কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ও রৌমারী সীমান্ত দিয়ে ৩৭ জন নারী-পুরুষকে পুশইন করেছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে রৌমারীর বড়াইবাড়ি ও ভূরুঙ্গামারীর ৩টি সীমান্ত এলাকা দিয়ে এসব নাগরিককে পুশইন করে বিএসএফ।
এর মধ্যে রৌমারী সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ১৪ জন ভারতীয় নাগরিক বলে জানা গেছে। বিজিবির বাধায় এসব ভারতীয় নাগরিক সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ভারতীয় নাগরিক পুশইন করায় রৌমারী সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে পুশইন ঠেকাতে এলাকাবাসীর সহায়তায় বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। তারা সকলেই ভারতের আসাম রাজ্যের বান্দরবান জেলার বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হলেও ভরতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
অপরদিকে ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে ঠেলে দেওয়া ২৩ জন কোন দেশের নাগরিক তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এসব নাগরিক বিজিবি কেদার, সোনাহাট ও বাবুরহাট ক্যাম্পের হেফাজতে রয়েছে।
জামালপুর ব্যাটালিয়নের-৩৫ বিজিবির সহকারী পরিচালক ভারপ্রাপ্ত অ্যাডজুটেন্ট শামসুল হক বলেন, বিএসএফ অবৈধভাবে পুশইনের চেষ্টা করলে আমাদের বিজিবি বাধা দেয়। পুশইন করা ব্যক্তিরা কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায়নি। তারা দুদেশের শূন্যরেখায় আছে। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গেছেন। কোনো গোলাগুলির ঘটনা না ঘটলেও বিএসএফ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।
এ ছাড়াও কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মাহাবুব উল হক বলেন, ২৩ নাগরিককে পুশইন করার ঘটনা ঘটেছে। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরটিভি/এমকে