• ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১
logo
৪ দাবিতে শাহবাগে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অবস্থান
সরকারি চাকরিতে ১০ম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন মেডিকেল অ্যাসিটেন্ট ট্রেইনিং স্কুল-ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১টার কিছু সময় পর ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নেন। এতে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারী ম্যাটস শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘ তিন মাস একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন করলেও তাদের দাবি পূরণ করা হয়নি। এ জন্য তারা চার দফা দাবিতে সড়কে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে—অনতিবিলম্বে ১০ম গ্রেডে শূন্যপদে নিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরি, কোর্স কারিকুলাম সংশোধন ও ইন্টার্নশিপ ভাতা, প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড বাতিল করে স্বতন্ত্র মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বিএমঅ্যান্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ। এ বিষয়ে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আহমাদুল্লাহ মানসুর বলেন, আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তারা আমাদের দাবি মেনে নেয়নি কিংবা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। তাই আমরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছি। দাবি মানা না হলে অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ম্যাটসে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকদিন যাবৎ আটকিয়ে রাখা হয়েছে। এতে অনেকেই পড়াশোনা করেও চাকরি পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে (দুপুর দেড়টার দিকে) তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তারা কোনো কথা শুনছেন না। তিনি আরও বলেন, রাস্তা বন্ধ, সেখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশে ১৬টি সরকারি ও ৫১টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল আছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। তারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। আরটিভি/আইএম/এস
৬ ঘণ্টা আগে

টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে প্রবাসীর স্ত্রীর অনশন
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছেন রুমী খাতুন নামে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক সন্তানের জননী।  বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে এ অবস্থান পালন করে ওই নারী।  এদিকে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকার খবর পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিক আলি শেখ। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জের বগুড়া শেরনগর গ্রামের আবদুল রাজ্জাকের মেয়ে রুমী খাতুনের সঙ্গে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আজাদ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর তাদের পুত্রসন্তান (দেড় বছর) হয়। পরে রুমীর স্বামী আজাদ জীবিকার তাগিদে ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর মালয়েশিয়াতে পাড়ি জমায়। এ সময় রুমী খাতুন সন্তান নিয়ে  শ্বশুরবাড়ি বসবাস করতে থাকেন। এ অবস্থায় আজাদের চাচাতো ভাই আলিম শেখ আজাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। একপর্যায়ে আলিমের সঙ্গে রুমী খাতুনের সঙ্গে সর্স্পক গড়ে ওঠে। এ সময় তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এতে রুমী খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।  বিষয়টি জানাজানি হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন রুমিকে ঘরে তোলেনি। এ অবস্থায় আলিম রুমিকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও তা করেনি। এ নিয়ে একাধিক শালিসি বৈঠক হলেও কোন সুরহা হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে অন্তঃসত্ত্বা রুমী খাতুন বিয়ের দাবিতে আলিমের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এ সময় রুমী খাতুনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় আলিম। মেয়ের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে ঘরে নিচ্ছে না। আমরা সঠিক বিচারের দাবি করছি। ছেলের চাচা হাকিম বলেন, আমিও এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। অন্তঃসত্ত্বা নারী রুমী খাতুন বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিলেও আলিম শেখ আমাকে বিয়ে করেনি। আমি সঠিক বিচার চাই। আরটিভি/এএএ-টি
