দীর্ঘদিন নিরাপদ ও সুপেয় পানির অভাবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওয়াশরুমের ট্যাপের পানি, নির্মাণাধীন ভবনের জন্যে করা নলকূপের পানি পান করে এসেছে। ক্যাম্পাসে খুবই অপ্রতুল মাত্রায় ফিল্টার করা বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যেত; যা চাহিদার তুলনায় কম ছিল। নিরাপদ পানির এমন অভাব চলে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৬ বছর ধরেই।
তবে ৫৭ একরের বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পানির চাহিদা পূরণে সম্প্রতি ৬৫টি স্থানে ফিল্টার স্থাপন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরমধ্যে অগ্নিবীণা হলে ৫টি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ২২টি, দোলনচাপা হলে ৫টি ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলে ১টি ফিল্টার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া লাইব্রেরি, পরীক্ষার হল, মসজিদ, ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে কমপক্ষে একটি করে পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র দেওয়া হয়েছে।
সরবরাহকৃত এসব যন্ত্র পাঁচস্তরে পানির ফিল্টার করে থাকে বলে জানিয়েছে এর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এপেক ওয়াটার টেকনোলজি। এখন শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা।
এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম বলেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত ফিল্টার উন্নতমানের, যা বাইরে থেকে আমদানি করা হয়েছে। এটি খুব সহজেই দেওয়ালে ঝুলানো যায়। পানি বিশুদ্ধকরণে ফুটানোর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। বিদ্যুৎ ও গ্যাস দিয়েও এটি পরিচালনা করতে হয় না। এই যন্ত্র খুব সহজেই পানিতে থাকা ক্লোরিন, ফ্লুরাইড, ক্ষুদ্রকণা, বেরিয়াম, ক্রোমিয়াম, লেদ, মার্কারী, ক্যাডমিয়ামের মতো পানিতে মিশে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থকে খুব সহজেই পৃথক করে। দামেও তুলনামূলক সাশ্রয়ী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, স্থাপিত পানির ফিল্টারগুলো থেকে শিক্ষার্থীরাসহ সকলেই নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারবে। পানিবাহিত রোগবালাই প্রতিহত করা যাবে। বিশুদ্ধ পানির গুরুত্ব অনুধাবন করে স্থাপিত পানির ফিল্টারগুলো রক্ষণাবেক্ষণে আমাদের সকলেরই আন্তরিক ও যত্নবান হতে হবে।