• ঢাকা বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
logo
‘হোটেলিয়ার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেলেন শাখাওয়াত হোসেন
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন নিরাপদ: বস্ত্র উপদেষ্টা
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ও দীর্ঘমেয়াদি লিজের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা মিলগুলোকে উৎপাদনে নিতে চাচ্ছি। গতকাল প্রাণ গ্রুপকে লিজের মাধ্যমে দুটি মিল হস্তান্তর করেছি। প্রাথমিকভাবে ৩০ বছরের জন্য দিলেও পরে সময়সীমা বৃদ্ধি করার সুযোগ থাকে। প্রতিটা মিলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। বিনিয়োগকারীর জন্য লিজ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া উন্মুক্ত। এ ছাড়া নৌখাতে বিশেষ করে ডকইয়ার্ড ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অপার সম্ভাবনা আছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বা যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে এখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কোরিয়া এ দেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। কোরিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে চলমান আছে। দেশে বিভিন্ন খাতে অনেক কোরিয়ার মানুষ কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে জানায়, কোরিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। কোরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম পাট আমদানিকারক দেশ।   এ সময় প্রতিনিধিদল খুলনাতে অবস্থিত মিল সরাসরি পরিদর্শনের আগ্রহ দেখালে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা সভায় উপস্থিত মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পরিদর্শনের ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করার নির্দেশ করেন।  সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব দেলোয়ারা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আইএম
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম
কমেছে সবজির দাম, মাছ-মুরগির বাজার চড়া
ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২১ / ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০ লাখ টাকা পেলেন মোটরশ্রমিক রানা
স্বর্ণের দামে ফের রেকর্ড, বুধবার থেকে কার্যকর
ন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেডের নতুন পরিচালনা পর্ষদ 
দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেডের (এনএফএল) নতুন চেয়ারম্যান ফাহিমা মান্নান এবং ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরিফা কবির। নতুন পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন আবু সামছুল কবির এবং রিদওয়ান জহীর খান। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পরিচালনা পর্ষদের সভায় গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়।  নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ফাহিমা মান্নান ২০১৬ সাল থেকে এনএফএলের বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হোফস্ট্রা ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ করেছেন এবং ওএমসি গ্রুপের বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা কবির, যিনি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক। এর আগে তিনি বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিকস লিমিটেডের পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। পরিচালক আবু সামছুল কবির নিউইয়র্কের কাবকো ফার্মাসিউটিক্যালসে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন। বিশেষত সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টে তিনি দক্ষ।  অপর পরিচালক রিদওয়ান জহীর খান বর্তমানে আনন্তা গার্মেন্টস লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি কানাডার রয়্যাল রোডস ইউনিভার্সিটি থেকে গ্লোবাল ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেড (এনএফএল) তাদের নতুন বোর্ড সদস্যদের অভিজ্ঞতা এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপকৃত হওয়ার আশা করছে, কারণ প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান প্রদান এবং দেশের আর্থিক খাতে নতুন মাইলফলক অর্জনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফাইন্যান্স লিমিটেড (এনএফএল), যা গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা পূরণের জন্য বিস্তৃত আর্থিক সেবা ও উদ্ভাবনী সমাধান প্রদান করে। আর্থিক খাতে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এনএফএল দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। আরটিভি/ ডিসিএনই
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ২৫ টাকা
বাজারে বেশির ভাগ শাকসবজি এখনো উচ্চ দরেই বিক্রি হলেও সরবরাহ বাড়ায় ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। এতে ক্রেতাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠলেও চলতি সপ্তাহে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। বর্তমানে কারওয়ান বজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৫০ টাকায় নেমেছে। যদিও পাড়া-মহল্লায় খুচরা বাজারে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে ডিম। কল্যাণপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ১৫০ টাকায় ফার্মের এক ডজন ডিম কিনেছি। গত সপ্তাহের শুরুতে ডজন ১৮০ টাকায় কিনেছিলাম। সরকার শুধু দাম বেধে দিলে হবে না। নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে কঠোর নজরদারী থাকতে হবে। কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। তবে সবজির বাজারে এখনও কোনো সুখবর পাওয়া যায়নি। বিক্রেতারা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ এখনো কম। গত কয়েক মাসে দেশে বন্যা-বৃষ্টির কারণে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম শিগগিরই কমছে না। অন্যদিকে বড় উৎপাদক কোম্পানিগুলো সরাসরি আড়তে ডিম সরবরাহ শুরু করেছে। এতে গতকাল থেকে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। ডিমের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। সেই সঙ্গে ডিমের আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসাথে ডিম আমদানিতে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর)  এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এদিকে সরবরাহ বাড়ানো ও দর নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় ডিমের প্রধান দুই পাইকারি বাজার তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। কাপ্তান বাজারে গতকাল থেকে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ডিম সরবরাহ শুরু করছে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি এ্যাসোসিয়েশনের অনুমান মতে, প্রতিদিন দেশে ডিমের চাহিদা ৪ কোটি আর উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে চার কোটি। তবুও ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ হিসেবে অনেকেই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন। আরটিভি/ এমএ
নাগালের বাইরে সবজি, মাছ-মাংসের বাজারও চড়া
মাছ-মাংস থেকে শাক-সবজি কোনোটিরই দাম নাগালে নেই। নিত্যপণ্যের এই বাড়তি দামের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্তরাও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। নানাভাবে ব্যয় কাটছাঁট করেও সাধারণ মানুষ পেরে উঠছেন না। কারণ, জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও সেভাবে আয় বাড়েনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এখনো বাজার অস্থির। যদিও গত দু-তিন দিনের ব্যবধানে ডিমসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে, তবে সার্বিকভাবে এর প্রভাব বাজারে পড়েনি। বিক্রেতারা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ এখনো কম। গত কয়েক মাসে দেশে বন্যা-বৃষ্টির কারণে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম শিগগিরই কমছে না। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় কয়েকটি সবজির দাম কমলেও বাজারে এখনো বেশির ভাগ শাক-সবজির দাম চড়া। গত সপ্তাহের তুলনায় বেগুনের দাম কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে ১২০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স, পটোল, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙে ৮০-১০০ টাকায়; কাঁকরোল ১০০-১২০ টাকায়; করলা ও বরবটি ১২০-১৪০ টাকায়; মিষ্টিকুমড়া ও দেশি শসা ৭০-৮০ টাকায় এবং পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি শিমের কেজি ৪৮০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ছোট আকারের বাঁধাকপি ৮০ টাকা, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা ও মুলা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ৩০ থেকে ৬০ টাকা। ধনে পাতার কেজি ৬০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৮০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৮০ টাকা। বাজারে মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। গত সপ্তাহের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিডের কেজি ২৭০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩৩০ টাকা ও সাদা লেয়ার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে চাষের শিংয়ের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা ও কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আরটিভি/একে