১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৫৬

টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি বিরোধীদলীয় নেতার
যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ। রোববার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রিসভার সদস্য এবং তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তার জন্মভূমি বাংলাদেশেই এখন তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যেখানে তিনি এবং পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া, নিজ খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজনদের উপহারের ফ্ল্যাটে থাকা নিয়ে বিতর্ক চলছে তাকে নিয়ে।  বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে কনজারভেটিভ পার্টির এ নেতা বলেছেন: কেয়ার স্টারমারের টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার সময় এসেছে। পোস্টে তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন এবং তিনি নিজেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। ব্যাডেনোচ বলেন, সরকার যে আর্থিক সমস্যাগুলো তৈরি করেছে, তা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত হলেও টিউলিপ সিদ্দিক সেই কাজে মনোনিবেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছেন। আর এখন বাংলাদেশ সরকারও শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে তার যোগসূত্র নিয়েও গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এছাড়া সম্প্রতি টোরি এমপিরাও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি করেছেন। ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা টিউলিপের উদ্দেশে বলেছেন, ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারলে তিনি যেন ট্রেজারি মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। টোরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং ব্যাখ্যা করতে হবে আসলে কী ঘটেছে এবং কেন? যদি তিনি তা না করেন, তবে মন্ত্রী হিসেবে তিনি তার কাজ চালিয়ে যেতে পারেন না। টিউলিপ সিদ্দিক অবশ্য কোনও ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডসের ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার লাউরি ম্যাগনাসের কাছে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। স্যার লরি ম্যাগনাসের কাছে লেখা একটি চিঠিতে তিনি দাবি করেছেন, ‘আমি কোনও ভুল করিনি।’ এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারও বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের উপর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন তিনি। সেইসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেছেন, টিউলিপকে তার পদ থেকে সরিয়ে ওই পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা নিয়ে যে খবর চাউর হয়েছে তা ‘সম্পূর্ণ অসত্য’।  আরটিভি/এসএইচএম/এআর
১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৫

দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ না করে খোলা মাঠে সভার পরামর্শ ডিএমপি কমিশনারের 
দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ না করে খোলা মাঠ বা অডিটরিয়ামে সভা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।  বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এ পরামর্শ দেন তিনি।  ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইদানীং বিভিন্ন গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় ছোটখাটো দাবি আদায়ে রাস্তা বেছে নেয়। তারা মনে করে রাস্তা দখলে নিলেই তাদের দাবি আদায় হবে। ফলে ঢাকা শহরের ভঙ্গুর ট্রাফিক ব্যবস্থা আরও নাজুক অবস্থায় পড়ে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় কেটে যায়। বিশেষ করে মিরপুর, এয়ারপোর্ট, রামপুরা রোডে বেশি সমস্যা দেখা দেয়।  দাবিদাওয়ার বিষয়ে খোলামাঠ কিংবা সভাস্থল বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় উত্তর দক্ষিণের রাস্তা খুবই কম। একটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে সব কিছু থেমে যায়। আপনারা দাবি আদায়ের বিষয়ে খোলামাঠ, অডিটোরিয়াম বেছে নিন। দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ডেকে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করুন। ঢাকাবাসীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আর ভঙ্গুর করবেন না।  শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে পুলিশ কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলো; তবে সেগুলো থেকে উতরে আসার চেষ্টা চলছে। গত ১৫ বছরের আচরণ থেকে বের হতে চায় পুলিশ। একসঙ্গে ৪০ হাজার পুলিশকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।  আরটিভি/এসএইচএম
