ভারতে করোনা মহামারি ও মিয়ানমারে সামরিক শাসনের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পোশাকপণ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু ঈদুল আজহার পর লকডাউনে শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণায় তৈরি পোশাকের দেড় শতাধিক রপ্তানি আদেশ স্থগিত হয়ে গেছে। অনেক কারখানার রপ্তানি আদেশ বাতিল করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
কয়েকটি কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন জোটগত প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং একক প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের চাহিদা কম ছিল। বর্তমানে এসব দেশে পোশাকের চাহিদা যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ।
দেশে করোনা সংক্রমণ কমাতে বিগত সময়ে কঠোর লকডাউনে অন্য সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও পোশাক কারখানা খোলা ছিল। এতে পোশাক শ্রমিকরা কাজ করতে পেরেছেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদের পর কঠোর লকডাউনে সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকবে। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাও বন্ধ থাকবে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই খবর প্রচারের পরপরই ক্রেতারা উদ্বেগ জানিয়ে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ইমেইলে, ফোনে যোগাযোগ করতে শুরু করেন।
তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের পর কঠোল লকডাউনে শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণায় এরই মধ্যে শতাধিক কারখানার রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়ে গেছে। অনেক ক্রেতা কেবল হাতের কাজটিই কোনো রকমে উঠিয়ে দিতে বলেছেন। বাড়তি কাজ আর দিচ্ছেন না।
বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম শুক্রবার বলেন, ঈদুল আজহার পর কারখানা বন্ধের ঘোষণায় প্রায় দেড়শ কারখানার রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। তার নিজের কারখানা এমবি নিটেরও কাজ স্থগিত হয়েছে বলে জানান।
এফএ