লকডাউনের মধ্যেও বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর খুচরা পর্যায়ে এবং ডিলারদের কাছে মদ বিক্রি করছেন। এমন চিত্র ধারণ করায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানকে মারপিট করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
পরে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ মদ জব্দ করা হয়। তবে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। শনিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বর্তমানে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এর মধ্যে শুধু জরুরি পরিষেবাগুলো ছাড়া বাকি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের তরফে। তারপরও বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বেশি দামে খুচরা পর্যায়ে এবং ডিলারদের কাছে মদ বিক্রি করছে।
মূলত সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে মদ বিক্রি করতে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তিদের নিকট এই দুর্যোগের সময়ে গোপনে মদ বিক্রি করছে। যেখানে এক লিটার মদের দাম মাত্র ৯০ টাকা, সেখানে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ১ লিটার মদের দাম রাখছে ৫০০ টাকা।
আর এই চিত্রধারণ করতে গিয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে মারধরের শিকার হন বাংলাভিশনের ক্যামেরাপারসন। পরে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
মারধরের শিকার সাংবাদিক বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যেও অবৈধভাবে মদ বিক্রি করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক হাফিজুর রহমান। আর এই ঘটনার চিত্র ধারণ করতে গেলে আমাকে মারধর করে আটকে রাখে তারা। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’
এদিকে, বরিশালের সচেতন মহলের প্রশ্ন লকডাউনের মধ্যেও কিভাবে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাদক দ্রব্য অধিদপ্তর বেশি দামে মদ বিক্রি করছেন। তারা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মতামত ব্যক্ত করেন। তাদের ধারণা অধিদপ্তরের ছোট থেকে বড় কর্তা এই অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত আছেন।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাব ও পুলিশের যৌথ টিম অধিদপ্তরের কার্যালয়ের বিভিন্ন রুমে তল্লাশি চালিয়ে ১৮০ লিটার মদ জব্দ করেন।
এজে/পি