শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আট শতাধিক গাড়ি (ভিডিও)
ঈদের ছুটিতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
তবে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ রুটে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়াও ৮৭টি লঞ্চ ও সাড়ে তিন শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে।
দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল ঢাকা থেকে বাড়ি যেতে শুরু করেছেন। ঈদের বাড়তি চাপ শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় আট শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফয়সাল।
এর আগে বৈরী আবহাওয়ায় কারণে গেল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এ রুটে সকল প্রকার ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। ১৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সীমিত আকারে সাতটি ফেরি চলাচল শুরু করে। পরে সাড়ে ১১টার পর থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এ সময় এ রুটে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগী নিয়ে আসা যাত্রী ও স্বজনরা চরম বিপাকে পড়েন।
এদিকে ফেরিঘাট এলাকায় রাতে আলো স্বল্পতা থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। ঘাট এলাকায় রাতে আরও আলোর ব্যবস্থা বৃদ্ধি করার দাবি যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিসির (মেরিন) ম্যানেজার আহাম্মদ আলি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ রুটে ১৭টি ফেরি চলছে। তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফেরি চলাচল অব্যাহত থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএর (শিমুলিয়া) উপ-পরিচালক আলি আজগর জানান, ঈদের ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে ঘাটে। এ রুটে ৮৭টি লঞ্চ ও সাড়ে তিন শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে।
আলো স্বল্পতার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘাটে আলো যেটুকু দরকার সেইটুকুই আছে। তারপরও যদি আরও আলোর দরকার হয় সেটা প্রকৌশল বিভাগ দেখবে।
জেবি
মন্তব্য করুন