রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দশম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী ও তার বন্ধুকে আটকে বিবস্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছে বখাটেরা। এ অভিযোগে দু’বখাটের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়। তবে এখনো অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ওই ছাত্রীর করা মামলায় বলা হয়েছে, মাগুরা জেলা সদরের তরুণটির সঙ্গে সম্প্রতি স্কুলছাত্রীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে দেখা করতে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ওই তরুণ গোয়ালন্দ পৌর এলাকার জামতলায় আসে। রাত হওয়ায় স্কুলছাত্রী দেখা করতে আপত্তি জানায় তার এই বন্ধুর সঙ্গে। তখন এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ফোনে কথা-কাটাকাটি হয়।
জামতলায় দাঁড়িয়ে তরুণটি যখন এসব কথা বলছিল, তখন সেখানে থাকা দু’ব্যক্তি তা শুনতে পেয়ে তরুণকে আটক করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা তরুণকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যায়। তরুণের মুঠোফোন থেকে ফোন করে ঘরের দরজা খুলতে বলে। তাতে আপত্তি জানালে ভয়ভীতি দেখানো হয় মেয়েটিকে। একপর্যায়ে দরজা খুললে ঘরে প্রবেশ করেই বখাটেরা স্কুলছাত্রী ও তার প্রেমিককে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
এ সময় বখাটেরা স্কুলছাত্রীর হাতে থাকা দু’টি স্বর্ণের আংটি ও একটি দামি টর্চ লাইট নিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে না চাইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। মেয়েটির চিৎকারে বখাটেরা দ্রুত তরুণকে নিয়ে এলাকা ছাড়ে।
স্কুলছাত্রীর বাবা দেশের বাইরে থাকেন। ঘটনার দিন তার মা পারিবারিক প্রয়োজনে রাজবাড়ীর এক আত্মীয়র বাড়িতে ছিলেন। বাড়িতে শুধু স্কুলছাত্রী ও তার নানী ছিল। খবর পেয়ে পরদিন সকালে স্কুলছাত্রীর মা বাড়িতে আসেন। মেয়ের কাছ থেকে সব জানার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করা হয়।
ওই ছাত্রী বলেছে, মাগুরায় তার বন্ধুর মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে পারছে না। ঘটনার তিনদিন পরও পুলিশ কাউকে আটক করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছে পরিবারটি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বললেন, এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তবে তাদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে।
কে/ এস