গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা-বিবৃতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনারকে তলব করে জবাবদিহি চাওয়ার দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম আজাদ ফিলিস্তিন। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করাসহ মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রারও ঘোষণা দিয়েছে প্ল্যাটফর্মটি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটির সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এ পদযাত্রা শুরু হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্ল্যাটফর্মটি কয়েকটি দাবি জানায়। সেগুলো হলো–
১. অনতিবিলম্বে মার্কিন মদদে গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানাতে হবে এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠন ও কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
২. আমেরিকান হাইকমিশনারকে তলব করে গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা করার জবাবদিহি চাইতে হবে।
৩. কালবিলম্ব না করে পাসপোর্টে পুনরায় ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ কথাটি ফিরিয়ে আনতে হবে।
৪. ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার অর্থের যোগানদাতা সব পণ্য ও সেবাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বয়কট করতে হবে এবং তাদের দোসরদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
৫. ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ইসরায়েল থেকে আড়িপাতার যন্ত্রসহ কেনাসহ অন্য যেসব গোপন চুক্তি করেছে তা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করতে হবে এবং ইসরায়েলের মতো একই বর্বর কায়দায় গণহত্যা চালানোর দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আজাদ ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে মার্কিন সহায়তায় চলমান গণহত্যার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত ইসরায়েল এবং তার দোসর বিশেষ করে আমেরিকার বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি দেয়নি। গণহত্যা বন্ধে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বিষয়ে আমরা রাষ্ট্রের ভয়াবহ গড়িমসি লক্ষ্য করছি।
তাই আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও, গাজায় চলমান গণহত্যার কুশীলব মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে মার্চ এবং নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করবো।
তারা আরও বলেন, আমরা মনে করি, এসব দাবি আদায় করা ব্যতীত শুধু আমেরিকান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের খুব বেশি কার্যকারিতা নেই। তাই আমরা প্রথমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে যাব। এরপর সেখান থেকে মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে মার্চ করবো।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর