জয়পুরহাটে রাস্তার পাশে সন্তানের মরদেহ নিয়ে নির্বাক মা!
অবৈধভাবে ঢাকা থেকে হিলির ছেড়ে উদ্দেশে ছেড়ে আসা আহাদ পরিবহনের একটি বাস থেকে করোনা সন্দেহে মিজানুর রহমান (৫০) নামে এক মৃত ব্যক্তির মরদেহসহ তার মাকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কের হিচমি নামক স্থানে এই মরদেহ নামানো হয়।
তিনি পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার ধামুরইরহাট উপজেলার জাহানপুর গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে।
করোনা সন্দেহে খবর পেয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সেখানে গিয়ে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
মৃত ব্যক্তির মা সোহাগী বেগম বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।
বম্বু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা সামছুল আলম বলেন, মরদেহ ও মাকে হিচমী এলাকায় বাস থেকে ভোরের দিকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ওই এলাকার নৈশপ্রহরীরা আমাকে খবর দিলে প্রশাসনকে আমি খবর দেই।
জাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওসমান আলী জানান, মিজানুরের দীর্ঘদিন থেকে শ্বাসকষ্ট ও কিডনির সমস্যা ছিল। তার স্ত্রী ঢাকাতে গার্মেন্টেসে চাকরি করেন এই সুবাদে তিনি মাঝে মধ্যে ঢাকাতে রিকশা চালানোসহ বিভিন্ন পেশায় কাজ করে দুই-তিন দিন আগে তার মাসহ ঢাকাতে যায় বউয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য হঠাৎ করে মৃত্যু হওয়ার কারণে আমরা গ্রামবাসীরাও মর্মাহত। তার কোনও করোনা উপসর্গ না থাকার কারণে মরদেহ জয়পুরহাট থেকে নিয়ে এসে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
জয়পুরহাট সদর থানার এস আই পুলক সরকার বলেন, ঢাকার জিরানী বাজার থেকে মা ও ছেলে আহাদ পরিবহনের বাসে করে আসার সময় বাসের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। পরে বাসটি বাইপাস দিয়ে যাওয়ার সময় হিচমী এলাকায় নেমে দিয়ে যায়।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় জানান, মৃত ব্যক্তি ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করা স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরছিলেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল রাতে তার মা সোহাগী বেগম তাকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসার সময় রাস্তায় বাসের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। এ সময় বাসের অন্য যাত্রীরা করোনা সন্দেহে মাসহ তাদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন