• ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
logo

বিসিবি পরিচালকের গাড়ি থেকে গুলি-মাদক উদ্ধার

আরটিভি অনলাইন

  ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:২৪
বিসিবি পরিচালকের গাড়ি থেকে গুলি-মাদক উদ্ধার
বিসিবি পরিচালকের গাড়ি থেকে গুলি-মাদক উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জে দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাশেমের ছেলে ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলের (৩৯) গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও গুলি উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় চৌরঙ্গী ফিলিং স্টেশনের সামনে তার গাড়ি থেকে এসব মাদক উদ্ধার করা হয়।

শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদ।

পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় চৌরঙ্গী ফিলিং স্টেশনের সামনে শওকত আজিজ রাসেলের গাড়ি থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। এছাড়া গাড়ি থেকে একটি প্যাকেটে থাকা ২৮ রাউন্ড গুলি, ১২০০ ইয়াবা, ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ৪৮ ক্যান বিয়ার ও ২২ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় মাদক বহনকারী একটি সাদা রঙের পাজারো জিপ।

পুলিশ সুপার বলেন, এ ব্যাপারে শওকত আজিজ রাসেল ও গাড়িচালক সুমনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা হয়েছে। শওকত আজিজ রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আটক ২৫
---------------------------------------------------------------------

তিনি জানান, শনিবার সকালে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ হাশেম গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এসে শওকত আজিজ রাসেলের অবৈধ অস্ত্রটি উদ্ধারে পুলিশকে সহায়তা করবে এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন।

এছাড়া পুলিশ সুপারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত ১টার দিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে ঢাকার বাসায় নামিয়ে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ ফিরছিলেন দেহরক্ষী নাজমূল হোসেন ও পুলিশ সুপারের গাড়িচালক জুয়েল মিয়া। রাজধানী তেজগাঁও সাতরাস্তার মগবাজার ফ্লাইওভারের মাঝখানে পৌঁছালে যানজটে আটকে পড়েন তারা। এ সময় গাড়ির চালক জুয়েল মিয়া হর্ন দিলে সামনে থাকা পাজারো জিপ থেকে একজন লোক নেমে এসে পুলিশ সুপারের গাড়ির কাচে সজোরে আঘাত করে গালিগালাজ করতে থাকেন। তিনি গাড়ির দরজা খুলতে বলেন। তখন পুলিশ সুপারের গাড়িচালক জুয়েল মিয়া জানালা খুলে প্রতিবাদ করলে উক্ত ব্যক্তি তাকে হত্যার জন্য মাথায় পিস্তল তাক করে ধরেন।

গাড়ি থেকে নেমে আসা ব্যক্তি শওকত আজিজ রাসেল পুলিশের লোক বুঝতে পেরে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ সুপারের গাড়িচালক ও দেহরক্ষী পেছন থেকে সামনের জিপটিকে ফলো করতে থাকেন। জিপটিকে রাত পৌনে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের দিকে আসতে দেখে মোবাইল ফোনে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জলিল মাতবরকে এসপির দেহরক্ষী নাজমূল বিষয়টি অবহিত করেন। পরে এসআই জলিলের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ গিয়ে জিপটিতে তল্লাশি চালায়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, জিপটি থেকে বিপুল পরিমাণ গুলিসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ। তবে শওকত আজিজ রাসেল কৌশলে পালিয়ে যান। তবে পুলিশ গ্রেপ্তার করে গাড়িচালক সুমনকে।

এ সময় গাড়িতে থাকা শওকত আজিজ রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল ও তার ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে দুইজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন

এসএস

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাথরঘাটায় মাদকসহ কারবারি আটক
বিমানবন্দরে আটক অবসরে যাওয়া সচিব ইসমাইল
আশুলিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১৩ 
জাবিতে নেপালি শিক্ষার্থী আটক