প্রশাসনের আশ্বাসে আমরণ অনশন ভাঙলেন ৮ জাবি শিক্ষার্থী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭ , ০৯:২০ পিএম


প্রশাসনের আশ্বাসে আমরণ অনশন ভাঙলেন ৮ জাবি শিক্ষার্থী

প্রশাসনের আশ্বাসে তৃতীয় দিন শেষে আমরণ অনশন ভেঙেছেন জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থী। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেন আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করেন। 

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপ-উপাচার্য তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমারসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিজ্ঞাপন

এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানানো অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন, সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন, সহকারী অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলীসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নজির আমিন চৌধুরী বলেন, শিক্ষক সমিতির আহ্বানে ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করেছেন।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, দ্রুত মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিয়ম অনুসরণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার দুপুর দু'টায় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রথমে অনশন শুরু করেন ইংরেজি বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সরদার জাহিদুল ইসলাম। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০তম ব্যাচের পূজা বিশ্বাস। 

এরপরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে যোগ দেন ইংরেজি বিভাগের তাহমিনা জাহান ও রোববার যোগ দেন আইন ও বিচার বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খান মুনতাসির আরমান। পরে দর্শন বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ রুদ্র অনশন শুরু করেন। 

তৃতীয় দিনে যোগ দেন বাংলা বিভাগের ৪২তম ব্যাচের নাইমুল ইসলাম নিশো, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৫ ব্যাচের রাতুল খালিদ, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসনুভা ইভা।

গেলো ২৬ মে ভোরে ক্যাম্পাস-সংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নাজমুল হাসান ও মেহেদি হাসান নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এই দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, ঘাতক চালকের শাস্তি ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে পরদিন ২৭ মে থেকে আন্দোলন শুরু করেন তার সহপাঠীরা। 

বিকেলে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী। এসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একাংশ উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করে প্রশাসন। ৪২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাময়িকভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের একটি অংশও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

তবে উপাচার্য ফারজানা ইসলাম মামলা প্রত্যাহার না করার বিষয়ে অনড় ছিলেন।

এসজে 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission