• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
logo

পিকেএসএফ’র বৃত্তি পেয়ে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মুখে হাঁসি

‘বৃত্তি আগামীতে লেখাপড়া আরও বেশি উৎসাহ যুগাবে’

বি এম ফারুক, যশোর

  ০৩ জুন ২০২০, ২১:৫৩
'Scholarship will encourage more studies in future'
ছবি সংগৃহীত

দরিদ্র বাবার মুখে হাঁসি ফোটানোর প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামের উম্মে সালমা। লেখাপড়া শিখে বাবা-মার পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন সে। গাড়ি চালক নূর বক্সের মেয়ে উম্মে সালমা। মা মনোয়ারা বেগম। একজন গৃহিণী। জীবন যুদ্ধে লড়াকু সৈনিক বাবা নূর বক্স আর যাতে জীবন বাজি রেখে গাড়ি চালাতে না হয়, এজন্য তিনি আগামীর সোনালী স্বপ্ন দেখে।

সালমা বলেন, আজকের এই বৃত্তি আমাকে আগামী দিনের জন্য আরও বেশি দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। আমার শুধু লেখাপড়া করার নয়, ভালো ফলাফল করতে উৎসাহিত করেছে। এই বৃত্তির টাকা আমার লেখাপড়ার আরও বেশি সাহস যুগিয়েছে। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল করতে পারি তার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে। আমি ভালো লেখাপড়া শিখে বাবা-মার মুখে হাঁসি ফুটাতে পারি তার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।

সালমা আগামী বছর (২০২১ সালে) কালীগঞ্জ মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবেন। এ বছর পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) থেকে বৃত্তি লাভ করেছেন।

পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্ম এলাকার আওতাভুক্ত অতি দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নির্বিঘ্নে চালিয়ে নিতে আর্থিক সহায়তা করা এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে পিকেএসএফ ২০১২ সাল থেকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর জোনে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে যশোর ধর্মতলা এলাকায় পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের জোনাল কার্যালয়ে এই বৃত্তির চেক তুলে দেয়া হয়। করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চেক তুলে দেন পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের জোনাল ম্যানেজার গাজী এনামুল কবীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এরিয়া ম্যানেজার আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম, অ্যাডমিন অফিসার সালেহা পারভীন স্বপ্না প্রমুখ।

শুধু উম্মে সালমা নয়, তার মতো আরও বৃত্তি পেয়েছে যশোরের ঝিকরগাছার অমল কুমার রায় ও কল্যাণী রাণী রায়ের মেয়ে কুমারী সমাপ্তী রাণী রায়, একই উপজেলার কামরুল ইসলাম ও সকিনা খাতুনের মেয়ে রাবেয়া সুলতানা এবং ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের নিরঞ্জন দাস ও সোনালী দাসের মেয়ে সনজু দাস। তাদের প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের জোনাল ম্যানেজার গাজী এনামুল কবীর বলেন, বৃত্তি পেলে পড়াশোনা ভালো করার দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। যে নিজেকে সাহায্য করতে পারে না, সে অন্যকেও সাহায্য করতে পারে না।

বৃত্তি প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজ তোমরা যারা বৃত্তি পেয়েছ, তোমাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত শপথ নিতে হবে। তোমাদের মাঝে লুকিয়ে আছে অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। তাই এখন থেকে সৎ, নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, তোমাদের একথা স্মরণ করে দিতে চাই, আজ তোমরা এই এলাকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে, তাই বলে তুমি অনেক বড় হয়ে যাওনি। বর্তমান পৃথিবী অনেক চ্যালেঞ্জিং, তাই তোমরা এখান বসে না থেকে পৃথিবীকে গড়ার জন্য তোমাদের কঠিন অধ্যবসায় ও পরিশ্রম করতে হবে। কেননা পৃথিবীকে গড়তে হলে আগে নিজেকে প্রস্তুত হতে হবে। তাই তোমাদের এখন প্রস্তুতি নেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

এসএস

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
শনির আখড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
৪ দাবিতে শাহবাগে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অবস্থান
অপপ্রচারে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, সিদ্ধান্ত বাতিল মাউশির
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর দিলো ইতালি