০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২১

শিবচরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ 
মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।   মানববন্ধনে বক্তারা আগামী দুইদিনের মধ্যে অবৈধ ড্রেজার বন্ধ না হলে চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ি অবরোধ করার ঘোষণা দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়ন সাবেক ইউপি সদস্য তোতা মিয়া হাওলাদার, সাবেক ইউপি সদস্য লতিফ খান, সাবেক ইউপি সদস্য মাহমুদ ফকির, কৃষক কালা মিয়া হাওলাদার, হিরুন চৌকিদার, মান্নান মুন্সিসহ কাঁঠাবাড়ি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।  আরটিভি/কেএইচ
০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫১

চট্টগ্রামে সমন্বয়কের ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির কল রেকর্ড ফাঁস, যা জানা গেল
চট্টগ্রাম নগরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে সম্প্রতি মেলার আয়োজন করতে যাওয়া এক নারী উদ্যোক্তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এক সমন্বয়ক রিজাউর রহমানের বিরুদ্ধে। চাঁদা দাবির ‘দরকষাকষির’ ৬ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর এ নিয়ে শহর জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তবে ওই সমন্বয়ক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  রিজাউর রহমান চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এদিকে নারী উদ্যোক্তা আফরোজা সুলতানা পূর্ণিমা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা তার স্বামীর বড় বোন। ৬ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের কল রেকর্ডে যা আছে: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিও কলরেকর্ডের শুরুতেই যুবদল নেতা আবিরকে সমন্বয়ক রিজাউর বলেন, ‘আমি হচ্ছে যে, বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলছি বুঝছেন। এখন হচ্ছে যে উনি পুরা বিষয়টা ওভারলুক করে আমাকে একটা অ্যামাউন্ট বলছে। তো লাখ দশেকের কথা বললো। যেটা হইলে সবাইকে ম্যানেজ করে জিনিসটা ওকে করে দিবে আরকি।’ উত্তরে আবির তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘কত বলতেছে যে?’ রেজাউর আবার জবাব দেন, ‘লাখ দশেকের মতো বলতেছে।’ বিস্মিত হয়ে আবির আবারও রেজাউরকে প্রশ্ন করেন, ‘কতো বলছে?’ রেজাউর বলেন, ‘টেন-এর কথা বলছে।’ ১০ লাখ টাকার কথা শুনে আবির বলেন, ‘কী বলো? ওখানে পাঁচ হাজার টাকা করে ৫০টা হবে না (দোকান)… মাঠের তিনভাগের একভাগ। দশ লাখ টাকা কোত্থেকে দেবে রেজা বলো?’ বড় ভাইয়ের বরাত টেনে রেজাউর বলেন, ‘না আমি তো হচ্ছে আপনাদের অ্যামাউন্টটা কতো জানি না। পার স্টল (দোকানপ্রতি) কতো জানি না। এই জিনিসগুলা তো আমি জানি না। উনি (বড় ভাই) আইডিয়া করতেছে আর কী। ৬ দিনের একটা হিসেব করে উনি জিনিসটা এভাবে বলতেছে আর কী।’ আগের অভিজ্ঞতা থেকে দোকানপ্রতি ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা করে নেওয়া হয় জানিয়ে আবির বলেন, ‘তুমি হিসেব করো ৮ হাজার টাকা করে হলেও ৫০টা স্টল কত হতে পারে? তুমি ৮ হাজার টাকা করে ৫০টা মারো (হিসেব) কত?’ কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে অপরপ্রান্ত থেকে উত্তর আসে, ‘হুম, চার লাখ।’ আবির বলেন, ‘এর মধ্যে তোমার মাঠ একলাখ। তারপরে ডেকোরেশন দেড় লাখ। ইভেন্ট একলাখ। এবার বলো?’ রেজাউর বলেন, ‘আমি তো ওই হিসেবটা জানি না। ওনাকেও আমি ওই হিসেবটা বলি নাই। আমি জানলে তো বলতে পারবো।’ একপর্যায়ে রেজাউর জিজ্ঞেস করেন, ‘এমনিতে আপনি হচ্ছে যে কত পারবেন বিষয়টা? আপনি একটা বললে আমি ওনাকে (বড় ভাই) আইডিয়াটা দিতে পারবো আর কী।’ উত্তরে আবির বলেন, ‘এখন রেজা, তোমাকে তো খুলে বললাম, দেখো তুমি তোমার মতো করে।’ রেজাউর বলেন, ‘ভাইয়া আমার মনে হয় হচ্ছে যে, আপনি আমাকে আনুমানিক একটা অ্যামাউন্ট বললে আপনারটাই আমি ডেলিভার করতে পারি আর কি!’ আবির লাখখানেক টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে রেজাউর তাকে বলেন, ‘আচ্ছা আমি এটা ডেলিভার করে দিচ্ছি’। আবির উত্তরে বলেন, ‘লাভেরটা সহ ইয়ে সহ… রেজা দেখ, শুধুমাত্র ওনার (উদ্যোক্তা পূর্ণিমা) একটা আত্মসম্মান এবং ফেয়ারটা করা। তুমি যদি আর বেশি কিছু না… একটা আত্মসম্মান নিয়ে দাঁড়াইছে।’ জবাবে সায় দিয়ে রিজাউর বলেন, ‘আমি বুঝতেছি তো ভাইয়া। এটা যদি বন্ধ হয় তাইলে এই নামটারও যে রেপুটেশন যেটা ছিল সেটায় বিশাল বড় আঘাত আসবে।’ কথোপকথনের একপর্যায়ে মেলার আয়োজক আফরোজা সুলতানা পূর্ণিমা পাশ থেকে রিজাউরকে বলেন, ‘আমার কোনো ব্যাংক ব্যালেন্স নাই, ঠিকাছে? মেলা থেকে তুলে আমি মেলাতেই কাজ করি। এক মেলা থেকে আরেক মেলায় আমার কাছে টাকা থাকে না।’ এরপরই রিজাউর রাতের মধ্যে সেই বড় ভাইয়ের সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানানোর আশ্বাস দেন। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট-চেকবিষয়ক সম্পাদক কদরুদ্দীন শিশিরের কাছে অডিও রেকর্ডটি এআই জেনারেটেড কিনা জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, অডিওটি এআই জেনারেটেড—এমন কোনো প্রমাণ আমি পাইনি। ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘ফ্যাক্টওয়াচ’ এর ফ্যাক্টচেকার রিদওয়ান ইসলাম বলেন, অডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরির সম্ভাবনা কম। কৃত্রিম বুদ্ধিমতায় তৈরি অডিও এত নিখুঁত হয় না। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসাদ বিন রনি দাবি করেছেন, আমাদের প্রাথমিক তদন্তে অডিও কল রেকর্ডটিকে সমন্বয়ক রিজাউরের ভয়েস বলে মনে হয়নি। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রিজাউর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, অডিও কলরেকর্ডে যার কথা শোনা যাচ্ছে সেটি আমি নই। তার ছবি ব্যবহার করে কল রেকর্ডের ভিডিও তৈরি করে এটি আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি এটা আওয়ামী লীগের পেজে দেখেছি। ভয়েস শুনে কি মনে হচ্ছে আমার? রেকর্ডের ভয়েস আমার না। আমার ছবি দেখার পরে আমি নিজেই চিন্তা করেছি ভয়েসটা কার। উল্লেখ্য, সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে মেলাটির আয়োজনের উদ্যোগ নেন ‘চট্টগ্রাম অন্ট্রাপ্রেনর ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন। ২০ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলাটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উদ্যোক্তা আফরোজা সুলতানা পূর্ণিমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়ার পর মেলাটি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপরই ওই নারী উদ্যোক্তা ধরনা দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সমন্বয়ক রিজাউর রহমানের কাছে। এ সময় সবাইকে ‘ম্যানেজ’ করার বিনিময়ে রিজাউর তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। তবে শেষ পর্যন্ত আরেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের বাধায় মেলাটি আর মাঠে গড়াতে পারেনি। আরটিভি/এএএ/এআর  
০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০২

তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি, ফেনীর বহিষ্কৃত সহ-সমন্বয়ক শুভ গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও হামজা মাহবুবের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন কেলেঙ্কারির অভিযোগে ফেনীর বহিষ্কৃত সহ-সমন্বয়ক ওমর ফারুক শুভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে ফেনী শহরের মডেল থানা-সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা। গ্রেপ্তার ওমর ফারুক শুভ ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর ইউনিয়নের জগতজীবনপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে। তাকে গত আগস্টে আন্দোলনে শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনী জেলার সহ-সমন্বয়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলেও জেলার অন্য সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়েই বিভিন্ন কর্মসূচি ও সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে আসছিলনে। জানা গেছে, নানা কেলেঙ্কারির দায়ে বহিস্কৃত ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে স্বপদে বহাল রাখার আশ্বাস দিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ফেনীর কথিত সমন্বয়ক ওমর ফারুক শুভ। এমন একটি ১৫ মিনিট ১২ সেকেন্ডের কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। সেখানে ওমর ফারুক শুভ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও হামজা মাহবুবের কথা বলে অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।  যেখানে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফেনীর সন্তান আজিজুর রহমান রিজভীর নাম উল্লেখ করেন তিনি। তাই মঙ্গলবার রাতে শুভর বিরুদ্ধে প্রতারণা, চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগ এনে রিজভীর পক্ষে মামলা দায়ের করেন তার বাবা ছিদ্দিকুর রহমান। