নোয়াখালী হাতিয়ায় যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীর যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। অসুস্থ গৃহবধূকে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শনিবার (২১ জুন) দুপুরে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মাইজচরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রাতে অভিযুক্ত স্বামী শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে চাপ দেয়। এতে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী তার পিতা-মাতাসহ সবাইকে ঘর থেকে বের করে দেয়। রুমের মধ্যে খাটের পায়ার সঙ্গে স্ত্রীর হাত পা বাঁধেন। এরপর বেধম প্রহার করে তার যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া দিয়ে দেয়। এতে স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। সকালে সংবাদ পেয়ে মহিলার বাবা-মা গিয়ে হাসপাতালে আনার চেষ্টা করলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তারা আহত মহিলাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত স্বামী সালেহ উদ্দিন (৪৫) সোনাদিয়া মাইজচরার ২নং ওয়ার্ডের নুরুল হকের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইট ভাটার শ্রমিক সর্দার।
জানা যায়, দীর্ঘ দশ বছর পূর্বে আহত নারীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের দুইটি ছেলে মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে শ্বশুর পক্ষ থেকে আর্থিক সুবিধা নিতেন। গত দু-তিন দিন থেকে সে টাকার জন্য তার স্ত্রীকে নানা ভাবে চাপ দিতে থাকে। টাকা না পেয়ে তাকে নির্যাতন করা হয় নানাভাবে।
নির্যাতিতা মহিলার বাবা আবদুল খালেক জানান, দীর্ঘদিন থেকে তার মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে তার স্বামী। বিভিন্ন ধাপে তাকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিস বৈঠকও হয়েছে। গতকাল তারা আবারও তার মেয়ের ওপর এ অমানুষিক নির্যাতন করে বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ইউসুপ সোহাগ বলেন, নার্স দিয়ে আহত মহিলার শরীরের বিভিন্ন অংশ দেখা হয়েছে। তাতে তার গোপনাঙ্গসহ বিভিন্ন অংশে আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জাহাজমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, মহিলাকে তার শ্বশুর বাড়িতে পিটিয়ে আহত করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এই সংবাদ পেয়ে একটি টিম পাঠানো হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। মহিলার পিতাকে অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এস