কেবল জান্নাত আরা ঝর্ণার সঙ্গে নয়, আরও ৪ থেকে ৫ জন নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো মামুনুল হকের। হেফাজত ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির নেতার বিষয়ে আজ সোমবার (৩ মে) এমন তথ্য জানালো গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মাহবুবুল আলম বলেন, জান্নাত আরা ঝর্ণার মতোই ওই নারীদের সঙ্গেও ‘মানবিক বিয়ের’ নামে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মামুনুল হক।
আরও পড়ুন... ঈদে তিন দিনের বেশি বাড়তি ছুটি বন্ধ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে গত ৩ এপ্রিল এক নারীসহ অবরুদ্ধ হয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।ঘটনার দিন থেকেই ওই নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন তিনি। যদিও এখন পর্যন্ত বিয়ের বিষয়ে বৈধ কোনো কাজগপত্র দেখাতে পারেননি হেফাজতের এই নেতা। পরে মোহাম্মদপুর থানায় করা এক সাধারণ ডায়েরিতে মামুনুলের তৃতীয় বিয়ের খবর পাওয়ায়। এরপর আরও একাধিক নারীর সঙ্গে মামুনুলের সম্পর্কের খবর উঠে আসে। সম্প্রতি কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মাহবুবুল আলম বলেন, ‘মামুনুল হকের আরও ৪ থেকে ৫ জন নারীর সঙ্গে সম্পর্কের তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের সঙ্গে মানবিক বিয়ের সম্পর্ক গড়ে অনৈতিক কাজ করতেন তিনি। তিনি একটি বিয়ের ছাড়া অন্য কোনোটির কাবিননামা দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
-
আরও পড়ুন ... ৬ মে থেকে শুরু হতে পারে বাস চলাচল
গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বিভিন্ন মাদরাসায় পাওয়া দানের অর্থ নাশকতার কাজে ব্যবহার করতেন হেফাজত নেতারা। হেফাজত নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতায় এ অর্থ ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে আরেকটি ‘শাপলা চত্বর’ তৈরি করে সরকার পতনের পরিকল্পনা ছিল তাদের।’
ডিবির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তাবলিগ জামাতকে দুই ভাগ করার নেপথ্যেও হেফাজত নেতাদের হাত ছিলো। এই রমজানকে সামনে রেখে আরো একটি ‘বদর যুদ্ধ’ এর নামে দেশজুড়ে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিলো হেফাজতের। গত ২৬ মার্চ শুরু হওয়া সহিংসতা রমজান পর্যন্ত টেনে আনার পরিকল্পনা ছিল তাদের।’
কেএফ