শরীয়তপুর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
শরীয়তপুরে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়ে বন্যার পানিতে ভাসছে শরীয়তপুরের ৪টি উপজেলার কমপক্ষে ৫০টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভা। শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়ক তলিয়ে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৬দিন ধরে শরীয়তপুর-ঢাকা ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ফলে শরীয়তপুর থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে শরীয়তপুরগামী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেটে ও নৌকা ট্রলার যোগে পার হয়ে যাতায়াত করছে। ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
এ দিকে বন্যার পানিতে হাজার হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়ি ঘর ও রাস্তা ঘাট। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ৩৫ হাজার পরিবার।
বন্যা দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানীয় জল, পয়ঃনিষ্কাশন ও গো-খাদ্য সংকট প্রকট। হাজার হাজার একর জমির ফসল শাকসবজি বিনষ্ট হয়ে গেছে। এ সব এলাকায় ২৯৮টি স্কুল-কাম আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
পদ্মা নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধির ফলে সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার্তদের মাঝে দেয়া সরকারি সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। জরুরি ভিত্তিতে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া জরুরি।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নড়িয়া উপজেলার জন্য ১১০ মেট্রিক টন জাজিরা উপজেলায় ২৬০ মেট্রিক টন, ভেদরগঞ্জ ৩০ মেট্রিক টন,শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৭০ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখার প্রধান সহকারী মো. রাকিব হোসেন বলেন, জেলার ৪টি উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার দুর্গত মানুষের জন্য ৪৭০ মেট্রিক টন জিআর চাল ও শুকনো খাবর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার। শরীয়তপুর ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিবুর রহমান বলেন, পদ্মা নদীর পানি অব্যাহত বৃদ্ধির ফলে বুধবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ৪টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এজে
মন্তব্য করুন