সাত থেকে ১০ দিনের ব্যবধানে নওগাঁর পাইকারি ও খুচরা মোকামে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। যার ফলশ্রুতিতে সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তদারকি জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা। তবে অতি বৃষ্টির ফলে ধানের দাম বৃদ্ধি এবং করপোরেট ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দুষছেন মিল মালিকরা।
পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি বেড়েছে দেড় থেকে দুইশ টাকা। যার প্রভাবে খুচরা বাজারে বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা। বুধবার (২৫ জুন) সকালে নওগাঁ পৌর খুচরা ও পাইকারি চাল বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।
পৌর চাল বাজারের খুচরা ও পাইকারি চাল বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ঈদের পর থেকে পর্যায়ক্রমে দাম বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে কেজিতে ৫-৭ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে মোটা জাতের স্বর্না-৫ চাল ৫৮-৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন তারা। কয়েকদিন আগেও সেই চালের দাম ছিল ৫২-৫৪টাকা। আর চিকন জাতের কাটারি ৭৫-৭৬ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, সুবর্ণলতা ৬৫-৬৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন। চিকন জাতের এই চালগুলো ঈদের আগেও কেজি প্রতি ৬-৭টাকা কমে বিক্রি করেছেন তারা ।
তারা জানিয়েছেন, যারা মিল মালিকরা রয়েছেন তারা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ধান মজুদ করছেন। যার ফলে কৃত্রিম সংকট তৈরি হওয়ার আশংকা জেগেছে। সরকারের উচিত বাজার তদারকি জোরদার করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।
এদিকে চালের দাম বৃদ্ধিতে চাল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে দিন মজুররা পড়েছেন বিপাকে। সাধারণ ক্রেতাদের সুবিধার্থে হলেও চালের দাম কমাতে সরকারের প্রতি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা ।
অপরদিকে জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার জানিয়েছেন- মৌসুমে শুরু থেকে দেশের সকল যায়গায় অতি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এর ফলে কৃষকের জমিতে থাকা ধানের ক্ষতি হয়েছে। যার কারণে মোকামে ধানের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা ও পাইকারি চাল বাজারে। এ ছাড়াও যারা কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা রয়েছেন তাদের চালের দাম সিন্ডিকেটের ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে সব ধরনের চালের দাম।
আরটিভি/এফএ -টি