• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বান্দরবানের লামায় রাইফেলসহ যুবক গ্রেপ্তার
কচুরিপানায় তৈরি হচ্ছে উন্নত সার, খুলছে সম্ভাবনার দুয়ার
কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈবসার। দামে কম ও মানে ভালো হওয়ায় এতে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ব্যবহারে সুফল পাওয়ায় বাজারজাত করে বিক্রিও করা হচ্ছে এ সার। এর ফলে কমছে রাসায়নিক সারের ব্যবহার। রিজার্ভের এ সংকটে মুহূর্তে সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার।  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তৈরি হচ্ছে জলকমল নামে পরিচিত এ সার। এটি  সবুজ শাকসবজি চাষে ব্যবহারে হচ্ছে। ব্যবসার পাশাপাশি এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে স্থানীয় বেকার যুবকদের। মূলত অতিরিক্ত কচুরিপানার ফলে জেলার নৌপথ সংকুচিত হয়ে আসছিলো। পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়ে ওই এলাকার বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ। নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে কচুরিপানা পরিষ্কার করে তা উৎপাদনশীল কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ।   এই সার কীভাবে উৎপাদন হয়? প্রথমে নদী থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করা হয়। এরপর শেকড়ের অংশ কেটে দেড় টন পরিমাণ স্তূপ সাজনো হয়। ওই স্তুপে ১৫ সেন্টিমিটার পর পর ২শ’ গ্রাম করে ইউরিয়া, ট্রাইকোডার্মা ছত্রাক ও চুন ছিটানো হয়। এভাবে ধাপে ধাপে তৈরি হচ্ছে কচুরিপানার জৈবসার জলকমল। নবীনগর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু নোমান বলেন, এই সার তৈরিতে সময় লাগে মাত্র দুই মাস। প্রাথমিকভাবে ১০ জন কৃষকের সমন্বয়ে তৈরি প্ল্যান্ট থেকে প্রতিমাসে ৫ টন সার উৎপাদন করা যায়। নবীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, উপজেলায় এ জৈবসার ব্যবহারে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমেছে ২৫ ভাগ। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ও হচ্ছে। এ দিকে এ প্রকল্পটি উদ্ভাবনী মেলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। বাণিজ্যিকভাবে ১০টি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হলে প্রতিমাসে ৫০টন জৈব সার উৎপাদন সম্ভব, যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। 
কসবায় ছুরিকাঘাতে কৃষক হত্যা, গ্রেপ্তার ২
ফুটবল খেলা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা, যুবক নিহত
মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ, মেয়রের বিচারের দাবি 
ভবনের নকশা অনুমোদনে এসটিপি স্থাপনের শর্ত আরোপের নির্দেশ
বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করল ছেলে
বিয়ে না দেওয়ায় চাঁদপুরে মা রানু বেগমকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাসেল খানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানু বেগম ওই গ্রামের আতর খানের স্ত্রী। নিহতের স্বামী আতর খান বলেন, আমার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও  মেরেছে। স্থানীয় একটি মাদরাসায় রান্নার কাজ করি। আমার ছেলে দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে জবাই করে রাখছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সাথে সাথে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানয় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাসেল পালিয়ে গেছে। পরে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।  স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি, নিহতের ৫ সন্তানের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। বড় ছেলে ফারুক গত প্রায় ৫ বছর যাবত ঢাকাতে থাকে। বাড়িতে বাবা-মায়ের খোঁজখবর রাখেন না। বাকি ৩ মেয়ের বিয়ে হওয়াতে তারা স্বামীর বাড়িতে থাকে। রাছেল ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে শ্রমিকের কাজ করে। গত কয়েকদিন যাবত সে তাঁর বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে।   বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমকে জবাইকৃত মরদেহ উদ্ধার করেছি। হত্যার শিকার রানু বেগমের স্বামী আতর খান ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্য অনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাসেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত রাসেল পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
‘এসটিপি প্ল্যান্ট ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না’
সোয়ারেজ (এসটিপি) ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়া নতুন কোনো ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মডেল মসজিদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিকের আবাসন ব্যবস্থা তার সাংবিধানিক অধিকার। কেবল সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা নয়। বরং মধ্যবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষের নিজস্ব আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে পরিকল্পিত নগরায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নদী ও খালকে দূষণমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেজন্য সোয়ারেজ (এসটিপি) ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ছাড়া নতুন কোন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত ও জাতীয় গৃহায়ন দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক এমন মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির।  অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। 
প্রবাসীর স্ত্রীকে টার্গেট করে প্রতারণা, হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা
