নতুন আর কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হচ্ছে না

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪ , ০৫:৩৪ পিএম


বাংলাদেশ ব্যাংক
ফাইল ছবি

দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের যে উদ্যোগ, তাতে ইতোমধ্যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এবার এ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রাথমিকভাবে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে বিভিন্ন সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ইতোমধ্যে একীভূত হতে সম্মত পাঁচ ব্যাংক বাদে অন্য কোনো ব্যাংককে এ প্রক্রিয়ায় আপাতত আর শামিল করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে। 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূতকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংককে একীভূত করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক ও চেয়ারম্যানরা। বৈঠকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে বিভিন্ন সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। এই ১০ ব্যাংকের তালিকায় ছিল পদ্মা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এবং আইসিবি ইসলামি ব্যাংক।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সবশেষ স্বেচ্ছায় বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধুঁকতে থাকা পদ্মা ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে উচ্চ খেলাপি ঋণের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) দ্রুতসময়ের মধ্যে একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া বেসিক ব্যাংক একীভূত হতে যাচ্ছে বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হতে যাচ্ছে আরেক বেসরকারি ব্যাংক ইউসিবিএলের সঙ্গে। 

বিজ্ঞাপন

এর আগে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালার আলোকে খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। এর জন্য দুই ব্যাংকের মধ্যে আগে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে। 
 
এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission