ঢাকারোববার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

সে রাতে সাম্যর সঙ্গে আসলে কী ঘটেছিল, জানালেন তার বন্ধু

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ , ১১:৫০ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে একটি মোটরসাইকেলে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) ও তার দুই বন্ধু।

বিজ্ঞাপন

পথে অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। ওই মোটরসাইকেলের দু’তিন আরোহী ও তাদের সঙ্গে থাকা আরও দু’তিনটি মোটরসাইকেলের আরোহীসহ মোট ১০-১২ জনের সঙ্গে শাহরিয়ারদের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিরা তাদের মারতে শুরু করেন। তারাও আত্মরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

শাহরিয়ারের সঙ্গে থাকা বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ঘটনার এমন বর্ণনা দেন। বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রাফি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। নিহত শাহরিয়ারও একই শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ছিলেন। শাহরিয়ার স্যার এ এফ রহমান হলের শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আশরাফুল আলম বলেন, আমরা তিনজন (সাম্য, রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদ) মোটরসাইকেলে করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম। এ সময় আমাদের মোটরসাইকেলের সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলের ছোটখাটো একটা ক্ল্যাশ (সংঘর্ষ) হয়। ওই মোটরসাইকেলের চালক ও যাত্রীর সঙ্গে আরও তিন-চারটার মতো মোটরসাইকেলে মোট ১০-১২ জন ছিলেন। মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগার পর তাদের সঙ্গে আমাদের কথা-কাটাকাটি হয়।

কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের তিনজনের ওপর ওই ব্যক্তিরা আক্রমণ করেন বলে জানান আশরাফুল আলম।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা আত্মরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু এর মধ্যে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করা হয়। সাম্যর শরীর থেকে প্রচুর রক্ত ঝরে। বলা যায়, ঘটনাস্থলেই সাম্য মারা যায়। অর্থাৎ স্পট ডেথ।

বিজ্ঞাপন

আশরাফুল বলেন, ৬-৭ বছর তারা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন। তাদের সম্পর্কটা শুধু বন্ধু নয়, ভাইয়ের মতো ছিল।

বিজ্ঞাপন

শাহরিয়ার আলম হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতে ও আজ দিনভর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ক্যাম্পাসে শাহরিয়ারের জানাজা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে ঘটনা তদন্তে বুধবার সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই হত্যার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রদল।

আরটিভি/একে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |