• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
পিরোজপুরে বাসচাপায় শালা-দুলাভাই নিহত
শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত, প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলা অভিভাবকের
ঝালকাঠির সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষার্থীরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়েছে উত্তেজিত এলাকাবাসী। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রধান শিক্ষককে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নথুল্লাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণির জান্নাতি জানান, বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে মোবাইল ফোন দিয়ে নাচের অনুশীলন করার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসে আমিসহ ছয়-সাতজনকে পিটিয়ে আহত করে। আমরা বুঝিয়ে বলার পরও প্রধান শিক্ষক বেত নিয়ে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, বুধবার ওই প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সন্তানদের  বেধড়ক মারধর করে আহত করা হয়। আমরা এর বিচার চাই। আহতরা হলেন, দশম শ্রেণির শিপু আক্তার, আয়শা মনি, সুমা আক্তার, নবম শ্রেণির জান্নাতি আকতার, অষ্টম শ্রেণির মোসাম্মৎ জান্নাতি ও ইসরাত জাহান রুমকি।  এ দিকে পুলিশ আহত ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়ে। পরে গাড়ির মধ্যেই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন ওই শিক্ষক। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুলতানা সোনিয়া বলেন, ছয়জন ছাত্রীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারা মানসিক শক পেয়েছে। তাদের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ  অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এএএ-টি
সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতিকে সংবর্ধনা 
সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল চান মাওলানা মামুনুল হক
দিনভর খোঁজাখুঁজি, ভোরে জমিতে পাওয়া গেল মরদেহ
বরিশালে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
রিকশাচালককে হত্যা, দুই সহোদর গ্রেপ্তার
বরিশালে রিকশাচালক রমজান মৃধা (৩০) হত্যা মামলায় প্রধান ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ঢাকার সাভারের পূর্ব রাজাশন পুলু মার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বরিশাল নগরীর কাউনিয়া থানার পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা মালেক (৪৫) ও তার ছোট ভাই কাদের (৪০)। র‌্যাব জানায়, রিকশাচালক রমজান মৃধা ছিলেন বরিশাল নগরীর কাউনিয়ার পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা। তাকে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে স্থানীয় মামুন নামের এক ব্যক্তি বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে রমজানের সঙ্গে তার স্বজনদের কারও কোনো যোগাযোগ হয়নি। পরে ১ অক্টোবর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে গুচ্ছগ্রামে ডোবার মধ্যে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ৩ অক্টোবর রমজানের মা বেবী বেগম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।   এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ওসি মো. নাজমুল নিশাত বলেন, র‌্যাবের সহযোগিতায় রমজান মৃধা হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।   এ নিয়ে রমজান হত্যা মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা। আরটিভি/এমকে/এস
হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিত, অ্যাম্বুলেন্স চালক আটক
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জিম্মি করে লাঞ্ছিত করার চেষ্টার অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।  রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।  অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেন হাসপাতালে আউট সোর্সিংয়ের কাজ করেন।  হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে সম্প্রতি চাকুরিচ্যুত করা হয়। আজ সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ এক চিঠিতে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে গত দুই মাসের রোগী পরিবহনের টাকা হাসপাতালের হিসাব বিভাগে জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। একই চিঠিতে অবৈধ ভাবে শাহাদাতের দখলে রাখা হাসপাতালের কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে বলা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেন হাতে লাঠি নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক মো. শামীম আহম্মেদকে হাসপাতালের সভাকক্ষে নিয়ে তালাবদ্ধ করে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। পরে হাসপাতালের কর্মচারী ও রোগীর স্বজনরা অবরুদ্ধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শামীম আহম্মেদকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে গণধোলাই দেয়। সময় হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে এক অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশকে খবর পেয়ে এসে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে আটক করে। এদিকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে রোগীরা।  ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স মনিন্দ্র নাথ বলেন, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে মানুষের জরুরি সেবার জন্য দুটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। মহসিন নামে একজন চালক অনিয়মের দায়ে বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালকের দায়িত্ব পালন করে আসছে শাহাদাৎ। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রাত ৮ টার দিকে হাসপাতালের গ্যারেজে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের টুল বক্স থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ বিষয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। আমাকে দীর্ঘ দুই বছর পর্যন্ত মানসিক নির্যাতন করে আসছেন তত্ত্বাবধায়ক।  ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ বলেন, মাদকাসক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে সম্প্রতি চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। গত দুই মাসের রোগী পরিবহনের টাকা হাসপাতালের হিসাব বিভাগে জমা দিতে বলায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাৎ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আরটিভি/এএএ  
‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবে অর্জিত পরিবর্তনকে কেউ যেন ব্যর্থ করতে না পারে’
