আন্দোলনে যাচ্ছে ইডেন ছাত্রলীগ। তারই অংশ হিসেবে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি। তবে এবার একটু ভিন্ন বিষয় সামনে নিয়ে আসছে ছাত্র সংগঠনটি।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ইডেন ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একটি দল এ স্মারকলিপি জমা দেন। এ সময় অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য নিজে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, হলের আবাসন সংকট স্থায়ীভাবে নিরসন, ক্যান্টিনে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতকরণ, পর্যাপ্তসংখ্যক ফিল্টার স্থাপন, প্রত্যেকটি আবাসিক হল ও বিভাগে আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, ‘বঙ্গমাতা কর্নার’ স্থাপন, আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন লন্ড্রি স্থাপন এবং শিক্ষা উপকরণ, ফটোকপি, প্রিন্ট প্রভৃতি সেবার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে, জেবুন্নেছা ছাত্রীনিবাস ও হাসনা বেগম ছাত্রীনিবাসে পাঠকক্ষ নির্মাণ, কলেজে ‘আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট’ স্থাপন, সর্বদা তাৎক্ষণিক চিকিৎসাসেবা এবং ডিসপেনসারি স্থাপন করা, কলেজের ফটক-১ অনাবাসিক শিক্ষার্থীর জন্য এবং ফটক-২ শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে, ‘ভেন্ডিং মেশিন’ স্থাপন করা, আবাসিক হলের ওয়াশরুম প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত করা, নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা, পরিকল্পিত সবুজায়ন ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রম অধিকতর অংশগ্রহণমূলক করতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক, অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
দাবির বিষয়ে অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং দুইজন হল সুপার এবং দুইজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইডেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না রিভা বলেন, এর আগে দাবিগুলো আমরা হলের ম্যামদের জানিয়েছিলাম। এবার বৃহৎ পরিসরে আমরা সম্মিলিতভাবে দাবি জানিয়েছি। আশা করি, প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমরা ইডেন ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিয়েছি বেশি দিন হয়নি বলে জানান তিনি।
অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা একটু সচেতন হলে কয়েকটি সমস্যা আর থাকবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। এ সময় হলের সিট বাণিজ্যের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের এখানে কখনই এ সব কিছু হয় না। এ সব কথা বলার জন্য বলা হয়। সিট খালি হলে হল প্রশাসন থেকে আমাদের জানানো হয়। তখন আমরা সমানহারে সকল বিভাগে জানাই। সেখান থেকে ছাত্রীদের সিট দেওয়া হয়। আমাদের বড় প্রতিষ্ঠান তো, তবে কেউ অভিযোগ দিলে আমরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়ে দেন।