• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ফ্রান্স
ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের ৮ নেতা গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ৮ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। ময়মনসিংহ নগরীর বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও বিস্ফোরক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোররাতে ও সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান, নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম শাহান, নান্দাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জামান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল হাসান, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মনোয়ার হোসেন চান এবং জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মো. আনিস। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, যৌথ বাহিনী আসামিদের গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় ইতোমধ্যে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। আরটিভি/এএএ/এস   
জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
শেরপুরে পুকুরে ডুবে যমজ ২ শিশুর মৃত্যু
নেত্রকোণায় দুই জুয়াড়িকে আটক করল সেনাবাহিনী
ছাগল চুরি করে পালাতে গিয়ে ডিবির গাড়িতে ধাক্কা, অতঃপর...
ময়মনসিংহে পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ড
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পরকীয়ার জেরে স্বামী হজরত আলীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী সাবিনা খাতুন (২৮) ও প্রেমিক লিয়াকত আলীকে (৩৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।   রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (পঞ্চম) আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।     দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার গোরকপুর গ্রামের বাসিন্দা আমান উল্লাহর ছেলে লিয়াকত আলী এবং একই গ্রামের মৃত হজরত আলীর স্ত্রী সাবিনা খাতুন।   আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম রাজীব এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হজরত আলী সাবিনা খাতুনকে নিয়ে ঘর সংসার করাকালে লিয়াকত আলীর সঙ্গে সাবিনা খাতুন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার প্রায় একমাস আগে হজরত আলী তার ঘরে সাবিনা খাতুন ও লিয়াকত আলীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে দুজনকেই গালমন্দ করে। অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পথে লিয়াকত ও সাবিনা খাতুনের স্বামী হজরত আলীকে বাধা মনে করে। তারা হজরত আলীকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করে। ২০২১ সালের ২৯ আগস্ট হজরত আলী হালুয়াঘাট থেকে শেরপুরের নালিতাবাড়ি যাওয়ার পথে সাবিনা খাতুন মোবাইলে হজরত আলীর অবস্থান জেনে নেয়। পরে লিয়াকত আলী কৌশলে হজরত আলীকে হালুয়াঘাট পশ্চিম কুতিকুড়া আঁতলা বিলের সামনে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে লিয়াকত আলী হজরত আলীর গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। লিয়াকত আলী হত্যার বিষয়টি মোবাইলে সাবিনা খাতুনকে জানায়। পরে দুজনে মিলে লিয়াকত আলী আবাদি জমিতে হজযরত আলীর মরদেহ পুঁতে রাখে। এরপর আসামিদের নাম উল্লেখ করে নিহত হজরত আলীর ভাই আবু নাছের বাদি হয়ে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হালুয়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালদত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। এতে বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আরটিভি/এমকে-টি
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ৩ দিন পর ইউপি চেয়ারম্যানের মরদেহ উদ্ধার
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার তিন দিন পর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  নিহত সাইদুর রহমান রয়েল (৪৫) উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ওই ইউনিয়নের দাওসা গ্রামের সাবেক ইউপি চোয়ারম্যান মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেকের বাসার তিন তালায় এক বছর যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে চেয়ারম্যান। গত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাস করার পর প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গত বুধবার দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমার সঙ্গে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে নাছিমাকে বেঁধে রাখে চেয়ারম্যান রয়েল। পরে নাছিমার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার থেকে চেয়ারম্যানের রুমের দরজা ও তার ফোন বন্ধ পায় তার বোন। শনিবার চেয়ারম্যানকে খুঁজতে তার বোন বাসায় আসে। ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে চেয়ারম্যানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শনিবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।   ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুকনুজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে দুই দিন আগে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। কারণ, মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  আরটিভি/এএএ  
ময়মনসিংহে আহত প্রেমিকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু 
ময়মনসিংহ নগরীতে প্রেমঘটিত ঘটনায় ফয়সাল খান শুভ (৩০) নামে এক যুবক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডের বোন জামাইয়ের বাসায় বসবাস করে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন। এর আগে গত ১০ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডের একটি বাসার ছাঁদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন ফয়সাল। নিহত ফয়সালের স্বজনরা জানান, ফয়সাল খান শুভর সঙ্গে একই গ্রামের সুলতান উদ্দিনের মেয়ে সাদিয়া তাহসিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ ৪ বছর চলে দুজনের প্রেম। সম্প্রতি সাদিয়া তাহসিনের ঢাকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসএএস সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে অডিটর পদে চাকরি হয়। সেখান থেকে সাদিয়া তাহসিন এক ট্রেনিংয়ে গিয়ে তার ব্যাচ-মেটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান এবং ফয়সাল খান শুভর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।  এ দিকে সাদিয়া তাহসিনের সঙ্গে তার ব্যাচ-মেটের বিয়ে ঠিক হয়। সেই বিয়ে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) হওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি ফয়সাল জানতে পেরে সাদিয়া তাহসিনের প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ করে তাদের চার বছরের সম্পর্কের কথা জানায় ও কিছু ছবি-ভিডিও তার কাছে পাঠায়। এ অবস্থায় সাদিয়া তাহসিনের বাবা সুলতান আহমেদ গত ১ নভেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ থানায় ফয়সাল খান শুভসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পর্নোগ্রাফি আইনে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনার পর গত ১০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি পুলিশ নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে তার বোন জামাইয়ের বাসায় অভিযানে যায়। অভিযানের সময় ডিবি পুলিশের সঙ্গে সাদিয়া তাহসিনের বাবা সুলতান আহমেদ খান ও তার দুই ছেলে আসিফ রহমান খান অপু ও আহনাফ আব্দুল্লাহ খান অনির্বাণ সঙ্গে ছিল। ডিবি পুলিশ বাসায় ঢুকতে চাইলে নিহত ফয়সালের বোন জামাই মোহসিন কেচি গেইট খুলে দিলে পুলিশ বাসার দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালায়।  তবে ফয়সালকে বাসার দ্বিতীয় তলায় খুঁজে না পেয়ে সাদিয়া তাহসিনের বাবা সুলতান আহমেদ খান ও তার দুই ছেলে আসিফ রহমান খান অপু ও আহনাফ আব্দুল্লাহ খান অনির্বাণ বাসার ছাঁদে উঠে ফয়সাল খানকে হত্যা ও খুন করার উদ্দেশ্যে প্রায় ৬০ ফুট নিচে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রতিবেশীরা ফয়সালকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে।  গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে ফয়সাল মারা যায়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাদিয়া তাহসিনের পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে বাসায় গিয়েছি। আমরা বাসায় গেলে ফয়সালের বোন জামাই কেঁচি গেট খুলে দিলে ভেতরে প্রবেশ করি। ফয়সালকে না পেয়ে আমরা বের হয়ে চলে এসেছি। ফয়সাল ছাঁদ থেকে পড়েছে নাকি অন্য কিছু বিষয়টি আমার জানা নেই।  কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ফয়সালের মরদেহ ঢাকায় ময়নাতদন্ত হয়েছে। এই ঘটনায় মেয়ের পরিবারের কয়েকজনের নামে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা কি জানা যাবে। এর আগে কিছু বলা যাবে না। আরটিভি/এমকে
ভগ্নিপতিকে শ্যালকের মারধর, অতঃপর... 
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে শ্যালকের মারধরে ভগ্নিপতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন। অভিযুক্ত ইউনুছকে পাশ্ববর্তী এক বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কালিনগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত ভগ্নিপতি মজিবর রহমান ওরফে ময়েজ উদ্দিন (৬৫) একই উপজেলার আয়নাতলী গ্রামের মৃত মীরু শেখের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, মীরু শেখ বিয়ের পর থেকে স্ত্রীসহ সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি কালিনগরে বসতবাড়ি করে বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যালক ইউনুছ আলী ২ বাড়ির মাঝখানে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেড়া দিচ্ছিলেন। ভগ্নিপতি বেড়া দিতে নিষেধ করলে এ নিয়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হাতে থাকা লোহার দণ্ড (রিকশার এক্সেল) দিয়ে ভগ্নিপতি মজিবরের মাথায় আঘাত করে শ্যালক ইউনুছ। এতে মজিবর গুরুতর আহত হলে তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথিমধ্যে মজিবর মারা যান।  স্থানীয়রা আরও জানান, তখন পুলিশ বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শ্যালক ইউনুছকে পাশ্ববর্তী এক বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জবেদ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ আরটিভি/এমকে
ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মনির হোসেন (৩৫)।  শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. মহিউদ্দিন খান মুন। মৃত মনির টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার বেটবাড়ি এলাকার মো. আব্দুল বাছেরের ছেলে। ডা. মহিউদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মনির হোসেন। পরে রাত দেড়টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে ২৩ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১৮ জন, নারী চার ও শিশু একজন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন। আরটিভি/এমকে
ভারতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত, মরদেহ হস্তান্তর
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও ইমিগ্রেশন সীমান্ত দিয়ে এরশাদুল হক নামের এক বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত এরশাদুল কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার আপুয়ারখাতা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর বাজারে যাওয়ার কথা বলে উলিপুর সীমান্তপথে অবৈধভাবে ভারতে যান এরশাদুল। সেখানে যাওয়ার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। পরে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন উলিপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি মরদেহের ছবি দেখে এটি এরশাদুলের বলে নিশ্চিত করে পরিবার।  পরে ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার নালিতাবাড়ী সীমান্ত দিয়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।’ আরটিভি/এমকে