• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাদক সেবনে বাধা, বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা
ঝালকাঠিতে হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আউরা গ্রামে মো. আফজাল তালুকদার (৪৫) নামের এক যুবক হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন।  শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিলীপ চন্দ্র হাওলাদার হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  নিহত মো. আফজাল তালুকদার মৃত মো. আনোয়ার তালুকদারের বড় ছেল। মো. আফজাল তালুকদার কাঠালিয়া শহরে ডেকরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন। তার স্ত্রী, দুই সন্তান রয়েছে।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।  এদিকে আজও ঝালকাঠির ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রখর রোদে আর ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
‘এখন আমার কি হবে, মনুরে লইয়া কোন পথে যামু’
ছাত্রলীগ নেতার অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল, কমিটি বিলুপ্ত
ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ১২
পাথরঘাটায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
বরিশাল মেডিকেলে প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার এক আসামির হাতে আরেক আসামি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে দু’আসামিকে বেধড়ক পেটান ওই আসামি। পরে আহতদের চতুর্থ তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।  সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুর ১টায় এক আসামির মৃত্যু হয়। নিহত আসামির নাম মো. মোতাহার (৬০)। নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে।  তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। জানা যায়, আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে। হামলাকারী তরিকুল ইসলাম (২৫) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নগরের কোতয়ালি মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক। তিনি বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী আসামি তরিকুল অপর ২ আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারবো না। এ দিকে হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল। এ ব্যাপারে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।  দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
দাদির সঙ্গে নদীতে নেমে স্রোতে ভেসে গেল স্কুলছাত্র
ঝালকাঠির নলছিটিতে দাদির সঙ্গে গঙ্গাস্নানে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পৌর এলাকার কলবাড়ী সংলগ্ন সুগন্দা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নলছিটি পৌর এলাকার ব্যবসায়ী শিমুল চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে আদর চক্রবর্তী (১০) তার দাদির সঙ্গে গঙ্গাস্নানের জন্য নদীর তীরে আসে। এ সময় তার দাদি স্নানে ব্যস্ত থাকায় পা পিছলে আদর নদীতে পড়ে যায়। দাদি তাকে ধরার চেষ্টা করলেও রাখতে পারেননি নদীর স্রোত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।  পুলিশ আরও জানায়, নদীর এই অংশের গভীরতা বেশি। তবে তীর থেকে সেটা বোঝার উপায় নেই দেখলে মনে হবে ঢালু চর। তাই এখানে স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশি; যার কারণেই ছেলেটি স্রোতের টানে পানির নিচে চলে গেছে।  খবর পেয়ে বরিশাল সদর থেকে একটি ডুবুরি দল সকাল সাড়ে এগারোটায় নলছিটি এসে পৌছেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা তল্লাশি চালাচ্ছেন। নিখোঁজ আদর চক্রবর্তী স্থানীয় বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে বলে জানা গেছে।  নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী জানান, আমাদের পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। এ ছাড়া নলছিটি ফায়ার সার্ভিস ও বরিশাল সদর থেকে আগত ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ঈদের দিন তরুণ-তরুণীর মারধর, মিম ফিরলেন শ্বশুরবাড়ি
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলের ওই তরুণ-তরুণী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অভিমান থেকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এবার পুলিশ ও চেয়ারম্যানের সমঝোতায় শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেছেন মিম। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাউফল উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাউফল থানা থেকে ফোন পেয়ে আমি গিয়ে দেখি কামরুল ও মিমকে থানায় এনেছে পুলিশ। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে  সমঝোতার জন্য আমার জিম্মায় দিয়ে দেন। আমি তাদের অবিভাবকদের নিয়ে ইউপিতে বসি। দুই পক্ষ মিলেমিশে থাকতে চায়, তাই মিমকে তার শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেই।  এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি এবং তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি ফয়সালার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিন্মায় দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ওই তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকায় থাকতেন। কামরুল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের আগের দিন কামরুল ও মিম ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। ঈদের দিন কামরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বললে মিম রাজি হয়নি। সে বলে, আমি কেন তোমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে, দরকার হলে তোমার মা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে।  ৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না কেউ।
বাথরুমে মিলল ছাত্রলীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ 
পিরোজপুরের নাজিরপুরে বাথরুমের ভেতর থেকে রাজু শেখ (২৩) নামে এক ছাত্রলীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) উপজেলার সেখমাটিয়া গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাজু শেখ উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও একই ইউনিয়নের সিদ্দিকুর রহমান শেখের ছেলে। এ বিষয়ে রাজু শেখের বাবা সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, রাজু আত্মহত্যা করতে পারে না। রাজু পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করেছে। কুপিয়ে জখমের মামলার আসামিরা রাজুকে মারার হুমকি দিয়ে আসছিল। রাজু শেখের চাচাতো ভাই আল আমিন জানান, প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যেতেন রাজু। শুক্রবারও নামাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন তিনি। নামাজ শেষে আর ঘরে ফেরেনি আসেননি। পরে পরিবারের লোকজন রাজুকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সকাল ১০টায় বাড়ির কাছের বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তবে রাজু শেখের মৃত্যুকে স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করেছেন নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তাপস। এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের সমর্থক হাফিজ শেখের নেতৃত্বে রাজু শেখের ওপর হামলা হয়। সে সময় তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা করেছিল রাজু। সম্প্রতি ওই মামলার আসামি আব্দুর রব ও লুৎফর রহমান কারাগার থেকে বের হয়েছেন। তারা এলাকায় গিয়ে রাজু শেখকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন। এ দিকে নাজিরপুর থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় রাজু শেখের বাবা সিদ্দিকুর রহমান শেখ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।  ময়নাতদন্তের পরে তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
কলাপাড়ায় সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, নিহত ২
কলাপাড়া-পটুয়াখালী মহাসড়কের বিশকানি এলাকায় যাত্রীবাহী চলন্ত সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে  খাদে পড়ে আফজাল হোসেন (৬০) ও জাকারিয়া (২৩) নামের ২ আরোহী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চালকসহ চারজন।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আফজাল হোসেন বরগুনা জেলার বড়ইতলা ও জাকারিয়া চরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। কলাপাড়া থানার এস আই জহুরুল ইসলাম ও আহতরা জানান, আমতলী থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পাঁচ যাত্রী নিয়ে সিএনজিটি বিশকানি এলাকায় এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার খাদে পড়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলে আফজাল হোসেন ও জাকারিয়া মারা যান। খবর পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে সিএনজি চালক জামাল হোসেন ও মতিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।  আহত আবুসালেহ বলেন, আমরা বরগুনা থেকে আমতলী বাসস্ট্যান্ডে এসে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে সিএনজিতে উঠি। সিএনজিটি দ্রুতগামী থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে  রাস্তার পাশে পরে খেজুর কাছে ধাক্কা লাগে। এতে গাড়ি উল্টে যায় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
জানা গেল ভাইরাল তরুণ-তরুণীর মারধরের কারণ
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অবশেষে জানা গেছে তাদের মারধরের কারণ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া শৌলা সড়কের। সম্পর্কে ওই তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী। ৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করেতে এগিয়ে আসছে না কেউ। জানা গেছে, নির্যাতিত তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ঈদের দিন কামরুল শ্বশুরবাড়ি আসেন। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি এমনই ভাইরাল হয়েছে যে থানায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে নির্যাতিত তরুণীর পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবুও পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।