ভারী বর্ষণ, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেয়ায় লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এতে ৫ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের ১৫টি চরের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
অব্যাহতভাবে পানি বৃদ্ধির ফলে শুধু ঘরবাড়ি নয়, তলিয়ে গেছে তিস্তার ভাটিতে অনেক ফসলী জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, উজানের ঢলে থেমে থেমে বাড়ছে তিস্তার পানি, পানির চাপ সামাল দিতে ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে আকর্ষিক পানিবৃদ্ধির কারণে তিস্তা চরের মানুষজন চরম দুঃখ দুর্দশার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
তিস্তা পাড়ের ভুক্তভোগী মানুষজন বলছেন, যখন পানির প্রয়োজন তখন পানি পাই না, আর যখন পানির কোনও প্রয়োজন নেই, তখন পানিতে ভেসে বেড়াই। এ জন্য তারা তিস্তা ব্যারেজের উজানে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজকে দায়ী করেছেন।
দীর্ঘদিন পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে তিস্তাপাড়ের মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছিল তা এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এরপরও আশা ছাড়েননি তারা, দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার ভিত্তিতে পানিবন্টন চুক্তি সম্পন্ন করা হবে এমনটি মনে করছেন তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষের।
এসএস