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে আজিজুর রহমান রিজভী বলেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, তথ্য উপদেষ্টা ও আমার নাম ভাঙিয়ে সে (শুভ) চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করেছে। ন্যূনতম যোগাযোগ ও সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও তার এমন কাণ্ড আমার জন্য সম্মানহানিকর। বিষয়টি অবগত হয়ে আমি ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ করেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। এসব নামে-বেনামে সমন্বয়কদের কারণে এ ব্যানারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়- এমন কোনো কাজে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। ভাইরাল হওয়া কলরেকর্ড সুপার এডিট করা দাবি করে গ্রেপ্তারের আগে অভিযোগের বিষয়ে ওমর ফারুক শুভ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বক্তব্য সুপার এডিট করা। এটি আমার কণ্ঠ না। আমার কাজের মাধ্যমে আমি ফেনীতে জনপ্রিয় হয়ে গেছি। সেজন্য আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কিছু লোক ষড়যন্ত্র করছে। চাঁদাবাজির এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ফেনীতে আন্দোলনের পরবর্তী আমাদের কোনো কমিটি নেই মন্তব্য করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হামজা মাহবুব বলেন, ইতোমধ্যে শুভর বিষয়টি অবগত হয়েছি। এ জন্য তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা চলছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে শুভকে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। আরটিভি/কেএইচ
০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৯

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
পটুয়াখালীর দুমকীতে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চাঁদনী (২৫) নামে প্রেমিকা অনশনে বসেছেন। রোববার দুপুর থেকে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লেবুখালী গ্রামে হারুন শিকদারের ছেলে প্রেমিক হাসান মাহমুদ সাজিনের (৩১) বাড়িতে এই অনশন শুরু করেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন।   জানা যায়, চাঁদনী উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের পাঙ্গাসিয়া গ্রামের ফজলু হাওলাদারের মেয়ে। চাঁদনী জানান, গত চার বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সম্পর্কের কারণে তাদের মধ্যে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ হতো। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান প্রেমিক সাজিন। কয়েক বছর পর্যন্ত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আসলেও গত পাঁচ মাস ধরে সাজিন সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।  সাম্প্রতিক সময়ে সাজিনের সঙ্গে অন্য মেয়ের বিবাহের কথা চলছে, জানতে পারলে প্রেমিকা চাঁদনী সাজিনের বাড়িতে আসেন।  চাঁদনীর ভাষ্য, তার উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে সটকে পড়ছেন প্রেমিক সাজিন। আমি সাজিনের ঘরের সামনে গেলে সাজিনের মা, ফুফু ও বোন মিলে আমাকে মারধর করেন এবং আমার ফোন ছিনিয়ে নেন। আমার মা দুমকী থানায় অভিযোগ করেছেন।  ভুক্তভোগী এই তরুণী আরও বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা আমাকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এমন অবস্থায় আমি নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছি। তবে যতক্ষণে  বিয়ে না হবে ততক্ষণে বাড়ি থেকে যাবো না।আমি মরে যাব তবুও এখান থেকে যাবো না। এ দিকে প্রেমিক সাজিনের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।  সাজিনের বাবা হারুন অর রশীদ (মাস্টার) বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের কোন সম্পর্ক নাই। আমার ছেলেকে ফাঁসাতে মিথ্যে নাটক করছে ওই মেয়ে।’ দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় চাঁদনী আক্তারের মা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করছে। ছেলে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। আরটিভি/এমকে
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৪