প্রথমে নারীদের টার্গেট করেন। বিভিন্নভাবে কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিজের মোবাইলে কপি করে নেন। এরপর ব্লাকমেইল কতরে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা। তার নাম নুরুল ইসলাম ভুটো (৪০)। বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। প্রবাসীর স্ত্রীর অশ্লীল ছবি টিকটকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ভুটোকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তার কাছ থেকে অশ্লীল ছবিসহ মোবাইলফোন জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে সিরাজপুর ইউনিয়নের বড় রাজাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের শ্যামেরগাঁও গ্রামের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন আহমেদ। পুলিশ জানায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর স্ত্রী (৩২) বসুরহাট আরডি শপিং মলে মোবাইল মেরামত করতে যান। এসময় নুরুল ইসলাম মেকানিক সেজে তার মোবাইল থেকে ব্যক্তিগত ছবি সরিয়ে রাখেন। পরে ওই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। নুরুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। পরে তিনি শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই নারীর ব্যক্তিগত ছবি টিকটকে ছেড়ে দেন। বিষয়টি ভুক্তভোগীর ভাই নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে লিখিত ভাবে জানালে তিনি ডিবিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম ভুটো। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলুকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী পাহাড়ি এলাকার মুরার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেন প্রকাশ পেটুর ছেলে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ১০ জন কৃষককে অপহরণ মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে সরাসরি নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। আসামি বিভিন্ন অপহরণের সঙ্গে তার জড়িত থেকে লোমহর্ষক বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেয়। আসামির বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণসহ আরও ৪টি মামলা রয়েছে। আসামিকে আইনি কার্যক্রম শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনা / ৭ মরদেহ হস্তান্তর, মৃত একজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি 
রাঙ্গামাটির সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সাতটি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একটি মরদেহের স্বজনদের সন্ধান মেলেনি। অপরটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাঘাইছড়ি সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী বলেন, দুটি মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়েছে। স্বজনরা এলে হস্তান্তর করা হবে। তদন্তসাপেক্ষে দুর্ঘটনার কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ৯০ ডিগ্রি এলাকার একটি পাহাড়ি সড়ক থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক খাদে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন কক্সবাজারের জসিম উদ্দিন (২৮), ময়মনসিংহের এরশাদুল (৩০), নজরুল ইসলামের ছেলে আবুল মোহন (১৮), চান মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাবু (২০), শহিদুল্লাহর ছেলে শাহ আলম (২৮) ও হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন (২৯), গৌরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে তপু হাসান (১৭) ও সাগর (২০) এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকার মহিউদ্দিন মোড়লের ছেলে ওলি উল্লাহ ওলি (৪০)। নিহতদের পাঁচ লাখ ও আহতদের দুই লাখ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আহতরা হলেন, গাজীপুরের আখির উদ্দিনের ছেলে সামিউল উদ্দিন (১৯), ঢাকার হাসান আলীর ছেলে আমির উদ্দিন (৪৫), ময়মনসিংহের গোরীপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদ হাসান (২৪), ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জের আবুল হাশেমের ছেলে মো. লালন (২৭) ও মকবুল হোসেনের ছেলে মোবারক হোসেন (৩২) ও কুড়িগ্রামের আফজাল মিয়ার ছেলে লালন মিয়া (১৮)।
বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি / ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ১
নোয়াখালীর হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ার ইসলাম চরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ১১ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজের মাস্টার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া নাবিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে কোস্টগার্ড জানায়, প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে জাহাজটির তলা ফেটে ডুবে যায়। প্রথমে লাইফ জ্যাকেট পরে মাস্টার সবার আগে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে স্রোতের টানে মাস্টার অনেক দূরে চলে যাওয়ায় তাকে আর পাওয়া যায়নি। অন্য ১১ নাবিকরা সবাই জাহাজের ওপরের অংশ ধরে রেখে ভাসতে থাকে। এদিকে জাহাজের সঙ্গে ভাসতে থাকা ১১ নাবিককে একটি মাছধরার ট্রলার উদ্ধার করে চট্রগ্রাম যাওয়ার পথে অন্য একটি জাহাজে তুলে দেয়।  এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতা চায়। ৯৯৯ থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়। দুপুর ২টার দিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে উদ্ধার হওয়া নাবিকদের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ঘাটে ফিরে আসে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।  এদিকে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী জামান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সাগর মোহনায়। আমরা একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গিয়ে ফিরে এসেছি। নদী খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়া নাবিকদের স্বজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এখন নিরাপদে রয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ জাহাজের মাস্টারের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি নৌ পুলিশের ওই কর্মকর্তা।  জীবিত উদ্ধার হওয়া জাহাজের ইঞ্জিন চালক মো. আলী হোসেনের ভাই মো. ওহিদুল ইসলাম বলেন, একটি মাছধরার ট্রলার আমার ভাইসহ ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করে একটি জাহাজে উঠিয়ে দিয়েছে। ১১ জনের সবাই এখন নিরাপদ আছেন। তবে নিখোঁজ জাহাজের মাস্টারের বিষয়ে তার ভাই কিছু বলতে পারেননি। পানিতে পড়ে মোবাইল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অন্য একজনের মোবাইল থেকে সে বাড়িতে কথা বলে এসব তথ্য দিয়েছে। জাহাজটি চট্রগ্রাম থেকে মালমাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। জাহাজে ১২ জন নাবিক ছিলেন।