পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে অস্বীকৃতি জানাল বিজিএমইএ

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ০৮:৪৮ পিএম


পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে অস্বীকৃতি জানাল বিজিএমইএ
ফাইল ছবি

পোশাকশিল্প খাতে বিদ্যমান অস্থিরতা ও সমস্যা নিরসনে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের কাছে ১৮টি দাবি উত্থাপন করেছে শ্রমিক পক্ষ। এর মধ্যে প্রধান দাবি, মজুরি বোর্ড পুনর্গঠন করে মজুরি পুনর্নির্ধারণ ও বাৎসরিক ন্যূনতম ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি)। এরই মধ্যে শ্রমিকদের এ দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিজিএমইএ। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএ উত্তরা অফিসে এক জরুরি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় সংগঠনটি। কারণ, হিসেবে তারা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, শিল্পের অক্ষমতা এবং উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধির কথা।

এর আগে, দুপুরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সভায় ১৮টি দাবি উত্থাপন করে শ্রমিক পক্ষ। এতে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

শ্রমিকদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো: 

১. মজুরি বোর্ড পুনর্গঠনপূর্বক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। 

২. যেসব কারখানায় ২০২৩ সালে সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি, সেসব কারখানায় তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

৩. শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে।

৪. কোনো শ্রমিকের চাকরি পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে বা চাকরিচ্যুত করা হলে একটি বেসিকের সমান অর্থ প্রদান করতে হবে, এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক শ্রম আইনের ২৭ ধারাসহ অন্য ধারাসমূহ সংশোধন করতে হবে।

৫. সব ধরনের বকেয়া মজুরি অবিলম্বে পরিশোধ করতে হবে।

৬. হাজিরা বোনাস (২২৫ টাকা), টিফিন বিল (৫০ টাকা), নাইট বিল (১০০ টাকা) সব কারখানায় সমান হারে বাড়াতে হবে।

৭. সব কারখানায় প্রভিডেন্ড ফান্ড ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৮. বেতনের বিপরীতে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট (বেতন বৃদ্ধি) ন্যূনতম ১০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।

৯. শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

১০. বিজিএমইএ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং করা যাবে না; বায়োমেট্রিক তালিকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

১১. সব ধরনের হয়রানিমূলক এবং রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

১২. ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইন করতে হবে।

১৩. কলকারখানায় বৈষম্যবিহীন নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

১৪. জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

১৫. রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশনস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের কল্যাণে তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৬. শ্রম আইন অনুযায়ী সব কারখানায় ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করতে হবে।

১৭. অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে।

১৮. নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ ১২০ দিন নির্ধারণ করতে হবে। 

আরটিভি/এসএইচএম-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission