিস্তার পানি বাড়ার ফলে উপজেলার প্রায় ৩০ হেক্টর জমির বাদাম নিমজ্জিত হয়েছে। যেহেতু আবহাওয়া প্রতিকূলে, তাই নিমজ্জিত জমি থেকে পানি অপসারণসহ রোগ বালাই দমনের জন্য কৃষি বিভাগ থেকে কারিগরি পরামর্শ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।
আরটিভি/এমএ-টি