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত পরিবর্তনকে কেউ যাতে ব্যর্থ করে দিতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী। শনিবার (১১ জানুয়ারি) পিরোজপুর আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। শামীম সাঈদী বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরে সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতন করা হয়েছে। জামায়াতের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, চরম নির্যাতন করা হয়েছে।  তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের হত্যাকারীদের বিচারের মধ্য দিয়ে ক্ষমা করতে হবে। শত শত ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত এ পরিবর্তনকে কেউ যাতে ব্যর্থ করে দিতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে দলের পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে ‘মিথ্যা তথ্য ও সাজানো আদালতের রায়ে’ ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এ পাঁচজনসহ ১১ জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ও প্রয়াত নেতাদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে আজ স্মরণ করছি। ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমনের চেষ্টার কথা উল্লেখ করে শামীম সাঈদী বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে গদি টিকিয়ে রাখতে হবে, এই জেদ ধরে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে হাসিনা। এটা ছিল সুস্পষ্ট গণহত্যা। শুধু স্থলভাগে নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালানো হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে গণহত্যা চালানো হয়েছে।  জুলাই বিপ্লবের সময় ট্রাকের (ভ্যান) ওপর লাশের স্তূপ ছিল। তারপর ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুন। আমরা কোন সভ্যতায় বসবাস করছি! আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো, এ গণহত্যা যারা সংঘটিত করেছে, অবশ্যই তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।’ এ সময় শামীম সাঈদী তার বক্তব্যে ধনী, ব্যবসায়ী লুটেরাদের বিচার ও তাদের ক্ষমা না করার ওপর জোর দেন।  আরটিভি/এমকে
তরুণ প্রজন্ম ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো অপশক্তিই তাদের আটকে রাখতে পারবে না: সারজিস
তরুণ প্রজন্মের সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো অপশক্তিই তাদের আটকে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোলা শহরের বিভিন্ন সড়কে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ৭ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে এক পথসভায় এ কথা বলেন তিনি। দুপুরে ভোলা বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন ইলিশা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ পথসভার আয়োজন করা হয়। জনগণের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, আগামীর বাংলাদেশে আপনারা সত্যকে সত্য বলবেন ও মিথ্যাকে মিথ্যা বলবেন, ভালোকে ভালো ও খারাপকে খারাপ বলবেন। আর যদি খারাপকে খারাপ না বলেন, তাহলে কয়েক বছর পরে সেই খারাপ লোকই আপনার গলা চেপে ধরবে। সারজিস আলম বলেন, সাধারণ মানুষ সবাই ঘোষণাপত্রে প্রথমেই শেখ হাসিনার ফাঁসি দেখতে চায়। তিনি দেশে গোপালগঞ্জের যে সিন্ডিকেট বসিয়েছেন, তা শেষ করে সমতার একটি সিস্টেম চায় মানুষ। সারজিস আরও বলেন, অভ্যুত্থানে আমরা রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি। যে শব্দগুলো আমরা ধারণ করি বাংলাদেশকে নিয়ে, যে শব্দগুলো আমরা দেখি; সেই শব্দগুলো একটি ঘোষণাপত্রে লিখিত আকারে থাকা প্রায়োজন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সারজিস আলম ভোলায় আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের খোঁজখবর নেন এবং তার কবর জিয়ারত করেন। পরে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ৭ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেন। বাংলা স্কুল মোড়, সদর রোড, চক বাজার, নতুন বাজারে হেঁটে হেঁটে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন সারজিস আলম। পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য আরিফুল রহমান তুহিন, আব্দুল আল মামুন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক এম এ নাঈম ও ভোলা সমন্বয়ক ইসরাফিল হোসাইন জাবির। আরটিভি/এমকে/এআর
জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট পিরোজপুর জেলার ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত
পবিত্র বিশ্ব ইসলামী সম্মেলন উপলক্ষে পিরোজপুরে জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় দাওয়াতি মিশন ও ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) শহরের সদর রোডস্থ জেলা জাকের পার্টি কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাকের পার্টির ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতারা। ছাত্র সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট পিরোজপুর জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ আহমেদ সিয়াম। ফরহাদ আহমেদ সিয়াম বলেন, জাকের পার্টি ক্ষমতাকেন্দ্রীক দল না, জাকের পার্টি সব সময় আদর্শ কেন্দ্রীক রাজনৈতিক চর্চা করে আসছে। ভোট চুরি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন অনেকেই। প্রকৃতপক্ষে কেউ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।  এ সময় বক্তারা বলেন, আমাদের দেশের মানুষ অনেক দল ও অনেক নেতাকে অভিভাবক বানিয়েছে, আবার অনেকে চক্রান্তের মাধ্যমে অভিভাবক হয়েছে। জাকের পার্টির রূপকল্প কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য আর জাতীয় ঐক্য গঠনের জন্য জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল ব্যাতিত কোন বিকল্প নাই।  বক্তারা আরো বলেন, জাতির চেতনা ও মননের জাগরণেই নিহিত কল্যাণ রাষ্ট্রের ভিত্তি। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের মহা আহ্বানে আগামী ৮, ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বাইশরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, সদরপুর, ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত পবিত্র বিশ্ব ইসলামী সম্মেলন; জাতির মন-মনন পরিবর্তনের এই মহা আয়োজনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। আরটিভি/এসএপি-টি
ভোলায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে মো. জাবেদ নামে ১৫ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ। শিশু জাবেদ ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. বিল্লাল হোসেন ও তাসলিমা দম্পতির ছেলে। স্বজনরা জানান, গত ১১ দিন আগে শিশু জাবেদে তার মায়ের সঙ্গে নানাবাড়িতে বেড়াতে আসেন। মঙ্গলবার বিকেলের দিকে শিশু জাবেদের মা তাসলিমা তার বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ধান গোলানোর কাজ করছিলেন। এর মধ্যে শিশু জাবেদ বাড়ির সবার অগোচরে হামাগুড়ি দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ধান গোলানো শেষে শিশু জাবেদকে ঘরে গিয়ে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করলে একপর্যায়ে বসতঘরের পাশের পুকুরে গিয়ে দেখা যায় জাবেদ পুকুরের পানিতে ভাসছে। পরে পুকুর থেকে জাবেদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, ‘তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’ আরটিভি/এমকে