চাঁদপুরে লঞ্চঘাটে কোনও নিয়মই মানেনি যাত্রীরা
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সময়ের ব্যবধানে ঝুঁকি বাড়ছে। সোমবার (১ জুন) লঞ্চঘাটে যাত্রীদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যাত্রী সংখ্যা। কেউ কোনও নিয়মনীতি তোয়াক্কা করছে না। যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিমিত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বেলা ১১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি রফ রফ-৭ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। কোনোভাবেই যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। সকালে যাত্রী নিরাপত্তায় জীবাণুনাশক স্প্রে দেয়া হলেও, পরবর্তীতে ঘাটে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কোনও ধরনের জীবাণুনাশক ওষুধ স্প্রে দেয়া যায়নি।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের ঘাট সুপারভাইজার আলী আজগর বলেন, আমরা নিয়ম মেনে যাত্রীদের লঞ্চে উঠাচ্ছি। কোনও ধরনের অনিয়ম হচ্ছে না। অনেক সময় যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিমিত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দায়িত্ব পালনকারী নবনিযুক্ত বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আবুল বাশার মজুমদার বলেন, যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে লঞ্চে উঠছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ঘাটে প্রচুর পরিমাণে যাত্রী থাকায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদেরকে কোনও অবস্থাতেই কথা শোনানো যায়নি।
চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে পরিস্থিতি অনেকটা খারাপ হয়ে যায়। তবুও আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের পরিবহনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
চাঁদপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা এই লঞ্চঘাট ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকায় যাত্রা করায় ভিড় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ঘাটে। ঝুঁকি জেনেও যাত্রীরা তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে। চাঁদপুর থেকে দেশের অন্তত ২০টি রুটে অর্ধশত যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে থাকে।
এসএস
মন্তব্য করুন