দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গেলো ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ্যে এসেছে আলিয়া ভাট অভিনীত ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ সিনেমার টিজার। যা দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘বিশ্বাসই হচ্ছে না এটি আলিয়া ভাট!’ টিজারে তার দাপুটে উপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছে। কিন্তু এই সিনেমার জন্য পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালী ও অভিনেত্রী আলিয়া ভাটকে সমন পাঠিয়েছে আদালত।
এদিকে ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’ সিনেমার শুটিংয়ের উপর স্থায়ী স্থগিতাদেশ চেয়ে বোম্বে দায়রা আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন গাঙ্গুবাইয়ের ছেলে বাবুজি। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তাদেরকে সমন পাঠিয়েছে আদালত।
টিজারে উঠে এসেছে, সাধারণ এক কিশোরীর নির্মম যৌনপল্লীর হর্তাকর্তা হয়ে ওঠার জার্নি। মুম্বাইয়ের কুখ্যাত রেড লাইট এলাকা কামাথিপুরা। সেই এলাকার ‘ম্যাডামজি’নামে পরিচিত ছিলেন গাঙ্গুবাই।
ষাটের দশকে গোটা কামাথিপুরার কর্ত্রী ছিলেন গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি। খুব অল্প বয়সে জোড় করে যৌনবৃত্তিতে নামানো হয়েছিল তাকে। এরপর সেই গাঙ্গুবাই হয়ে উঠেছিলেন গোটা কামাথিপুরার হর্তাকর্তা। কিন্তু জোড় করে যেসব মেয়েদের এই পেশায় ঠেলে দেওয়া হতো তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন তিনি।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাবার হিসাবরক্ষকের সঙ্গে গঙ্গা হরজীবনদাস কাথিওয়াড়িয়া গুজরাত থেকে মুম্বাইয়ে পালিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু প্রেমে ধোঁকা খেতে হয়েছিল এই কিশোরীকে। বিয়ে করেও স্বামী তাকে বিক্রি করে দেয়। ডন করিম লালার একাধিক গ্যাং মেম্বার তাকে বারবার ধর্ষণ করে। তবুও হাল ছাড়েন না গাঙ্গুবাই। শেষমেষ করিম লালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তাকে নিজের বোনের সম্মান দেয় করিম লালা। এরপরই কামাথিপুরায় একটি যৌনপল্লী শুরু করেন গাঙ্গুবাই।
গাঙ্গুবাইয়ের ছেলে বাবুজির দাবি, ছবিতে তার মা এবং তাদের পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশিত হচ্ছে। যা তারা মেনে নিতে পারছেন না। স্থানীয় আদালতে বিষয়টি জানিয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন তিনি। সেই অনুযায়ী আলিয়া, লেখক-সাংবাদিক হুসেন জাইদি এবং পরিচালককে ২১ মে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি অভিনেত্রী, পরিচালক কেউই।
উল্লেখ্য, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা থাকলেও করোনার জেরে আটকে যায় সিনেমাটি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের আগামী ৩০ জুলাই মুক্তি পাবে ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’।
এনএস