করোনার মধ্যেও জুয়ার রমরমা আসর
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিধি-নিষেধ না মেনে দোকানপাট খোলা রেখে মোংলায় প্রকাশ্যে রমরমা জুয়ার আসর বসিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে উত্তর চাঁদপাই মোড় সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে দিনে রাতে প্রকাশ্যে এ জুয়ার আসর চললেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
এ ব্যাপারে চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোল্লা মো. তারিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি একাধিকবার পুলিশকে জানিয়েছি, তবে তারা অভিযান চালায়নি।’
চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক মেম্বর রাবেয়া বেগমের ছেলে মো. মিঠুন হাওলাদার এই জুয়ার আসর বসিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
সোমবার (২২ জুন) দুপুরে সরেজমিনে উত্তর চাঁদপাই মোড় সংলগ্ন মো. মিঠুন হাওলাদারের চায়ের দোকানে গেলে দেখা মেলে প্রকাশ্যে জুয়ার আসর। সেখানে একদল জুয়াড়ি টাকার বিনিময়ে তাস, পাশা এবং দাবা খেলছেন।
স্থানীয় সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা দেখে সেখান থেকে মিঠুনসহ জুয়াড়িরা দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা এ সময় অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এখানে জুয়া চললেও কখনো পুলিশ এসে অভিযান চালায়নি। এতে করে যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। এভাবে তো চলতে দেয়া যায়না।
চাঁদপাই মোড় এলাকায় মিঠুনের দোকান ও জনৈক হাবিব মোড়লের বাড়িসহ কয়েকটি পয়েন্টে প্রতিনিয়ত বসছে জুয়ার রমরমা আসর।
এদিকে চাঁদপাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, উত্তর চাঁদপাই গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে জুয়ার আসর বসে বলে আমার কাছে তথ্য আছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে কোনো কাজ হয়নি। তবে আবারও বিশেষ করে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও থানার সঙ্গে কথা বলে দেখি এ নিয়ে কি করা যায়।
এ প্রসঙ্গে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা আপনাদের কাজ করেন। আর আমরা আমাদের কাজ করবো।’
তবে, পুলিশের (মোংলা সার্কেল’র) এএসপি আসিফ ইকবাল বলেন, আমি শিগগিরই মোংলা উপজেলার এসিল্যান্ডকে নিয়ে এই জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালাবো।
এজে
মন্তব্য করুন