ডলারের বিপরীতে আরও কমলো টাকার মান
মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমছে। প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১০৪ দশমিক ৫ টাকায়।
বুধবার (৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে এ দামে ডলার বিক্রি করছে।
এর আগে, ১০৩ টাকায় ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যেও আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে বেশি করে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ক্রমান্বয়ে বিনিময় হার নির্ধারণের লক্ষ্যে টাকার মান কমানো হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হার সমন্বয় করছি।
সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বাড়িয়ে ১০৭ টাকা থেকে ১০৮ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। রপ্তানি আয়ে ডলারে এক টাকা বাড়িয়ে ১০৬ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
চাহিদার চেয়ে আমদানি বেশি, তবুও বেড়েছে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম
গত এক মাসে দেশের বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম। এই সময়ে লিটারপ্রতি সয়াবিনের দাম বেড়েছে ১০ টাকা আর লিটারপ্রতি পাম তেলের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। তবে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম স্থির রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিগুলো দেশে বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে চাহিদার তুলনাই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেশি ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে। এই অর্থবছরে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে ২৩ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৫০ হাজার টন। আর দেশে বছরে মোট ভোজ্যতেলের চাহিদা ২২ লাখ টন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এদিন ১৫১ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল। গত মাসে যা ১৪৫ থেকে ১৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার ১৩৭ টাকা থেকে ১৪২ টাকা বিক্রি হয়েছে প্রতি পাম তেল, গত মাসে যা বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকায়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী মো. মজিদুল ইসলাম জানান, গত এক মাসের ব্যবধানে লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ১০ টাকা আর পাম অয়েলের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। তেলের কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশেও বেড়েছে।
আরেক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, মাস খানেক আগে ২৯ হাজার টাকা ছিল ২০৪ লিটারের এক ব্যারেল খোলা সয়াবিন তেলের দাম। অর্থাৎ লিটারপ্রতি ছিল ১৪২ টাকা ১৬ পয়সা। বর্তমানে এক ব্যারেল সয়াবিন তেল কিনতে হচ্ছে ৩১ হাজার টাকায়। লিটারপ্রতি পড়ছে ১৫১ টাকা ৯৬ পয়সা। আগে এক ব্যারেলপ্রতি পাম তেলের দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা। এ হিসাবে লিটারপ্রতি দাম পড়ত ১২২ টাকা ৫৫ পয়সা। বর্তমানে প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ২৯ হাজার ৭৫০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি ব্যারেলে দাম বেড়েছে ৪ হাজার ৭৫০ টাকা, লিটারে বেড়েছে ২৩ টাকা ২৮ পয়সা।
সিটি, মেঘনা, এস আলম, টিকে, শবনম, বসুন্ধরা ও বাটারফ্লাই গ্রুপসহ দেশের বাজারে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি ভোজ্যতেল সরবরাহ করে। আগে এস আলম গ্রুপ পণ্য সরবরাহ না করেই অপেক্ষাকৃত কম দামে এসও (সরবরাহ আদেশ) বিক্রি করত। এখন কোম্পানিটির আমদানির পরিমাণ কমে গেছে।
তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে পাম তেলের দামে রেকর্ড হয়েছে। গত ২০ বছরের ইতিহাসে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলকে টপকে গেছে পাম তেলের দাম। বিশ্ববাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ ডলারে এবং পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১২৫ ডলারে।’
তিনি বলেন, ‘সরবরাহ সংকট হলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্যের সরবরাহ বেশি থাকলে দাম বাড়ার কোনও সুযোগ থাকে না।’
আরটিভি/এসএপি
আজকে স্বর্ণের দাম (৮ অক্টোবর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই উঠা-নামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
ইতিমধ্যেই ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বাজুস কর্তৃক আবারো নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য। আমদানিকৃত বস্তু হিসাবে উক্ত নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
আজকে স্বর্ণের দাম
২৪ ক্যারেট ১,৩৯,৯৯২ টাকা (আনুমানিক)।
২২ ক্যারেট ১,৩৭,৪৪৯ টাকা।
২১ ক্যারেট ১,৩১,১৯৭ টাকা।
১৮ ক্যারেট ১,১২,৪৫৩ টাকা।
সনাতন পদ্ধতিতে ৯২,২৮৬ টাকা।
আরটিভি/এসএপি
শীর্ষ ৫ অর্থনীতির দেশের ৩টিই এশিয়ার, বাংলাদেশের অবস্থান কত
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। একটি দেশের অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী, তা পরিমাপ করার উপায় হলো জিডিপি। মানুষ কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে পণ্য ও সেবা কিনছে, বিনিয়োগ করছে, সরকারি ব্যয় ও রপ্তানির মোট মূল্য; সব কিছু পরিমাপ করা হয় জিডিপি দিয়ে।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সাধারণত এক বছর) একটি দেশের মধ্যে উৎপাদিত এবং বাজারে বিক্রি হওয়া সব পণ্য ও পরিষেবার সামষ্টিক মূল্যই হলো জিডিপি।
