ভুয়া সিম বিক্রি হলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা
ভুয়া সিম নিবন্ধনের দায় নিতে হবে এর অপারেটরকেও। এজন্য গুণতে হবে সিম প্রতি ৫ হাজার টাকা জরিমানা।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পরও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে হুমকি, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, নারীদের উত্যক্ত করা থেমে নেই। অনেক ক্ষেত্রেই অপরাধীরা ভুয়া নিবন্ধনের মাধ্যমে সিম কিনে এসব অপরাধ করছে।
এটি প্রতিরোধে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি সব অপারেটরকে চিঠি দিয়েছে।
বিটিআরসি বলছে, বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ছাড়া মোবাইলের সিম বিক্রি বা অসত্য তথ্য দিয়ে নিবন্ধন এবং প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রি করা হলে অপারেটরকে প্রতিটি সিম বা রিমের জন্য ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
অর্থাৎ কোনও সিম মিথ্যা তথ্য বা তথ্য গোপন করে নিবন্ধিত হলে তার জন্য গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, টেলিটককে দায় নিতে হবে। সিম প্রতি অপারেটরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, টেলিফোন/মোবাইলে হুমকি, চাঁদা দাবি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে এবং সুশৃঙ্খল ও সুদক্ষ পরিচালনার জন্য লাইসেন্সের শর্ত পালনের মাধ্যমে সিম/রিম নিবন্ধন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে টেলিযোগাযোগ আইন-২০০১ এর বিধান অনুযায়ী নির্দেশনাবলি জারি করা হলো।
বিটিআরসি-এর বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সিস্টেম সম্পর্কিত নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কোনো সিম রেজিস্ট্রেশন ছাড়া অ্যাক্টিভেশন রি-অ্যাক্টিভেশন ডি-অ্যাক্টিভেশন বা প্রতিস্থাপন বা মালিকানা পরিবর্তন করা যাবে না।
এতে অবৈধ ভিওআইপি সেবার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভুয়া নিবন্ধনের সিমের ব্যবহারও কমে আসবে বলে মনে করছেন কমিশনের সংশ্লিষ্টরা।
বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ থেকে ইস্যু করা চিঠিতে বলা হয়েছে, সিম নিবন্ধন নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট অপারেটরের।
এর আগে কেবল অনিবন্ধিত সিম ধরা পড়লে প্রতিটি ক্ষেত্রে ৫০ ডলার হারে জরিমানা গুণতে হতো অপারেটরদেরকে।
এস
মন্তব্য করুন