ফেসবুক স্ট্যাটাসে ৩ দাবি ঘোষণা করলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকে চূড়ান্তভাবে কবর দেওয়াসহ তিনটি দাবি ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।   রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি জানান। তার দাবিগুলো হলো ১. আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকে চূড়ান্তভাবে কবর দিতে হবে। আওয়ামী রাজনীতির প্রত্যাবর্তন অসম্ভব করে দিতে হবে।   ২. ভারতীয় আধিপত্যবাদের অবসান ঘটাতে হবে। স্বাধীন, সার্বভৌম, আত্মনির্ভর মর্যাদার নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।   ৩. বাংলাদেশে একটা সাম্য ও ইনসাফের সমাজ গড়তে হবে। এর আগে, রাজধানীর বাংলামোটরের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে ফ্যাসিস্টরা। এটি গণঅভ্যুত্থানের লেজিটিমেসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গণঅভ্যুত্থান ঘিরে মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে এবং ’৭২-এর সংবিধান যে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তার একটি দালিলিক প্রমাণ হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর জাতির সামনে মুজিববাদী ’৭২-এর সংবিধানের কবর রচিত হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণার জন্য ৩১ ডিসেম্বর মানুষ শহীদ মিনারে জড়ো হবে। আরটিভি/কেএইচ-টি
২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:২৯

চাকরিচ্যুত পাঁচ জনকে পুনর্বহালের দাবি হাসনাত আব্দুল্লাহর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, সময় টেলিভিশনের যে ৫ জন সাংবাদিককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে- এ ব্যাপারে আমার দূরতম সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি জোর দাবি জানাই, এই পাঁচজনকে চাকরিতে পূনর্বহালের। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে বেসরকারি সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ‘সময় টিভি’ ইস্যুতে নিজের বক্তব্য ও অবস্থান স্পষ্ট করে ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট তিনি। পাঠকদের জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টটি আংশিক সংশোধন করে তুলে ধরা হলো- ‘সময় টেলিভিশনের পাঁচজন গণমাধ্যমকর্মীর আকস্মিক চাকরি হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা অসত্য ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ আছে বলে আমার মনে হয় না।’ প্রতিবেদনে যেভাবে এসেছে : ২৬ ডিসেম্বর বিবিসির একটি প্রতিবেদনে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, প্রায় ১৫ জনের একটি দলসহ হাসনাত আব্দুল্লাহ সিটি গ্রুপের হেড অফিসে গিয়ে কয়েকজনকে চাকরি থেকে বাদ দেয়ার জন্য চাপ দেয়ার কথা বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান। চাকরিচ্যুত পাঁচজন সাংবাদিকের অভিযোগ, গত ১৮ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ কয়েকজনকে নিয়ে সময় টিভির বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন এবং টিভি স্টেশনের ১০ জনের নামের একটি তালিকা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করতে চাপ দেন। প্রকৃত ঘটনা : পুরো দেশবাসী জানে ফ্যাসিবাদী হাসিনার নিকৃষ্ট মুখপাত্র হিসেবে বছরের পর বছর ধরে ফ্যাসিবাদের প্রপাগান্ডা সেল হিসেবে কাজ করেছে বেসরকারি সময় টেলিভিশন। বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলীয় নেতাদের নিয়ে নিয়মিত ভুয়া ও কুরুচিকর প্রতিবেদন করাই ছিল সময় টিভির কাজ। আওয়ামী লীগের প্রপাগান্ডা সেল সিআরআইর সাথে সমন্বয় করে জনবিরোধী অবস্থান নিয়ে বছরের পর বছর ধরে অনৈতিক ও অসৎ সাংবাদিকতা করেছে এটির সাথে সংশ্লিষ্টরা। ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম অনুচর কামরুল ইসলাম ছিলেন যার নেপথ্য নেতৃত্বে। এখনও আ. লীগ নেতা কামরুল ইসলামের ভাই মোরশেদুল ইসলাম রয়ে গেছেন সময় টিভির সঙ্গে। যিনি নেপথ্যে থেকে পতিত আওয়ামী লীগের পক্ষে ছাত্র-জনতার চরিত্র হনন করছেন। এহেন কোনো অন্যায় ও নৈতিকতা বিবর্জিত কাজ নেই যে এই সংবাদ মাধ্যমটি করেনি। এমনকি ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে চট্টগ্রামের আইনজীবী শহীদ আলিফ হত্যাকাণ্ডের পরও ভুয়া তথ্য দিয়েছিল এই সংবাদ মাধ্যমটি। এসব কার্যক্রম নিয়ে আমরা আগে থেকেই সচেতন ও বিশুদ্ধ ছিলাম। