কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে চুল কেটে অমানুষিক নির্যাতন
বিয়ে মেনে নিতে না পারায় কুষ্টিয়ায় এক গৃহবধূকে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন অমানুষিক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর ও মাথার চুল কেটে দিয়েছে। তিনি বর্তমানে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
গেল রোববার (২৪ মার্চ) উপজেলার গোপালনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে ২৭ মার্চ এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গেল রোববার বিকেলে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ তার স্বামীর সঙ্গে ঘরে বসে গল্প করছিলেন। এসময় স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রী, শ্বশুড়-শাশুড়ি, চাচাতো দেবর ও চাচাতো দুলাভাই ওই গৃহবধূকে ঘর থেকে টেনে এনে একটি সজনে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করতে থাকে। এক নারী জুতা ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে ওই গৃহবধূকে। পরে তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর চিৎকারে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, গৃহবধূর শরীরে নির্যাতনের আঘাত রয়েছে। চুল কেটে ফেলায় তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম জানান, এই ঘটনায় ২৭ মার্চ মামলা হয়েছে। তার আগেই আসামিরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
জেবি
মন্তব্য করুন