গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে তুচ্ছ ঘটনায় ২ স্কুল শিক্ষার্থীর হাতাহাতিতে দু’ভাগ হয়ে গেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাজার ও স্কুল বয়কট করেছে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের এ ঘটনার উত্তেজনা প্রশমনে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে না পারলে হয়তো ঘটতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো ঘটনাও।
ননীক্ষীর স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির হিন্দু শিক্ষার্থী শাওন বাইন ও চতুর্থ শ্রেণির মুসলিম শিক্ষার্থী তানজিলা খানমের মধ্যে গেলো বৃহস্পতিবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তানজিলার বাবা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মন্টু সরদার শাওন বাইনকে স্কুল ক্যাম্পাসে মারধর করেন।
এখানেই শেষ নয়, ঘটনার রেশ গিয়ে পড়ে শাওনের বাবা পূর্ণ চয়ন বাইনের ওপরও। ওইদিনই মন্টু সরদার তার ভাই আকবর সরদার, বশার সরদার ও হেলাল সরদার মিলে ননীক্ষির বাজারে পূর্ণ চয়নকে বেধড়কভাবে পেটায়।
এ ঘটনায় ননীক্ষীর ও মহিসতলী গ্রামের লোকজনের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামে হিন্দু সম্প্রদায়। দু’গ্রামের সংখ্যালঘুরা এক হয়ে সিদ্ধাস্ত নেয় ননীক্ষীর স্কুল ও বাজার বয়কটের।
এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিনা। তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে আমি ঢাকা থেকে চলে এসেছি। স্থানীয় লোকদের ডেকেছি। বিকেলের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করে ফেলবো এবং ভবিষ্যতে যাতে সমস্যা আর না বাড়ে সেদিকেও লক্ষ্য রাখবো।’
তবে হিন্দুদের অভিযোগগুলোকে অসত্য বলে জানান তিনি।
অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে দু’টি গ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে ওঠবে, এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
এস