আইএমএফের বিচারে এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২.৭ শতাংশ। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশটির জিডিপি ২৮.৭৮ ট্রিলিয়ন ডলারের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২.৫ শতাংশ। আর ২০২২ সালে এই হার ছিল ২.১ শতাংশ। ১৯৬০ সাল থেকেই বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশের তকমা ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জনগণের মাথাপিছু আয় ৮৫ হাজার ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের পর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে বিশ্বের আরেক অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন। তাদের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এ বছর ৪.৬ শতাংশ, যা আগের বছর ছিল ৫.২ শতাংশ। অর্থাৎ, দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে ০.৬ শতাংশ অবনতি ঘটেছে। এরপরও চীনের জিডিপি যুক্তরাষ্ট্রের খুব কাছাকাছিই; ১৮.৫৩ ট্রিলিয়ন ডলার। জনগণের মাথাপিছু আয় ১৩ হাজার ডলার।
তালিকায় তৃতীয় দেশটির নাম জার্মানি। ইউরোপের শিল্পোন্নত এই দেশটির বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার এবার ০.২ শতাংশ। আগের বছর এই হার ছিল ঋণাত্মক (-০.৩ শতাংশ)। অর্থাৎ এ বছর তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার বেড়েছে ০.৫ শতাংশ। চলতি বছর জার্মানির মোট জিডিপি ৪.৫৯ ট্রিলিয়ন ডলারের; মাথাপিছু আয় ৫৪ হাজার ডলার।
এদিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার গত বছরের তুলনায় ১ শতাংশ কমে গেলেও শীর্ষ অর্থনীতির দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ঠাঁই পেয়েছে জাপান। দেশটির প্রবৃদ্ধির হার এবার ০.৯ শতাংশ। মোট জিডিপি ৪.১১ ট্রিলিয়ন ডলারের। মাথাপিছু আয় ৩৩ হাজার ডলার। প্রকৌশল, গাড়ি নির্মাণ, রাসায়নিক ও ওষুধ খাতে তাদের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।
তালিকায় ৫ নম্বরে আছে বিশ্ব অর্থনীতিতে এরই মধ্যে উদীয়মান পরাশক্তি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ভারতের নাম। দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার এবার ৭.০ শতাংশ। অবশ্য আগের বছর এই প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮.২ শতাংশ। ভারতের মোট জিডিপি এই মুহূর্তে ৩.৯৫ ট্রিলিয়ন ডলারের। আর মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৩১ মার্কিন ডলার।
এদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। শীর্ষ অর্থনীতির দেশের তালিকায় এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫তম। দেশটির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার এবার ৫.৭ শতাংশ, যা আগের বছর ছিল ৬.০ শতাংশ। মোট জিডিপি ৪৫৫ বিলিয়ন ডলারের। আর মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪৬ মার্কিন ডলার।
আরটিভি/এসএইচএম
এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ১১ ব্যাংকে
চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে ১১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। তবে ১১ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই ১১ ব্যাংক হল, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাবাক)। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অক্টোবর মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৪ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে চার কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৯ কোটি ৩৬ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
এর আগে, গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার প্রবাসী আয় আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল।
তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
আজকে স্বর্ণের দাম (১৫ অক্টোবর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই উঠা-নামা করতে থাকে। এই দাম বাজুস কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো।
ইতিমধ্যেই ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বাজুস কর্তৃক আবারো নতুন করে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য। আমদানিকৃত বস্তু হিসাবে উক্ত নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম বেড়েছে।
আজকে স্বর্ণের দাম
২৪ ক্যারেট ১,৩৯,৯৯২ টাকা (আনুমানিক)।
২২ ক্যারেট ১,৩৭,৪৪৯ টাকা।
২১ ক্যারেট ১,৩১,১৯৭ টাকা।
১৮ ক্যারেট ১,১২,৪৫৩ টাকা।
সনাতন পদ্ধতিতে ৯২,২৮৬ টাকা।
আরটিভি/এসএপি
ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ
উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে কারণে তেজগাঁও আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
অবশ্য, সাম্প্রতিক অভিযানে ডিমের দামে তেমন একটা প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। বরং তেজগাঁও আড়তের মতো কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ হয়ে গছে। অনেক জায়গায় ডিম বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ঘাটতি তৈরি হয়েছে সরবরাহে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। এছাড়া পাড়ামহল্লায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে এবার বড় পতন
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম একবারে ৪ শতাংশের বেশি কমেছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩ দশমিক ৩৩ ডলার বা ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭০ দশমিক ৫০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩ দশমিক ২৮ ডলার বা ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৭৪ দশমিক ১৮ ডলার হয়েছে।
এর আগে উভয় বেঞ্চমার্কের দাম অন্তত চার ডলার কমে তেলের দাম কমে সর্বনিম্ন হয়।
ইরানের তেল স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা না করার ঘোষণা এবং দুর্বল চাহিদার পূর্বাভাসের কারণে মঙ্গলবার তেলের দাম কমল।
আরটিভি/এসএপি