ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া বেশিরভাগ নতুন ওয়ার্ডে এখনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মশা নিধন কাযর্ক্রম শুরু হয়নি। ফলে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত নানা রোগের ঝুঁকিতে আছে ওইসব এলাকার বাসিন্দারা। রাজধানীর কোণাপাড়া ও এর আশপাশের এলাকা মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এলাকার খালি জায়গা-জমিগুলো হয়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়।
রাজধানীর পাশের শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ এই ৮টি ইউনিয়নকে ২০১৬ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তবে এখনো নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত নতুন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। মাতুয়াইলের কোণাপাড়ার গোলাম মোস্তফা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের বদ্ধ পুকুরটি যেন মশার প্রজনন ক্ষেত্র। এলাকাটিতে নগর কর্তৃপক্ষের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম না থাকায় জলাশয়, খালি প্লট ও জমিগুলো পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগারে। শ্মশানঘাট এলাকার বাসা-বাড়ির আশপাশের নিচু জমিতে জলাবদ্ধতা ও মশার বিস্তার ঘটলেও প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেই। মশার অত্যাচার ও মশাবাহিত রোগ এখানকার বাসিন্দাদের নিত্যসঙ্গী। রাজধানীর পূর্বাঞ্চলের ফজলুল হক স্কুল এন্ড কলেজ লাগোয়া ময়লার ভাগাড় ও ডোবার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ১৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী।
এসব বিষয়ে কথা বলতে কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লাহ বাবুলের সঙ্গে কয়েকদিন ধরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, নতুন এসব এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মশা নিধন কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে। সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া নতুন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা দ্রুত সব নাগরিক সেবা নিশ্চিতের দাবি জানান।
পি