বাংলাদেশে আরও ২৮১ দিন থাকতে পারবে অ্যাকর্ড
বাংলাদেশে আরও ২৮১ দিন কার্যক্রম চালাতে পারবে ইউরোপের ক্রেতাদের সমন্বয়ে গঠিত কারখানা পরিদর্শন জোট অ্যাকর্ড।
আজ রোববার আপিল বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অ্যাকর্ড ও বিজিএমই'এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) অনুযায়ী সংস্থটিকে এই সময় দেয়া হয়েছে।
পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ বলেন, সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে অ্যাকর্ডকে সব দায়িত্ব বিজিএমইএ'কে হস্তান্তর করতে হবে। পাশাপাশি অ্যাকর্ডের ভেতরেও বিজিএমইএ একটি সেল গঠন করা হবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ রোববার অ্যাকর্ডের আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করে পর্যবেক্ষণসহ এই আদেশ দেন। এর ফলে অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএ'র যৌথভাবে কার্যক্রম চলতে আইনগত কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্নিষ্ট আইনজীবীরা।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর একই বছরের ১৫ মে ইউরোপের ২০টি দেশসহ উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার ২০০ ব্র্যান্ড এবং খুচরা ক্রেতা ও কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়নের সমন্বয়ে অ্যাকর্ড গঠিত হয়।
সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, পাঁচ বছরের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ছয় মাস সময় এ দেশে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয় অ্যাকর্ড এবং অপর ক্রেতাজোট উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্সকে।
বর্ধিত সেই মেয়াদও শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে অ্যাকর্ডের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটে গত বছরের ৯ আগস্ট চূড়ান্ত রায় দেন হাইকোর্ট।
রায়ে অ্যাকর্ডকে বাংলাদেশ থেকে সকল কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। পরে ওই হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে অ্যাকার্ড। এরপর ওই আপিলের শুনানি শেষ না হওয়ায় কয়েক দফায় অ্যাকর্ডের কার্যক্রমের মেয়াদও বাড়িয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
এস
মন্তব্য করুন