হিলি স্থলবন্দরে পেয়াঁজের দাম কেজিতে কমেছে ৩০ টাকা (ভিডিও)
ভারত সরকার ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা দেওয়ার পরই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে। সেই সাথে হিলি স্থলবন্দর এলাকার আড়তগুলোতে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছিল আড়তদারেরা। তবে সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মজুদদার ও আড়তদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন। এরই প্রভাব পড়েছে হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলোতে।
কমতে শুরু করেছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। যে পেঁয়াজ বন্দরের পাইকারি ও খোলা বাজারে ( রোববার, সোমবার, মঙ্গলবার) বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা দরে। সেই পেঁয়াজ বুধবার সকাল থেকে বন্দরের আড়তগুলোতে প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কমে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আর এতে খুশি বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।
আড়তগুলোতে দাম কমার সাথে সাথে বন্দর এলাকার খোলা বাজারেও কমেছে পেঁয়াজের দাম, স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। কেজিতে কমেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। তবে বন্দরের আড়তগুলোতে মজুদকৃত পেঁয়াজ বাজারে যদি ছাড়া হয় এবং প্রশাসনের কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করা হলে দাম আরো স্বাভাবিক হয়ে আসবে এমনটাই আশা সাধারণ ক্রেতাদের।
হিলি স্থলবন্দরের আড়তদাররা জানান, রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পরেই বন্দরের বেশির ভাগ আড়তগুলো বন্ধ ছিল, সেই সাথে বেড়েছিল ক্রেতা সমাগম। দুই একটি আড়ত খোলা থাকায় বেশি দামে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ, তবে সব আড়তগুলো আজ খোলা রাখায় পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে।
তারা আরো জানান, আমদানিকারকরা আমাদেরকে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেছে, তাই আমরা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। আজ তারা কম দামে বিক্রি করতে বলেছে। আমরা তাই কম দামে বিক্রি করতেছি।
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বাজার মনিটরিংয়ের জন্য নির্দেশনা আমাদের কাছে আছে। যেহেতু আজকে দিনাজপুর সদরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের সাথে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের বৈঠক চলছে। সেই বৈঠকে যদি ব্যবসায়ীরা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বাজার মনিটরিংয়ের প্রয়োজন হবে না। তবে যদি কম দামে বিক্রি না করে সেক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হবে।
পি
মন্তব্য করুন