সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করা বাংলাদেশি যুবক জাকারিয়া আহমদের (২৫) মরদেহ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দেশে ফেরত এনেছে বিজিবি।
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের পিলার ১২৫৭/১- এস পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভারতীয় পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিহতের মরদেহ বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, জাকারিয়া আহমদ সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লামাগ্রাম কামাল বস্তি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আলাউদ্দিন। ভারতের টোকা ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে বিএসএফ বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করে। ঘটনার পর ৪৮ বিজিবি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং বিএসএফের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ ও সমন্বয় শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ জুন দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
সিলেট ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং মানবিক বিষয়েও বিজিবি সব সময় সচেতন। বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত মরদেহটি ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছি। ঘটনাস্থল ভারতের পিনারসালা থানার আওতাধীন একটি দুর্গম এলাকা। যার ফলে হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লেগেছে।
আরটিভি/এএএ/এআর