• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
ছুটির দিনে মানুষের ঢল, জমজমাট বাণিজ্য মেলা
সবজিতে স্বস্তি, পেঁয়াজ-মুরগির বাজারে অস্থিরতা
ভরা মৌসুম হওয়ায় বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে তুলনামূলক কম যাচ্ছে সব ধরনের সবজির দাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে কম দামে অন্তত সবজিটা কিনতে পেরে কিছুটা হলেও খুশি ক্রেতারা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। চালের দামও আগের মতো বেশি রয়েছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, টাউন হল বাজার ও তেজগাঁওয়ের কলমীলতা বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।  বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, লতি ৬০ টাকা ও পটোল ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০-৪০ টাকা, দেশি পাকা টমেটো ৫০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ২০-৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ২০-২৫ টাকা, পাতাসহ পেঁয়াজ ৩০, নতুন আলু ৩০-৩৫ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। খুচরা পর্যায়ে এটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৪০-৫০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পুঁইশাক ২৫-৩০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, শীতকালীন সবজির প্রভাবে বাজারে কমেছে শাক-সবজির দাম। যা এখন ভোক্তার নাগালের মধ্যে।  রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতা রুবেল বলেন, সরবরাহ বাড়ায় কমছে সবজির দাম। কোনো কোনো সবজির দাম ওঠানামা করলেও সপ্তাহ ব্যবধানে বেশিরভাগেরই দাম অনেকটাই স্থিতিশীল। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মাঝে। এদিকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দিন দশেক আগে দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে এখন দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে; বিপরীতে কমেছে বিদেশ থেকে আমদানি। অন্যদিকে সরবরাহ বেশি থাকায় সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম কমে ৪০-৫০ টাকায় নেমেছিল। তবে এতে পেঁয়াজচাষিরা তেমন লাভ পাচ্ছিলেন না। এ কারণে চাষিরা পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়িয়েছেন। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি। বাজারভেদে বর্তমানে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে এ দাম ৩০-৪০ টাকা কম ছিল।  কারওয়ান বাজারে মুরগি বিক্রেতা সাঈদ বলেন, সাধারণত মুরগির দাম কয়েক দিন পরপর ওঠানামা করে। কিন্তু এবার এক মাসের বেশি সময় ধরে এক জায়গায় দাম স্থির হয়ে আছে। অস্থিরতা কমেনি চালের বাজারেও। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়ছে। দাম বাড়ায় কমেছে চালের বেচাকেনাও। বাড়তি দামের প্রভাবে মানুষ চাল কম কিনছেন। বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে আরও অস্থির হয়েছে ইলিশের বাজার। কেজিপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সুস্বাদু এ রুপালি মাছ। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। এছাড়া দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩২০০ টাকা, ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২৮০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২০০০-২২০০ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে, আর ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০-১৩০০ টাকা ও ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। আর বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩৫-১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আরটিভি/একে/এস
আমদানি-রপ্তানি পণ্য খালাসে ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন শর্ত
সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় ভ্যাট থাকছে আগের মতোই
নতুন বছরের ১৫ দিন না যেতেই বাড়ল স্বর্ণের দাম
ইআরএফের সেমিনারে অভিমত / সিস্টেম লসের নামে চুরি বন্ধ হলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না
বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম
ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করেছে সরকার। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর নতুন ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), যা আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।  ঘোষণা অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৫৯ টাকা, যা মাসের শুরুতে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৫৫ টাকায়। এ ছাড়া বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি গ্যাসের দাম ১২১ টাকা ৫৬ পয়সা ও রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা গ্যাসের দাম ১১৭ টাকা ৮১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা। আরটিভি/একে-টি