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন সময় এবং এখন টিভির কয়েকজন সাংবাদিক আমাদের কিছুটা প্ররোচিত করে গত ১৭ ডিসেম্বর বিকাল চারটায় সময় টিভির এমডি মি. হাসানের কার্যালয়ে নিয়ে যান। এটা যে একটা চক্রান্ত ছিল, তা আমরা তখন বুঝতে পারিনি। সেখানে আমরা মাত্র ৩০ মিনিট ওনার সাথে আলাপ করে বেরিয়ে এসেছিলাম। অথচ বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আমি ১৮ ডিসেম্বর গিয়েছিলাম। এটি থেকে পরিষ্কার যে, এ ঘটনার সত্যতা বিবিসি বাংলা ভালোভাবে যাচাই করেনি। সময় টেলিভিশনের একজন সংবাদকর্মীর মাধ্যমে সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মি. হাসানের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। আমাদের সংক্ষিপ্ত বৈঠকে ৫ আগস্টের পরবর্তী পরিস্থিতিতে সময় টেলিভিশনে চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছিল। সেখানে আমিসহ উপস্থিত ব্যক্তিরা সঠিক সংবাদ প্রচার করে ফ্যাক্ট ভিত্তিক সাংবাদিকতার আহ্বান জানিয়েছিলাম। প্রোপাগান্ডামূলক সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করেছিলাম। আমি দায়িত্ব নিয়ে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, সেখানে আমি কোনো সাংবাদিকের তালিকা দিইনি। চাকরি থেকে বাদ দেয়া সাংবাদিকদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। বার্তা সংস্থা এএফপি এবং বিবিসি বাংলার কাছে আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি আমি সিটি গ্রুপ এবং সময় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে কোনো সংবাদিকের তালিকা দিয়েছি এবং কাউকে বরখাস্ত করতে চাপ দিয়েছি সেটির স্বপক্ষে যদি তাদের কাছে কোনো প্রমাণ থেকে থাকে সেটি যেন তারা হাজির করেন। যদি হাজির করতে না পারেন, তবে তা যেন স্বীকার করেন। আমি মনে করে ‘মি. হাসান অভিযোগ করেছেন’ এটাই এ ধরণের একটি প্রতিবেদনের মূল ভিত্তি হতে পারে না। কারণ মি. হাসান যখন আমার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছেন তখন বলছেন, আমি কোনো ছাঁটাইয়ের তালিকা তাকে সরবরাহ করিনি বা এমন কোনো কথা বলিনি। এই বক্তব্যের স্বপক্ষে আমি প্রমাণ দিতে পারব। তবে এটি স্পষ্ট যে, সিটি গ্রুপের মালিক মি. হাসান আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অসত্য এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন, যা তার মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। আমার অবস্থান : আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই পুরো ষড়যন্ত্রে আমাকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। চক্রান্তে পড়ে সময় টিভির মালিকের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়াটা আমার ভুল হয়েছে, যা স্বীকার করতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। আমি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে অবশ্যই যে কোনো গণমাধ্যম আমার বা আমাদের বিরুদ্ধে লিখবে, সেটা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে আমরা আন্দোলন করেছি, রক্ত দিয়েছি। দানব হাসিনার পতন ঘটিয়েছি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য, পেশা হিসেবে সাংবাদিকতার উৎকর্ষ সাধনের জন্য, সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুত করার জন্য নয়। আমি দাবি জানাই : ১. সময় টেলিভিশনের যে ৫ জন সাংবাদিককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে- এ ব্যাপারে আমার দূরতম সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি জোর দাবি জানাই, এই পাঁচজনকে চাকরিতে পূনর্বহালের। ২. যারা প্রকৃতভাবে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। ৩. সিটি গ্রুপের মালিক মি. হাসান অসত্য তথ্য দিয়ে আমার চরিত্র হননের যে ষড়যন্ত্র করছেন, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশের পর মি. হাসান বারবার বিভিন্ন প্রতিবেদককে দিয়ে আমার সাথে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন। যেগুলোর স্বপক্ষে আমার কাছে পরিষ্কার প্রমাণ রয়েছে। আমি তাদের বলেছি তিনি যদি বিবিসিকে এমন বক্তব্য না দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমে প্রতিবাদ পাঠাতে। আমার বক্তব্য : আমি কখনও কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলাম না এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমি সবসময় গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছি। ভবিষ্যতেও দাঁড়াব। এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমি পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। মূলত সিটি গ্রুপ এবং সময় টিভির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আমাকে জড়িয়ে তাদের স্বার্থ হাসিলের নোংরা চেষ্টা করা হয়েছে। তবে, আমি অনুরোধ করছি, মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে আমার ব্যক্তি ও সামাজিক অবস্থান ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা বন্ধ করা হোক। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং এই ষড়যন্ত্রের শিকার সকলের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। আরটিভি/কেএইচ
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়