এবার ডিম ও চিনি আমদানিতে বড় শুল্ক ছাড়
বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে ঊর্ধ্বমুখী দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোজ্যতেলের পর এবার ডিম ও চিনিতে উল্লেখযোগ্য হারে শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ দুই পণ্যে শুল্ক ছাড়ের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ডিমের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক প্রতি টন ৬ হাজার থেকে কমিয়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ, মু’মেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুল্ক কমানোর এসব তথ্য জানিয়েছেন। একই দিন আলাদা আদেশে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ৫ শতাংশ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়। এনবিআর বলছে, শুল্ক কমানোর ফলে আমদানি পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের মূল্য ১৩.৮০ টাকা কমবে। অব্যাহতির এ সুবিধা ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়বে এবং ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের মূল্য কমে সাধারণ ক্রেতার জন্য সহজলভ্য হবে বলে মনে করছে রাজস্ব আদায়কারী সংস্থাটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিম ব্যবহারকারী বিভিন্ন শিল্প যেমন কনফেকশনারি, বেকারি, ডিম নির্ভর খাদ্য উৎপাদক শিল্পের খরচ কমবে এবং বাজারে স্বস্তি ও ভারসাম্য ফিরে আসবে। এর আগে ৮ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। পরিশোধিত চিনির সরবরাহ আরও বাড়াতে এক সপ্তাহের মধ্যে আবার পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্কতে ছাড় দেওয়া হলো। আরটিভি/এআর  
ব্যবসা গোটানোর আবেদন বাড়ছে
খবরটি উদ্বেগের। গত দুই মাসে (আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) সিটি গ্রুপ, বিএসআরএম, ইউএস-বাংলাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গ্রুপের প্রায় দেড় শতাধিক কোম্পানি নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে একদিকে যেমন কয়েক লাখ মানুষ কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে, অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে দেশীয় অর্থনীতিও। কোম্পানিগুলোর দেওয়া তথ্য বলছে, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থায়ীভাবেই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ১৬০টির মতো কোম্পানি বন্ধের প্রক্রিয়াও এগিয়ে চলছে। বন্ধের তালিকায় ছোট প্রতিষ্ঠান যেমন রয়েছে, তেমনই বড় গ্রুপের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরে নিবন্ধিত এসব কোম্পানির মধ্যে পণ্য সরবরাহ ও সেবাদানকারী উভয় খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে নিবন্ধন নেওয়া কোম্পানিও বন্ধের তালিকায় আছে। যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ মাসে (মে থেকে সেপ্টেম্বর) ১২৮টি কোম্পানি বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু আগস্ট মাসেই রেকর্ড পরিমাণ অর্থাৎ ৪৬টি কোম্পানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। আর পরের মাস সেপ্টেম্বরে বন্ধ হয়েছে ২৬টি কোম্পানি। এ ছাড়া জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ৮৩টি কোম্পানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।   জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকেই কোম্পানি বন্ধের এই সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জুন মাসে ১৬টি বেসরকারি কোম্পানি বন্ধ হয়েছে। আর জুলাই মাসে বন্ধ হয় ২১টি। এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বন্যার প্রভাবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক খাত বিশেষ করে শিল্প, পর্যটন, কৃষি ও সেবা খাতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন শ্রম অসন্তোষের কারণে দেশের শীর্ষ রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতা চলছে। এ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আরও বিপাকে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হচ্ছে যেসব দেশি কোম্পানি   দেশের শীর্ষ স্থানীয় করপোরেট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ তাদের ৩০টি কোম্পানি বন্ধ করে দিচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সিটি হেয়ার অয়েল, দি এশিয়া প্যাসিফিক রিফাইনার্স, সিটি সিড ক্রাশিং ইন্ডাস্ট্রিজ (ইউনিট-২), হাসান ডাল মিলস, সিটি ফাইবার্স, হাসান পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, হামিদা প্লাস্টিক কনটেইনার্স, হাসান প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সিটি বিস্কুট, সিটি কনডেন্সড মিল্ক, হামিদা অ্যাগ্রো ফুড, শম্পা পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি, রূপসী সুগার মিলস, শম্পা সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, সিটি পোলট্রি ও ফিশ ফিড, সিটি ভেজিটেবল অয়েল মিল, কোনাপাড়া অয়েল মিলস, হাসান ভেজিটেবল অয়েল মিলস, এফ রহমান অয়েল মিলস, আজগর অয়েল মিলস, ফারজানা অয়েল রিফাইনারিজ, সিটি ব্র্যান অয়েল, সিটি কোকোনাট অয়েল মিল, রহমান কোকোনাট অয়েল মিলস, সাগুরনাল হ্যাচারি অ্যান্ড ফিশারিজ, এফ রহমান শিপিং লাইনস, সিটি প্রি-ফেব্রিকেটেড স্টিল, হোসেন্দি পেপার মিলস, সিটি টেস্টি বাইট ও দ্বীপা ফুড প্রডাক্টস।   এসব কোম্পানি বন্ধে অবসায়ক (অবসানের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত বা ব্যক্তি সংস্থা) নিয়োগ দিয়েছে গ্রুপটি। এরই অংশ হিসেবে অবসায়ক আইনজীবী জি কে রাজবংশী গত আগস্টে কোম্পানি বন্ধের জন্য সেপ্টেম্বরে ইজিএম আহ্বান করেন। এ ছাড়া অন্য ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা গ্রুপ তাদের পাঁচটি কোম্পানি বন্ধ করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে গত সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানির ইজিএম অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় ইউএস-বিডি সিকিউরিটি সার্ভিস, ইউএস-বাংলা গ্রুপ, ইউএস-বাংলা ফার্নিচার, ইউএস-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস ও ইউএস-বাংলা অ্যাগ্রোর জন্য অবসায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়। এর বাইরে সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের পিতার নামে মাদারীপুরে গড়া প্রতিষ্ঠান আসমত আলী খান সেন্ট্রাল হসপিটাল লিমিটেডও বন্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতের আরেকটি কোম্পানি ল্যাব কোয়েস্টও বন্ধ হচ্ছে।  ইস্পাত খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি বিএসআরএম গ্রুপ। এই গ্রুপের রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ বন্ধের জন্য সিফিক বসাক অ্যান্ড কোংকে অবসায়ক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।   ডায়মন্ড গোল্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড গোল্ড ম্যানুফ্যাকচারিং বন্ধের জন্য গত আগস্ট মাসে রহমান সৈয়দ জিল্লুর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট কোম্পানি অবসায়ক নিয়োগ দিয়েছে। এছাড়া বন্ধ হচ্ছে পেপার কাপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইনটেক গ্রিনপ্যাকও। একই সময়ে অবসায়ক নিয়োগ দিয়েছে আরবান ফিট প্রপার্টিজ, এস্কয়ার হোল্ডিং, ক্রিস্টাল আই, ভিসা ইনকরপোরেট, থ্রি এস ডিজাইন, উত্তর বাংলা ব্রোকারেজ, বুশরা অর্গানিক অ্যাগ্রো ফার্ম, হিট কনজিউমার, দ্য গোল্ডেন ব্রিকস প্রপার্টিজ, ফুডট্রি ইন্টারন্যাশনাল, ফালাক অ্যাগ্রো ফুড, এএএ ডিস্ট্রিবিউশন, আমাদের ভাবনা, টেক্স ডোর ইন্টারন্যাশনাল, নর্থ ল্যান্ড, স্যাটলো ইন্ডাস্ট্রিজ বিডি, সিটি টেকনো ভেঞ্চার অ্যান্ড লজিস্টিক ও ইউবিএস।  এর আগে, আগস্টে কোম্পানি বন্ধে দ্বিতীয় ইজিএম করেছে রিলায়েবল কেয়ার সলিউশন, রাডমেডিক্স, স্টিস সলিউশন, ভি পার্টনার বাংলাদেশ, স্কানডেক্স পাওয়ার, তাজ পোলট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিড ও অ্যাভালন সফটওয়্যার। একইভাবে কোম্পানি বন্ধে গত সেপ্টেম্বরে প্রশাসক নিয়োগে ইজিএম করেছে এসবিআই ট্রেডিং, ট্রান্সকন মার্কেটিং, রহমা আয়রন, রে এ ওয়ান, দাওয়াই, ইস্টার্ন হোটেল অ্যান্ড বার, পার্ক ভিউ রেস্টুরেন্ট, স্টারবাকস চাই, জেএইচএম ইঞ্জিনিয়ারিং, হলি হজ ট্যুর, আরকু রিটেইল, ব্রেইন্ড সার্ভিস, রিনাইন্সে ক্যালজোলিয়ো, রিনাইন্সে সার্ভিস, জিংপেং বির ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউলথনেস হেলথ টেক, বেস্ট ইন অ্যাগ্রো ফুডস, লিংআপ টেক্সটাইল, জেনেরিক সোর্স ইন্টারন্যাশনাল, এমএনএ অ্যাসোসিয়েটস, সিএবি ইন্টারন্যাশনাল প্রডাক্ট, সয়েলসেট, ভ্যালোসিটি এশিয়া, স্টারলিংকস প্রপার্টিজ, নিরব ডিজিটাল টেকনোলজি, আর্সান বিল্ড্রিম ও নিউরোলজিক।  