কোন সিগারেটের দাম কত বাড়ল
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সিগারেটও।  বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। জারিকৃত ওই নির্দেশনায় সিগারেটের মূল্যস্তর ভেদে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহার এবং মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায় করতে বলা হয়। মূলত, চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে রাজস্ব আদায় বাড়াতে ভ্যাট বসানোর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ওই অধ্যাদেশে সিগারেটের চারটি স্তরে দাম ও শুল্ক উভয়ই বাড়ানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে নতুন শুল্ক-কর পরিশোধ করে সিগারেটের চালান বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থায় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটামুটি সব ধরনের সিগারেটের দাম প্রতি শলাকায় এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে। এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক, প্রতি শলাকায় কোন ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম কত বেড়েছে?  খুচরা পর্যায়ে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ব্র্যান্ডের প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম আগে ছিল ১৮ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। গোল্ডলিফ ব্র্যান্ডের প্রতিটি শলাকার দাম ১৩ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকা হয়েছে।  এ ছাড়া ২ টাকা বেড়ে প্রতি শলাকা লাকি সিগারেটের দাম ১২ টাকা এবং স্টার ব্র্যান্ডের সিগারেট ১০ টাকা হয়েছে।  এর বাইরে ডার্বি, পাইলট ও হলিউডের দাম এখন ৮ টাকা এবং রয়েলের দাম ৭ টাকা। অর্থাৎ এসব সিগারেটে দাম বেড়েছে ১ টাকা। শুধু খুচরা নয়, পাইকারি পর্যায়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো।  জানা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শলাকার বেনসন অ্যান্ড হেজেসের প্যাকেটের দাম ৩৭০ টাকা, গোল্ডলিফ ২৮০ টাকা, লাকি স্ট্রাইক ২১০ টাকা, স্টার ১৭২ টাকা, পাইলট, ডার্বি স্টাইল ও হলিউড ১৪৪ টাকা ও রয়েল ১২৬ টাকা টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ২০ শলাকার প্যাকেটের প্রতিটি ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে। এ বিষয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশের করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান সাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা মনে করি, আকস্মিক নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উচিত ছিল, সব অংশীজনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করা। এই পরিস্থিতিতে বাজারে রাজস্ব ফাঁকি, অবৈধ ও চোরাই সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণে বিরূপ প্রভাব পড়বে। তাই সরকারের এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে শিগগিরই সংলাপ করা উচিত। প্রসঙ্গত, এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুসারে নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। এতে প্রযোজ্য সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া মধ্যমস্তরে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। উচ্চস্তরে ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর অতি উচ্চস্তরের সিগারেটের দাম ১৬০ টাকা থেকে ১৮৫ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। আরটিভি/আইএম-টি
চলতি বছরেই বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালু
পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেছেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগে দুই দেশের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। চলতি বছরেই সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। এতে এ দেশের ব্যবসায়ীরা মধ্যপ্রাচ্য ও সেন্ট্রাল এশিয়ায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে পাকিস্তানকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন, আগে বাংলাদেশি এয়ারলাইনস ফ্লাইট চালু করলো নাকি পাকিস্তান এয়ারলাইনস চালু করলো, সেটি কোনো বিষয় না। আমরা দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই। এ সময় দ্য ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে।  তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কৃষি, ঔষধ, চামড়া, মেশিনারি, কেমিকেল, আইসিটি খাতে দু’দেশের এক সঙ্গে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক যোগাযোগের সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। সভায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমানও বক্তব্য রাখেন।  তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও কৃষি, বস্ত্র, ঔষধ, আইসিটিসহ সম্ভাবনাময় অনেক খাত এখনও অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে। যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বহুগুণ বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে এ সময় তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্বালানি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রভৃতি খাতে দুই দেশের নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, এফবিসিসিআই এবং এফপিসিসিআই সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, বিটুবি মিটিংসহ সিঙ্গেল কান্ট্রি ট্রেড ফেয়ার আয়োজনের উদ্যোগ নিতে পারে। সভা শেষে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেড়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক যোগাযোগ। এরই মধ্যে করাচি ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলও শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর ঘোষণা এলো।  আরটিভি/আইএম/এস
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগের কথা জানালেন খাদ্য উপদেষ্টা
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে উপজেলাগুলোতে প্রতি কার্যদিবসে দুই মেট্রিক টন ওএমএসে চাল দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলে এটা আরও বাড়ানো হবে। আস্তে আস্তে বাজারে চাপ কমলে বাজারও স্থিতিশীল হয়ে আসবে। ফলে সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা হবে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বরিশাল সার্কিট হাউজে প্রশাসন ও খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে চলতি মৌসুমে আমন সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ও অর্জন নিয়ে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আমন বরিশাল অঞ্চলে দেরিতে হয়। তবে আমরা আশা করছি আমনের জন্য যে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সে সময়সীমা অনুসারে আমন সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।  তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। দেশে চাল আমদানি করা হচ্ছে গুদামে ধরে রাখার জন্য না। লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি গুদামে লক্ষমাত্রা বাড়ানোর উদ্যোগ আমরা এখনই নেব না। কারণ সরকারি গুদামে নেওয়ার পর আমরা মার্কেটে ছাড়ি। তবে কৃষকরা যদি আমাদের কাছে বিক্রি করতে চায় আমরা অবশ্যই নেব। নিজেদের তরফ থেকে বাড়িয়ে দিব না। আরটিভি/একে
বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম
আজও বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এ নিয়ে টানা তিন দিন বৃদ্ধি পেল তেলের দাম। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও ভারতে রাশিয়ার তেল বিক্রি ব্যাহত হতে পারে, এই আশঙ্কায় তেলের দাম বাড়ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৪৮ ডলার বেড়ে ৮১ দশমিক ২৪ ডলারে উঠেছে। এর আগে এ তেলের দাম ৮১ দশমিক ৪৯ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। গত ২৭ আগস্টের পর এখন পর্যন্ত এটাই তেলের সর্বোচ্চ দাম। এদিকে ব্রেন্ট ক্রুডের সঙ্গে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামও বেড়েছে। এই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৫৩ ডলার বা ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে। এর আগে এই তেলের দাম ৭৮ দশমিক ৩৯ ডলারে উঠেছিল। চলতি জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখের পর এই উভয় জাতের তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার রাশিয়ার তেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আছে। এবারের নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গাজপ্রম নেফট ও সারগাটনেফত গ্যাসও আছে। সেই সঙ্গে আছে রাশিয়ার তেল পরিবহন করা ১৮৩টি জাহাজ। মূলত তেল বিক্রি করে রাশিয়ার যুদ্ধ করার সক্ষমতা যেন হ্রাস পায়, তা নিশ্চিত করতেই বাইডেন প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার তেলের মূল ক্রেতা চীন ও ভারতের তেল কেনা ব্যাহত হবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা হয়তো আবারও মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল কেনা বাড়াতে বাধ্য হবে। এ কারণে তাদের কেনা তেলের দাম বাড়বে, এমনটাই অভিমত বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীদের।  রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় তেলবাহী ট্যাংকারের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার পর রাশিয়ার তেল-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়বে। কারণ, এসব ট্যাংকারের মধ্যে অনেক ট্যাংকার ভারত ও চীনে তেল সরবরাহ করত। এমনকি এগুলোর মধ্যে কিছু ট্যাংকার ইরানের তেলও পরিবহন করত। এ ছাড়া শীতকালে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে দামও। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন দাম কম থাকার পর ২০২১ সাল থেকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। পরে ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৯ মার্কিন ডলারে। একইসঙ্গে সে বছর গড়ে তেলের দাম ১০০ ডলারের ওপরে ওঠে। এরপর থেকে অবশ্য দাম কমতে শুরু করে। যারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম হয় ৯৮ মার্কিন ডলার। আর গড় দাম ছিল ৮৩ ডলার। এরপর থেকে তেলের দাম বাড়ানোর জন্য জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রভাবশালী সংগঠন ওপেকের পক্ষ নানান সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরও দাম তেমন একটা বাড়েনি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও তেলের দামে সেই অর্থে কোনো প্রভাব পড়েনি। কিন্তু নতুন এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে তেলের দাম।  আরটিভি/আইএম/এস
জমে উঠছে বাণিজ্য মেলা, স্টলে স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড়
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের আশা নিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন শুরু হয় বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর। প্রথম দিকে তেমন একটা সাড়া না মিললেও মাসের এক তৃতীয়াংশ পেরিয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে মেলা। গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। সেইসঙ্গে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও কনসার্ট আয়োজনে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।  আয়োজক ও ব্যবসায়ীদের ভাষ্য অনুযায়ী, মেলায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছে শুক্রবার। এ ধারাবাহিকতায় আজ শনিবারের (১১ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটিতেও মেলায় এমন জনসমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা তাদের। এরই মধ্যে দুপুর থেকে হাজার হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থীকে মেলায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়বে, বলছেন আয়োজক ও ব্যবসায়ীরা।  এদিকে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, স্টলে-স্টলে চলছে হরেক রকমের অফার। হাঁক-ডাকে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন কর্মীরা। বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল বসানো হয়েছে এবারের মেলায়। এর মধ্যে ৩৫১টিই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের স্টল-প্যাভিলিয়ন। বাকি ১১টি স্টল ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া—এই ৭ দেশের। এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের বাণিজ্য মেলায় স্থান পেয়েছে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। ই-টিকিটের ব্যবস্থা থাকায় প্রবেশ পথে রয়েছে ভিন্ন ব্যবস্থা। মেলায় বেশি ভিড় চোখে পড়েছে গৃহস্থালি পণ্যের স্টলগুলোতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার মেলায় বিভিন্ন মান ও ডিজাইনের গৃহস্থালি পণ্য এসেছে। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে নানা রকম ছাড়ও দেওয়া হচ্ছে। এতে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন তারা।   অবশ্য, ছাড়ের পরও পণ্যের দাম বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। অনেক ক্রেতাই বলছেন, গৃহস্থালি পণ্যের চাহিদা সবসময় থাকে। কারণ, এসব পণ্য দৈনন্দিন কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে, এবার দাম অনেকটাই বেশি। প্রথমবারের মতো এবারই অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বাণিজ্য মেলায়। এছাড়া মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস।   মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে এ বছর। বিদেশি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের সুবিধার্থে রাখা হয়েছে স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন। বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে প্রযুক্তি কর্নার, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার। শিশুদের নির্মল চিত্তবিনোদনের জন্য মেলায় রয়েছে শিশু পার্কও।   মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা থাকবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের কার্ড দেখিয়ে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। আরটিভি/এসএইচএম/এস 
