আড়াই মাস হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গেল সপ্তাহে বাসায় ফিরেছিলেন আশির দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ। এরপর অনেকটা স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল তার শরীরের অবস্থা অনেক ভালো হয়েছে।
তাঁর মেয়ে বলেন, হাসপাতালে থাকতে মাঝে মাঝে চেতনা ফিরলেও তেমন কাউকে চিনতে পারতেন না। এখন সেই পরিস্থিতি নেই।
জানা গেছে, অসুস্থতার শরীরে হাসপাতালে থাকাকালিন সময়ে তাকে গিটার হাতে বেশ দেখা যায়। ১৯৮৭ সালে ছোট ভাই ‘হ্যাপী আখন্দের’মৃত্যুর পর পর সংগীতাঙ্গন থেকে তিনি অবসর নেন। দীর্ঘদিনের বিরতি শেষে সম্প্রতি তিনি আবারো অ্যালবাম করছেন দুই বাংলাকে এক সুরে বেঁধে।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে লাকী আখন্দের। ছয় মাসের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি। সেখানে কেমোথেরাপি নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছিল তার। তবে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পর দফায় দফায় তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। কখনো অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আবার কখনো বা অবনতি হয়।
পরে মাস দুয়েক আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ারে ভর্তি করা হয়। অধ্যাপক নেজামুদ্দিন আহমেদের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এমসি/সি
লাকী আখন্দের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
হাসপাতালে বেডে যে গান গেয়েছিলেন লাকী আখন্দ