ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি চান বলিউড তারকারা
ভারতে উচ্চ বর্ণের চার ব্যক্তির সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন তরুণীর মৃত্যুতে তোলপাড় চলছে দেশটিতে। ১৯ বছর বয়সী তরুণী হাসপাতালের ১৫ দিন ভর্তি ছিলেন। ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলায় ওই তরুণীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। চার ব্যক্তি তাকে মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওই তরণীর মেরুদণ্ডসহ শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল। এছাড়া কেটে ফেলা হয় তার জিহ্বাও। এ ঘটনায় বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। অনেকের টেনে আনছেন দিল্লিতে ২০১২ সালে চলন্ত বাসে এক মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কথা।
সাধারণ মানুষ থেকে সমাজকর্মী এবং বলিউড এবং ক্রীড়া জগতের তারকারা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার, ফারহান আখতার, অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউয়াত, ইয়ামি গৌতম, স্বরা ভাস্কর, রিচা চাড্ডা থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অক্ষয় কুমার অপরাধীদের ফাঁসির দাবি করেছেন। টুইটারে তিনি লেখেন, ঘটনায় আমি হতাশ। কবে এ সব ঘটনা শেষ হবে? আমাদের আইন এবং তার প্রণয়ন পদ্ধতি আরও কড়া হওয়া প্রয়োজন, যাতে শাস্তির ভয়ে ধর্ষকরা এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকে। ধর্ষকদের ফাঁসি হওয়া উচিৎ। এখন আওয়াজ তোলা প্রয়োজন নিজেদের পরিবারের মেয়েদের সুরক্ষার স্বার্থে।
অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ লেখেন, হিংস্র, ভয়াবহ এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের সবাইকে সাধারণ মানুষের সামনে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।
স্বরা লিখেছেন, ভয়াবহ এই ধর্ষণ দেখিয়ে দিলো মানসিক বিকৃতির কোনও সীমা নেই। আমাদের সমাজ ক্রমেই মানসিকভাবে অসুস্থ, অমানবিক, লজ্জাজনক একটা স্তরে পৌঁছে যাচ্ছে।
অভিনেত্রী ইয়ামি গৌতম লেখেন, অনেক চেষ্টা করেছি নিজের রাগ, কষ্ট, দুঃখ, বিরক্তিকে একত্রিত করতে।
আনুষ্কা শর্মা লেখেন, হাথরাসের ধর্ষণের নৃশংস ঘটনায় ভেঙে পড়েছি। যারা এই ধরনের নৃশংস ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠিন শাস্তি হোক।
রিচা চাড্ডা লেখেন, হাথরাসের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ন্যায়বিচার পাক। প্রত্যেকে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকুক। দোষীদের শাস্তি হোক।
পুলিশের বরাত দিয়ে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, ১৪ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন তরুণী। সেখান থেকেই নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিত্যক্ত একটি জায়গায় তাঁর খোঁজ মেলে। অচৈতন্য অবস্থায় তরুণীর শরীর ভেসে যাচ্ছিল রক্তে। জিভ ক্ষতবিক্ষত ছিল। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীকে প্রথমে দিল্লির জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় সফদর জং হাসপাতালে। সেখানে গত মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার চার অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন।
সূত্র- জিনিউজ ও নিউজ এইটিন
জিএ
মন্তব্য করুন