ধর্ষণ মামলায় সাক্ষী না দেওয়ায় চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ
মানিকগঞ্জে একটি ধর্ষণ মামলায় আদালতে সাক্ষী না দেওয়াতে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল মালেক খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত।
তার বেতন বন্ধসহ শাস্তিমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে আগামী ১৯ জানুয়ারি তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই আদেশ দেন।
মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম নূরুল হুদা রুবেল জানান, ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণ মামলায় এক আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। মামলায় ভুক্তভোগীর ধর্ষণজনিত ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেন হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল মালেক। তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য একাধিকবার সমন জারি করা হলেও তিনি আদালতে সাক্ষী দেননি।
সাক্ষীর বরাবর ইস্যুকৃত সময় তামিলকারী হরিরামপুর থানার এএসআই আমিনুর এই মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মঙ্গলবার সাক্ষী ডাক্তার আব্দুল মালেক খান আদালতে অনুপস্থিতি থাকায় বিচারকের কাছে প্রতীয়মান হয় যে সাক্ষী ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের সমন এড়িয়ে চলছেন। এতে মামলা নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। তাই আগামী ১৯ জানুয়ারি সাক্ষী আব্দুল মালেক খানকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারের হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল মালেক জানান, এই মামলাটি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। আদালত যদি ১৯ জানুয়ারি সশরীরে উপস্থিত হতে বলেন, তবে নির্ধারিত তারিখেই আদালতে তিনি উপস্থিত হবেন।
জেবি
মন্তব্য করুন