কোম্পানি বন্ধের এই ধারা যেন থামার নয়। এরই অংশ হিসেবে গত সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় ইজিএম করেছে হাইপার ট্রেডিং, হ্যাপি টাইগার ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি, ইশান স্ট্র্যাটেজি কনসাল্টিং, উইজার্ড সোয়েটার, ডরিক বাংলাদেশ, শুদ্ধ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন, গুলজান, জারিফ বাংলাদেশ সোর্সিং, ওয়াশ এন ওয়ার্ক, একতা ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাগ্রো, ইনজেনাস এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম, এফএনএম সোর্সিং, ব্লকবিডি, ফারিক অ্যাপারেল ভিলেজ, আইএফএন হোল্ডিং, প্রবি হোল্ডিংস, এসকেএম, অপটিমা অয়েল অ্যান্ড শিপিং লাইনস, ওন্ডার গ্যাস, সুপারসনিক ট্রেডার্স, সূচনা ট্রেডিং, এস টু এস ডেইরি ফার্ম, ওয়েজ আর্নার্স হোল্ডিং, আলেশা আর্কিটেক্ট, ২৪/৭ রিটেইল শপ, টিএ অ্যান্ড পিএ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোডাক্ট, পি অ্যান্ড ও এট্রিস, শেড ফ্যাশন ইন্টারন্যাশনাল, এসএএফ বিল্ডিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সলিউশন, অ্যারাবি সুপার অটোরাইস, এস্কোয়ার হোল্ডিং, এম্বিয়েন্ট এভিয়েশন, আমিও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট, দেয়ারম্যাক্স ডিস্ট্রিবিউশন, আরবান ফিট প্রপার্টিজ, গ্রিন ফার্ম হাউস ও লিংকআপ টেক্সটাইল। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি মাস অক্টোবরেও কোম্পানি বন্ধের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এর অংশ হিসেবে ইজিএম করবে ড্রাগন ফার্টিলাইজার, সিটি টেকনো ভেঞ্চার, ফুডট্রি ইন্টারন্যাশনাল, আমাদের ভাবনা, ইলমিয়াত ওয়াশিং অ্যান্ড ডায়িং, অথেনটিক অ্যাসেট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট, এএএ ডিস্ট্রিবিউশন, মিন্ডমুভার টেক, স্যাটলো ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইনো সিরামিক্যাল।  এর আগে, রয়েল বাংলা ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি বন্ধে গত আগস্ট মাসে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্ধ হচ্ছে কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মালিকানাধীন কাশেম ল্যাম্পস লিমিটেড, কাশেম ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড ও সানলাইট ট্রেডিং অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড। বন্ধ হচ্ছে যেসব বিদেশি কোম্পানি  জিনপেং ট্রেডিং কোম্পানি বন্ধের জন্য গত আগস্টে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেন সুহুই অবসায়ক নিয়োগ দিয়েছেন। বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে তাইওয়ানভিত্তিক মেরিল্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিও।  এ ছাড়া সিঙ্গাপুরভিত্তিক হুইডিং প্রাইভেট কোম্পানি বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক কোম্পানি ব্রাইড মেডিক্যাল অ্যান্ড এডুকেশন সার্ভিস লিমিটেড গত ১১ আগস্ট ইজিএমে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা স্বেচ্ছায় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  ভারতভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি শিপকার্ড মেরিন বাংলাদেশ লিমিটেডেরও একই অবস্থা। স্বেচ্ছায় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। একইসঙ্গে কাইট টেক ইন্টারন্যাশনাল (এসএ) লিমিটেড তাদের দ্বিতীয় ইজিএমে কোম্পানি বন্ধের অনুমোদন দিয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও মীর গ্রুপের চেয়ারম্যান মীর নাসির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আগে থেকেই দেশের অর্থনীতি সংকটে থাকায় বেশ কিছু কোম্পানি সমস্যায় আছে। কিছু কোম্পানি সংকট কাটাতে পারলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। অতি দ্রুত এসব সমস্যা কাটিয়ে ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি হবে, এটা আশা করা যায়। ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও এ কে খান গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম খান বলেন, নতুন কোম্পানির নিবন্ধন নেওয়া বা কোম্পানি বন্ধ করা ব্যবসার একটি নিয়মিত বিষয়। কোনও কোনও গ্রুপ একটি কোম্পানি বন্ধ করে অনেক সময় চারটি নতুন কোম্পানি খোলেন। বিভিন্ন ব্যক্তি বা গ্রুপ আগের কোম্পানি বন্ধ করে ভিন্ন ভিন্ন কারণে। কেউ ট্যাক্স থেকে বাঁচতে কোম্পানি বন্ধ করেন, কেউ লোকসান থেকে বাঁচতে কোম্পানি বন্ধ করেন, আবার কেউবা অন্য কোথাও বিনিয়োগ করতে কোম্পানি বন্ধ করেন। যেমন- গত চার বছর ধরে আমাদের একটি প্রতিষ্ঠানের অপারেশন্স বন্ধ রয়েছে। অথচ প্রতি বছর অহেতুক ট্যাক্স দিতে হয়। আমি এ কারণে আমার একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। তবে আমরা আমাদের ব্যবসা সংকুচিত করছি না। ভিন্নভাবে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।  তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিতে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে মূলত তিন বছর আগে। যেটা এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। আমরা আশাবাদী, অচিরেই এখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ শুরু হবে। এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির চাপে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, বিক্রি কমে যাওয়া, সুদের উচ্চ হার, শ্রম অসন্তোষ, পরিবহন ও কারিগরি সমস্যা, ডলার সংকটে কাঁচামালের ঘাটতি, বৈশ্বিক যুদ্ধ ও আকস্মিক বন্যার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের। পাশাপাশি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কিছু কোম্পানির ব্যবসা করার সুযোগও সীমিত হয়ে গেছে। সে কারণেই এই অবস্থা। তবে এই অবস্থা বেশিদিন থাকবে না বলে বিশ্বাস। আরটিভি/আইএম 
ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ
উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন ডিমের দাম হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে কারণে তেজগাঁও আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। অবশ্য, সাম্প্রতিক অভিযানে ডিমের দামে তেমন একটা প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। বরং  তেজগাঁও আড়তের মতো কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ হয়ে গছে। অনেক জায়গায় ডিম বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ঘাটতি তৈরি হয়েছে সরবরাহে। রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে। এছাড়া পাড়ামহল্লায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। আরটিভি/এসএইচএম-টি  
বাজারে অস্থিরতা, ডিম সংগ্রহ বন্ধ করলেন ঢাকার ব্যবসায়ীরা 
সরকার নির্ধারিত দামে ডিম কিনতে ও বিক্রি করতে না পারার কারণে ডিম সংগ্রহ বন্ধ রেখেছেন দাবি ব্যবসায়ীদের। রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর তেঁজগাও থেকে দেশের কোথাও কোনো ট্রাক ডিম আনতে যায়নি। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ বন্ধ থাকবে।  তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ আমান বলেছেন, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সরকারিভাবে একটা রেট বেঁধে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা নির্ধারিত দামে ডিম কিনতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আমরা গাড়ি বন্ধ করে রেখেছি। ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিমের চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এ ছাড়া এখন বাজারে সব ধরনের শাকসবজির দাম চড়া। ফলে চাপ পড়েছে ডিমের ওপর। তবে প্রান্তিক খামারিদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা ডিমের দাম বাড়াচ্ছে। করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ীদের আধিপত্যের কারণে ডিমের বাজারে এই অস্থিরতা। ভোক্তাদের অভিযোগ, ছোট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সিন্ডিকেট করে যারা বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। অন্যথায় বাজার আরও অস্থির হয়ে উঠবে। গত সেপ্টেম্বরে ডিমের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে আমদানির অনুমতি দেয় তৎকালীন সরকার। এরপর দাম বেঁধে দেওয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে খুচরায় ডিম বিক্রি হওয়ার কথা প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সায়। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতি পিস ডিমের জন্য ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকারও বেশি। আরটিভি/এমএ/এসএ