সিরাজগঞ্জে অজ্ঞাত রোগে টমেটো ক্ষেতে পচন
সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে অজ্ঞাত রোগে নষ্ট হয়ে গেছে শত শত বিঘা জমির টমেটো ক্ষেত। বালাই নাশক দিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। কৃষি বিভাগ সঠিক পরামর্শ দেয়নি এমন অভিযোগ চাষিদের। একদিকে ঋণের বোঝা অন্যদিকে আগামী ফসল চাষ নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি টমেটো চাষ হয়ে থাকে জেলার কাজীপুর উপজেলার হাজরাহাটি, হরিনাথপুর, সোনামুখী ও ভানুডাঙ্গা গ্রামে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এ টমেটো চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে।
চলতি বছরও জেলার কাজীপুর উপজেলায় শত শত বিঘা জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে গাছ বড় হয়ে সবুজে ছেয়ে যায় টমেটো ক্ষেত। কিন্তু গাছ বড় আকার ধারণ করার পর থেকেই টমেটো গাছে অজ্ঞাত রোগ দেখা দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন টমেটো চাষিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় টমেটো ক্ষেত রোগে আক্রান্ত হয়ে সবুজ রঙ এখন ধূসর আকার ধারণ করেছে । গাছে টমেটো ধরে সেটি বড় হয়ে আবার পচন ধরছে।
হরিনাথপুর গ্রামের আবুল হোসেন জানান, রোগটি প্রথমে গাছের মাথায় আক্রমণ করে। পরে গাছের গোড়া থেকে পচন ধরে গাছ মারা যেতে শুরু করে। স্থানীয় ডিলারদের পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনও উপকার পাওয়া যায়নি।
ভানুডাঙ্গা গ্রামের শহীদ আলী জানান, বড় আশা করে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এই টমেটোর আবাদ শুরু করেছি, প্রথমে গাছের চেহারা ভালোই ছিল কিন্তু ফল ধরবার পর থেকেই একের পর এক রোগের আক্রমণ শুরু হয়। কৃষি অফিসের কেউ তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
স্থানীয় চাষিরা এ রোগকে সনাক্ত করতে পারেনি। টমেটো চাষিদের অভিযোগ কৃষি অফিসের পরামর্শ না পাওয়ায় তাদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হয়েছে। এতে করে কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক চাষি এখন হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুল হক জানান, এবার জেলার কাজীপুরে টমেটো ক্ষেতে ক্ষতিকারক রোগের আক্রমণ দেখে আমাদের শিক্ষা হয়েছে। ভবিষ্যতে জেলার যে সমস্ত স্থানে আগাম টমেটো চাষ হয় সেসব জায়গায় অতিরিক্ত জনবল নিয়োগসহ দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঠিক দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এজে/ এমকে
মন্তব্য করুন