ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শত কোটি জাল টাকা ও ভারতীয় রুপি বাজারে ছড়িয়ে দিতে অপতৎপরতা শুরু করেছে সংঘবদ্ধ কিছু চক্র। কুরবানির পশু বেচা-কেনার সুযোগে এসব মুদ্রা ছড়িয়ে দেয়ার চক্রান্ত করেছে চক্রগুলো। যদিও এসব রুখে দিতে সক্রিয় আছেন গোয়েন্দারা। ইতোমধ্যে কয়েকটি চক্রকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
দেখে বোঝার উপায় নেই ভারতীয় জাল রুপি। ৫০০ ও ২ হাজার রুপির জাল নোট তৈরির জন্য প্রথম ধাপের কাজ করেন অভিযুক্ত একটি জালিয়াতকারী। এরপর শুরু হয় জালিয়াতির দ্বিতীয় ধাপ। তৈরি হতে থাকে একের পর এক জাল ভারতীয় রুপি।
এসব জালরুপি তৈরির পর বাজারজাত করা হয় বিভিন্ন কৌশলে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব মুদ্রা বিক্রি করা হয়।
রাজধানীতে জাল টাকা তৈরির এমন কয়েকটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। যেগুলো থেকে জব্দ করা হয় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার নোট ও জাল মুদ্রা তৈরির সরঞ্জাম।
গোয়েন্দারা বলছেন, জাল টাকা ও রুপির বড় বাজার যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সীমান্তের জেলাগুলো।
ডিএমপি ডিবি (উত্তর) উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান এই চক্র থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেন। একইসঙ্গে কুরবানির পশুর হাটগুলোতে টাকা লেনদেনে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
জিএ/সি