ওয়ালটন কম্পিউটার পণ্যে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট
দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেট তাদের উৎপাদিত ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, অল-ইন-ওয়ান পিসি, ট্যাবলেট, প্রিন্টার, মনিটর, স্পিকারসহ বিভিন্ন কম্পিউটার এক্সেসরিজ কেনায় পণ্যভেদে নিশ্চিত সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে । নতুন বছরে ক্রেতাদের জন্য কম্পিউটার পণ্য কেনায় উপহার হিসেবে ‘২৫-এ ৫০% মেগা সেল অফার’ ক্যাম্পেইনের আওতায় এই সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ক্রেতারা যেন সামান্য কম দামে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর মানহীন রিফারবিশড পণ্য ক্রয় না করেন বরং সাশ্রয়ী দামে উচ্চমানের সঠিক পণ্যটি কিনতে পারেন সেজন্যেই আইটি পণ্যে এই বিশাল সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক। সারাদেশে ওয়ালটন প্লাজা, ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম অথবা ওয়ালটনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কেনায় ৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্টের এই সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক। পাশাপাশি ১ হাজার টাকা বা এর বেশি মূল্যের পণ্য কেনায় ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধাও রয়েছে। ঘরে বসেই অনলাইনে https://waltondigitech.com/discount-offer এই ওয়েবসাইট থেকে ওয়ালটনের কম্পিউটার পণ্য সহজেই অর্ডার করতে পারছেন। ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে ক্যাম্পেইন। চলবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীতে ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে আয়োজিত ‘২৫-এ ৫০% মেগা সেল অফার’ শীর্ষক ডিক্লারেশন প্রোগ্রাম-এ ক্রেতাদের জন্য এসব সুবিধার ঘোষণা দেয়া হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেটের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রায়হান, ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাজ্জাদ হোসেন এবং চিফ বিজনেস অফিসার (কম্পিউটার ও পিসিবিএ) তৌহিদুর রহমান রাদ। ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম বলেন, দেশের সাধারণ ক্রেতাসহ সবাই যেনো সাশ্রয়ী দামে সঠিক ও পছন্দের আইটি পণ্যটি কিনতে পারেন; সেই জন্যেই আমাদের এই উদ্যোগ। ওয়ালটন সবসময়ই ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কম্পিউটার পণ্য কেনার ক্ষেত্রে এই বিশেষ ছাড় দিচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক। এর মাধ্যমে ক্রেতাগণ বাংলদেশে তৈরি সর্বাধুনিকমানের পণ্য কেনা ও ব্যবহারে আরও উদ্বুদ্ধ হবেন। ওয়ালটন প্রতিনিয়ত তার পণ্যের মান উন্নয়নে কাজ করছে। শতভাগ কোয়ালিটি নিশ্চিত করে আমরা বাজারে পণ্য দিচ্ছি। আমাদের প্রোডাক্ট লাইনে নিত্য নতুন পণ্য ও অত্যাধুনিক ফিচার যুক্ত করছেন ওয়ালটনের রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন উইংয়ের প্রকৌশলীগণ। ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রায়হান বলেন, নিজস্ব প্রোডাকশন লাইনে উৎপাদিত ওয়ালটনের আইটি পণ্য ওয়ালটন ব্র্যান্ডকে আরো শক্তিশালী করেছে। প্রযুক্তি যেমন দ্রুত এগিয়ে চলছে, ওয়ালটনও তেমন তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলছে। ওয়ালটন হাই-টেক ইলেকট্রনিক্স সেক্টরকে নেতৃত্ব দিচ্ছে আর ওয়ালটন ডিজি-টেক নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রযুক্তি পণ্য খাতে। আমাদের প্রত্যাশা, প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে দেশে নাম্বার ওয়ান হবে ওয়ালটন। ওয়ালটন ডিজি-টেকের এএমডি লিয়াকত আলী বলেন, বর্তমানে আইটি বাজার রিফারবিশড পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে। সামান্য কম দামের জন্য রিফারবিশড পণ্য কিনে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব পণ্য পরিবেশের জন্যেও ক্ষতিকর। ক্রেতারা এসব যেনো মানহীন রিফারবিশড পণ্যে আকৃষ্ট না হন; তারা যেনো সাশ্রয়ী দামে উচ্চমানের সঠিক পণ্যটি কিনতে পারেন সে জন্যেই আইটি পণ্যে এতো বিশাল সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। জানা গেছে, ক্যাম্পেইনের আওতায় অন্যান্য কম্পিউটার এক্সেসরিজ পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মডেলের অ্যাকসেস কন্ট্রোল, ক্যাবল অ্যান্ড কনভার্টার, কার্টিজ, সিসিটিভি, কুলার, হাব, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, রাউটার, স্মার্ট ওয়াচ, ট্যাবলেট, ওয়েইট স্কেল, পাওয়ার ব্যাংক, মেমোরি কার্ড, র‌্যাম, এসএসডি ড্রাইভ, মাউস, পেন ড্রাইভ, হেডফোন, ওয়াই-ফাই রাউটার, ইউএসবি ক্যাবল, স্পিকার, পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, ইউপিএস ইত্যাদি। আরটিভি/ডিসিএনই